03.06.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এখন তোমরা নতুন সম্বন্ধতে যাচ্ছো, সেইজন্য এখানকার কর্মবন্ধনী সম্বন্ধ গুলিকে ভুলে
কর্মাতীত হওয়ার পুরুষার্থ করো"
প্রশ্নঃ -
বাবা কোন্
বাচ্চাদের বাঃ বাঃ করেন? সবচেয়ে বেশী ভালোবাসা কাদেরকে দেন?
উত্তরঃ
বাবা গরীব
বাচ্চাদের বাঃ বাঃ করেন, বাঃ গরীবি বাঃ ! আরাম করে দুটো রুটি খেতে হবে, লালসা নয়।
গরীব বাচ্চারা বাবাকে ভালোবাসার সাথে স্মরণ করে। বাবা পড়াশুনা না করা বাচ্চাদের
দেখে খুশী হন, কারণ তাদের পড়া জিনিস ভুলে যাওয়ার পরিশ্রম করতে হয় না।
ওম্ শান্তি ।
এখন বাবার
বাচ্চাদের প্রতি রোজ-রোজ বলার দরