31.07.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা ভোরবেলা উঠে অত্যন্ত প্রেমের সাথে বলো - বাবা গুড মর্নিং, এই স্মরণের দ্বারাই
তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে"
প্রশ্নঃ -
অ্যাক্যুরেট
স্মরণের দ্বারা বাবার কারেন্ট প্রাপ্ত করার জন্য মুখ্য কোন্ গুণ আবশ্যক?
উত্তরঃ
অত্যন্ত ধৈর্য
সহকারে, বুদ্ধি আর গম্ভীরতার সাথে নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে বাবার
কারেন্ট প্রাপ্ত করবে আর আত্মা সতোপ্রধান হতে থাকবে । তোমাদের এখন বাবার স্মরণের
আকর্ষণ হওয়া উচিত কেননা বাবার থেকে তোমরা অনেক বড় উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো, তোমরা
কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হও, তোমাদের মধ্যে সমস্ত দৈবী গুণ এসে যায় ।
ওম্ শান্তি।
বাবা বলেন, মিষ্টি বাচ্চারা তত্বম অর্থাৎ তোমরা আত্মারাও শান্ত স্বরূপ । তোমাদের
অর্থাৎ সর্ব আত্মাদের স্বধর্ম হলো শান্তি । শান্তিধাম থেকে তোমরা এখানে এসে টকি (সবাক)
হয়ে যাও । তোমরা এই কর্মেন্দ্রিয় প্রাপ্ত করো পার্ট প্লে করার জন্য । আত্মা ছোটো
- বড় হয় না, শরীর ছোটো - বড় হয় । বাবা বলেন যে, আমি তো শরীরধারী নই । বাচ্চারা,
তোমাদের সঙ্গে আমাকে সম্মুখে মিলিত হতে আসতে হয় । মনে করো যেমন বাবা, তাঁর থেকে
বাচ্চাদের জন্ম হয়, সেই বাচ্চা তো এমন বলবে না যে, আমি পরমধাম থেকে এসে জন্মগ্রহণ
করে মাতা - পিতার সাথে মিলিত হতে এসেছি । যদিও কারোর শরীরে নতুন আত্মা আসে বা কোনো
পুরানো আত্মাও কারোর শরীরে প্রবেশ করে, তখন এমন বলবে না যে, আমি মাতা - পিতার সাথে
মিলিত হতে এসেছি । তারা অটোমেটিক্যালি মাতা - পিতা পেয়ে যায় । এখানে হলো সব নতুন
কথা । বাবা বলেন, আমি পরমধাম থেকে এসে তোমাদের মতো বাচ্চাদের সম্মুখে বসেছি । আমি
তোমাদের নলেজ দান করি, কেননা আমি হলাম নলেজফুল, জ্ঞানের সাগর, বাচ্চারা, আমি আসি
তোমাদের পড়াতে, রাজযোগ শেখাতে ।
বাচ্চারা, তোমরা এখন
সঙ্গম যুগে রয়েছো, এরপর নিজের ঘরে যেতে হবে, তাই পাবন তো অবশ্যই হতে হবে । তোমাদের
অন্দরে খুবই খুশী থাকা উচিত । আহা ! অসীম জগতের পিতা বলেন - মিষ্টি - মিষ্টি
বাচ্চারা, তোমরা যদি আমাকে স্মরণ করো তাহলে সতোপ্রধান হয়ে এই বিশ্বের মালিক হবে ।
বাবা বাচ্চাদের কতো ভালোবাসেন । এমন নয় যে, তিনি কেবল টিচারের রূপে পড়িয়ে ঘরে ফিরে
যান । ইনি তো বাবাও, আবার টিচারও । ইনি তোমাদের পড়ান । স্মরণের যাত্রাও তিনিই শেখান
। তাহলে যিনি বিশ্বের মালিক বানান, পতিত থেকে পাবন বানান, সেই বাবার প্রতি খুবই
প্রেম থাকা উচিত । ভোরবেলা উঠে শিব বাবাকে গুড মর্নিং করা উচিত । বাচ্চাদের নিজের
হৃদয়ের কাছে প্রশ্ন করা উচিত, আমরা ভোরবেলা উঠে অসীম জগতের পিতাকে কতক্ষণ স্মরণ করি
। ভোরবেলা উঠে বাবাকে গুড মর্নিং করো, জ্ঞানের চিন্তনে থাকলে তোমাদের খুশীর পারদ
চড়তে থাকবে । মুখ্য হলো স্মরণ, এর দ্বারা ভবিষ্যতের জন্য অনেক উপার্জন হয় । কল্প -
কল্পান্তর এই উপার্জন কাজে আসবে । তোমাদের খুবই ধৈর্যশীল হয়ে গম্ভীরতা আর বুদ্ধির
সাথে স্মরণ করতে হবে । স্থূলভাবে তো বলে দেয় যে, আমরা বাবাকে খুবই স্মরণ করি,
কিন্তু এক্যুরেট স্মরণ করাতে পরিশ্রম আছে । যারা বাবাকে খুব বেশী স্মরণ করে, তারা
বেশী কারেন্ট প্রাপ্ত করে, কেননা স্মরণের দ্বারাই স্মৃতিতে আসা যায় । যোগ আর জ্ঞান
দুই পৃথক জিনিস । যোগ হলো অনেক গভীর সাবজেক্ট । যোগের দ্বারাই আত্মা সতোপ্রধান হয়
। এই স্মরণ বিনা সতোপ্রধান হওয়া অসম্ভব । খুব ভালোভাবে প্রেমের সঙ্গে বাবাকে স্মরণ
করলে অটোমেটিক্যালি কারেন্ট প্রাপ্ত করবে । তোমরা হেলদি হয়ে যাবে । এই কারেন্টের
দ্বারা আয়ুও বৃদ্ধি হয় । বাচ্চারা স্মরণ করলে বাবাও সার্চ লাইট প্রদান করেন ।
মিষ্টি বাচ্চাদের এই
কথা পাক্কা স্মরণ রাখতে হবে । শিব বাবা আমাদের পড়ান । শিব বাবা পতিত পাবনও । তিনি
সদ্গতি দাতাও । সদ্গতি অর্থাৎ তিনি স্বর্গের উত্তরাধিকার দান করেন । বাবা কতো মিষ্টি
। তিনি কতো প্রেমের সঙ্গে বাচ্চাদের বসে পড়ান । বাবা, দাদার দ্বারা আমাদের পড়ান ।
বাবা বাচ্চাদের কতো ভালোবাসেন, কোনো কষ্ট দেন না । তিনি কেবল বলেন, আমাকে স্মরণ করো
আর চক্রকে স্মরণ করো । বাবার স্মরণে হৃদয় একদম স্থির হওয়া উচিত । এক বাবার স্মরণ
করার জন্যই মন অস্থির হইয়া চাই, কেননা বাবার থেকে কতো বড় উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়
। নিজেকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত যে, বাবার প্রতি আমাদের কতখানি প্রেম আছে? আমাদের
মধ্যে দৈবী গুণ কতখানি আছে ? কেননা, বাচ্চারা, তোমরা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছো ।
তোমরা যতো যোগে থাকবে, ততই কাঁটা থেকে ফুল এবং সতোপ্রধানও হতে থাকবে । যে অনেক
কাঁটাকে ফুলে পরিণত করে, তাকেই প্রকৃত সুগন্ধী ফুল বলা হয় । সে কখনোই কাউকে কাঁটা
লাগাবে না অর্থাৎ দুঃখ দেবে না । ক্রোধও অনেক বড় কাঁটা । ক্রোধ অনেককেই দুঃখ দেয় ।
এখন তোমরা বাচ্চারা কাঁটার দুনিয়া থেকে পৃথক হয়ে গেছো, তোমরা এখন সঙ্গম যুগে আছো
। মালী যেমন ফুলকে আলাদা পাত্রে রাখে, তেমনই তোমাদের মতো ফুলদেরও এখন সঙ্গম যুগী পটে
আলাদা রাখা হয়েছে । এরপর তোমরা ফুলরা স্বর্গে চলে যাবে । কলিযুগী কাঁটারা ভস্ম হয়ে
যাবে ।
বাবা বলেন - মিষ্টি
বাচ্চারা, তোমরা যত অন্যের কল্যাণ করবে, ততই তোমরা উপহার প্রাপ্ত করবে । অনেককে পথ
বলে দিলে অনেকের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করবে । জ্ঞান রত্নে নিজেদের ঝোলা ভরপুর করে তারপর
দান করতে হবে । জ্ঞানের সাগর তোমাদের রত্নের ঝোলা ভরপুর করে দেন, যারা তার দান করে,
তারাই সকলের প্রিয় হয় । বাচ্চাদের অন্তর কতো খুশীতে ভরপুর হওয়া উচিত । যারা
সেন্সেবেল বাচ্চা হবে, তারা তো বলবে, আমরা বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার
গ্রহণ করবো । একদম ঝলমল করবো । বাবার প্রতি খুবই প্রেম থাকবে, কেননা তারা জানবে যে,
প্রাণ দানকারী বাবাকে পেয়েছি । তিনি আমাদের নলেজের এমন বরদান করেন যাতে আমরা কি
থেকে কি হয়ে যাই, ইনসল্ভেন্ট থেকে সল্ভেন্ট হয়ে যাই । তিনি এতো ভান্ডার ভরপুর করে
দেন । বাবাকে যতো স্মরণ করবে ততই তাঁর প্রতি প্রেম থাকবে, আকর্ষণ থাকবে । সূঁচ যদি
স্বচ্ছ হয় তাহলে চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তাই না । বাবার স্মরণে তোমাদের জং দূর
হয়ে যাবে । এক বাবা ছাড়া যেন দ্বিতীয় কেউ স্মরণে না আসে ।
বাবা বোঝান যে -
মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা গাফিলতি করো না । স্বদর্শন চক্রধারী হও, লাইট হাউস
হও । স্বদর্শন চক্রধারী হওয়ার অভ্যাস যদি ভালো হয়ে যায় তাহলে তোমরা জ্ঞানের
সাগরের সমান হয়ে যাবে । স্টুডেন্ট যেমন পড়ে টিচারের তুল্য হয়ে যায় না, ঠিক তেমন
। তোমাদের কাজই হলো এই । সবাইকে স্বদর্শন চক্রধারী বানাও, তাহলেই চক্রাবর্তী রাজা -
রানী হতে পারবে । বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমাদের ছাড়া আমিও যেন অস্থির হয়ে উঠি । যখন
সময় হয় তখন আমিও যেন অস্থির হয়ে উঠি । ব্যস, এখন আমি যাবো । বাচ্চারা খুব ডাকতে
থাকে, তারা খুবই দুঃখী । বাচ্চাদের প্রতি দয়া হয়, তাই আমি আসি তোমাদের মতো
বাচ্চাদের sab দুঃখ থেকে উদ্ধার করতে । বাচ্চারা, তোমাদের এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে,
তারপর সেখান থেকে তোমরা নিজেরাই সুখধামে ফিরে যাবে । ওখানে আমি তোমাদের সাথী হবো না
। নিজের অবস্থা অনুসারে তোমাদের আত্মা চলে যাবে । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন এবং সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বাবার কারেন্ট অটোমেটিক গ্রহণ করার জন্য খুবই প্রেমের সঙ্গে বাবাকে স্মরণ করতে হবে
। এই স্মরণই তোমাদের হেলদি করবে । কারেন্ট গ্রহণ করলেই তোমাদের আয়ু বৃদ্ধি পাবে ।
এই স্মরণের দ্বারাই বাবার সার্চ লাইট প্রাপ্ত করবে ।
২ ) গাফিলতি ত্যাগ করে
স্বদর্শন চক্রধারী, লাইট হাউস হতে হবে, এতেই জ্ঞানের সাগর হয়ে চক্রবর্তী রাজা -
রানী হয়ে যাবে ।
বরদান:-
সকলকে
খুশীর খবর শুনিয়ে খুশীর খাজানায় ভরপুর ভান্ডার ভব
সদা নিজের এই স্বরূপকে
সামনে রাখো যে, আমরা খুশীর খাজানায় ভরপুর ভান্ডার । যাই অগুণতি আর অবিনাশী সম্পদ
প্রাপ্ত করেছো, সেই সম্পদকে স্মৃতিতে নিয়ে এসো । এই সম্পদকে স্মৃতিতে আনলে খুশী হবে,
আর যেখানে খুশী থাকবে আর যেখানে খুশী আছে সেখানে সদাকালের জন্য দুঃখ দূর হয়ে যায়
। সম্পদের স্মৃতিতে আত্মা সমর্থ হয়ে যায়, ব্যর্থ সমাপ্ত হয়ে যায় । ভরপুর আত্মা
কখনোই অস্থিরতাতে আসে না, সে স্বয়ং যেমন খুশীতে থাকে, আর অন্যদেরও খুশীর খবর শোনায়
।
স্লোগান:-
যোগ্য
হতে হলে কর্ম আর যোগের ব্যালেন্স রাখো ।
অব্যক্ত ইশারা :-
সঙ্কল্পের শক্তি জমা করে শ্রেষ্ঠ সেবার নিমিত্ত হও
সেবাতে বাণীর দ্বারা
সন্দেশ দেওয়াতে সময়ও লাগাও, সম্পত্তিও লাগাও, অস্থিরতাতেও আসো আবার পরিশ্রান্তও
হও... কিন্তু শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পের সেবাতে এইসব বেঁচে যাবে । তাই এই সঙ্কল্প শক্তিকে
বৃদ্ধি করো । দৃঢ়তা সম্পন্ন সঙ্কল্প করো তাহলে প্রত্যক্ষতাও শীঘ্র হবে ।
ড্রামার কিছু গুহ্য
রহস্য (সন্দেশ পুত্রীদের দ্বারা )
১) এই বিরাট ফিল্মে (ড্রামাতে)
প্রতিটি মনুষ্য আত্মার মধ্যে নিজের - নিজের পজিশন অনুসারে সম্পূর্ণ জীবনের জ্ঞান
অথবা অ্যাক্ট আগে থেকেই মার্জ থাকে । জীবাত্মার মধ্যে সম্পূর্ণ জীবনের পরিচিতি
মার্জ থাকার কারণে সময় অনুসারে ইমার্জ হয় । প্রত্যেকের মধ্যেই নিজের - নিজের
সম্পূর্ণতার অবস্থার অনুসারে অ্যাক্ট যা মার্জ আছে, তা সময় মতো ইমার্জ হয়, যাতে
তোমরা প্রত্যেকেই জানি - জানানহার হয়ে যাও ।
২ ) এই বিরাট ফিল্মের
প্রতি সেকেন্ডের অ্যাক্ট নতুন হওয়ার কারণে তোমাদের এই কথা মনে হবে যেন, এখনই এখানে
এসেছি । প্রতি সেকেন্ডের অ্যাক্ট পৃথক হয়ে থাকে, পূর্ব কল্পের মুহূর্ত রিপিট হয়,
কিন্তু যেই সময় প্র্যাক্টিকাল লাইফে চলো, সেই সময় নতুন অনুভব হয় । এই কথা বোঝার
মাধ্যমে এগিয়ে চলো । এমন কেউ বলতে পারে না যে, আমি তো জ্ঞান প্রাপ্ত করে ফেলেছি,
এখন আমি চলে যাবো, এমন নয় । যতক্ষণ না বিনাশ হচ্ছে ততক্ষণ সমস্ত অ্যাক্ট এবং সমস্ত
জ্ঞান নতুন ।
৩) এই বিরাট ড্রামার
যা ভবিতব্য ..... তা নিশ্চিতই তৈরী আছে । এই ভবিতব্যকে কেউ বদলে দেবে বা অন্য কিছু
তৈরী করবে, তা সবই নিজের উপর । নিজের শত্রু আর নিজের মিত্র আমিই । তোমাদের এখন খুবই
রমণীয়, সুইট হতে হবে আর অন্যদেরও তেমনই করতে হবে ।
৪ ) এই বিরাট ফিল্মে
এই সহন করাও তোমাদের জন্য পূর্ব কল্পের এক মিষ্টি স্বপ্ন, কেননা তোমাদের তবুও কিছু
হয় না, তোমাদের যারা বিরক্ত বা অশান্ত করে, তারাও বলবে যে, একে এতো বিরক্ত করেছি,
দুঃখী করেছি কিন্তু এ তো তবুও ডিভাইন ইউনিটি, সুপ্রীম ইউনিটি, বিজয়ী পাণ্ডব হয়ে
থাকে । এই তৈরী ভবিতব্যকে কেউই নষ্ট করতে পারে না ।
৫ ) এই বিরাট ফিল্মে
দেখো কেমন ওয়ান্ডার যে, তোমরা প্রত্যক্ষ পাণ্ডবরা এখানে এসেছো, আর তোমাদের পুরানো
চিত্র আর নিদর্শনও এখনো পর্যন্ত এখানে আছে । যেমন পুরানো কাগজ, পুরানো শাস্ত্র, গীতা
পুস্তক ইত্যাদি যত্ন করে রাখে, তাদের অনেক মানও হয় । তেমনই পুরানো জিনিস থাকা
সত্বেও এখন নতুন জিনিস আবিস্কার হচ্ছে । পুরানো গীতা প্র্যাক্টিকালে থাকা সত্বেও
এখন নতুন গীতা ইনভেণ্ট হয়েছে । পুরানোর অন্ত তখনই হবে যখন নতুনের স্থাপনা হবে ।
এখন তোমরা প্রত্যক্ষভাবে জ্ঞানকে জীবনে ধারণ করাতে দুর্গা - কালী ইত্যাদি হয়েছো ।
এরপর পুরানো স্থূল জড় চিত্রের বিনাশ হয় আর নতুন চৈতন্য স্বরূপের স্থাপনা হয় ।
৬ ) এই বিরাট প্ল্যান
অনুসারে সঙ্গমের এই সুইট সময়ে তোমাদের মতো অনন্য দৈবী বাচ্চারাই বিকারকে জয় করে
বৈকুন্ঠের সুইট লটারী প্রাপ্ত করো । তোমাদের ললাট কতো লাকী । এই সময় তোমরা নর আর
নারীরা অবিনাশী জ্ঞানের দ্বারা পূজ্য যোগ্য দেবতা পদ প্রাপ্ত করো, এই হলো সঙ্গমের
সুন্দর ওয়ান্ডারফুল সময়ের ওয়ান্ডারফুল রীতি ।
৭ ) ঈশ্বর সাক্ষী হয়ে
দেখছেন যে, আমি যেই অ্যাক্টরদের অনেক গয়না, ভূষণের দ্বারা শৃঙ্গার করে এই সৃষ্টি
রূপী স্টেজে ডান্স করার জন্য পাঠিয়েছিলাম, তারা কিভাবে অভিনয় করছে । আমি আমার দৈবী
বাচ্চাদের গোল্ডেন মানি, সিলভার মানি দিয়ে বলেছিলাম যে, এই ভূষণ, এই গয়না পরে
খুশীর সঙ্গে সাক্ষী হয়ে এক্ট করো আর সাক্ষী হয়ে এই খেলাকেও দেখো । এতে আটকে যেও
না, কিন্তু তারা অর্ধেক কল্প রাজ্য - ভাগ্য ভোগ করে তারপর অর্ধেক কল্প নিজের রচিত
মায়াতেই আটকে গেছে । এখন আমি আবার তোমাদের বলছি, এই মায়াকে ত্যাগ করো । এই জ্ঞান
মার্গে বিকারী কার্য থেকে পরিবর্তিত হয়ে নির্বিকারী হলে আদি - মধ্য এবং অন্ত দুঃখ
থেকে মুক্ত হয়ে জন্ম - জন্মান্তরের জন্য সুখ প্রাপ্ত করবে ।
৮ ) নিজের থেকে কোনো
উচ্চ অবস্থা সম্পন্নের দ্বারা যদি কোনো সাবধানতা প্রাপ্ত করো, তাহলে সেই সাবধানতার
রহস্য স্বীকার করে নেওয়াতেই কল্যাণ । এর ভিতরের রহস্যকে বুঝে জানা উচিত যে, এরমধ্যে
অবশ্যই কোনো কল্যাণ লুকানো আছে । এই যে পয়েন্ট আমি তার কাছ থেকে পেয়েছি, তা
সম্পূর্ণ যথার্থ, তা খুবই খুশীর সঙ্গে স্বীকার করা উচিত, কেননা যদি আমার দ্বারা কোনো
ভুলও হয়ে যায়, তাহলে সেই পয়েন্ট স্মরণে আসলে নিজেকে কারেক্ট করে নেবো তাই কোনো
সাবধানী থাকলে খুবই বিশাল বুদ্ধির দ্বারা ধারণ করলে তোমরা উন্নতি প্রাপ্ত করবে ।
৯ ) তোমাদের এখন
নিত্য অন্তর্মুখী হয়ে যোগে থাকতে হবে, কেননা অন্তর্মুখী হলে নিজেকে দেখতে পারবে ।
কেবল দেখবেই না, পরিবর্তনও করতে পারবে । এই হলো সর্বোত্তম অবস্থা । যখন জানো যে,
প্রত্যেকেই নিজের স্টেজ অনুযায়ী পুরুষার্থী, তাই কোনো পুরুষার্থীর জন্যই তর্ক করা
যাবে না কেননা সে তার নিজের স্টেজ অনুযায়ী পুরুষার্থী, তার স্টেজ থেকে তার থেকে
গুণ ধারণ করো । যদি গুণ ধারণ করতে না পারো তাহলে তাকে ছেড়ে দাও ।
১০ ) তোমরা সদা নিজের
সর্বোত্তম লক্ষ্যকে সামনে দেখে নিজেকেই দেখো । তোমরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত
পুরুষার্থী, তোমরা নিজের প্রতি নজর রেখে আগে দৌড়াতে থাকো, যে যাই করুক না কেন,
কিন্তু আমি আমার নিজের স্বরূপে স্থিত আছি, অন্য কাউকে দেখবো না । আমার যোগবলের
বুদ্ধির দ্বারা আমি তার অবস্থাকে জানবো । অন্তর্মুখতার অবস্থা থেকেই তোমরা অনেক
পরীক্ষাতে পাস করতে পারো । আচ্ছা ! ওম্ শান্তি ।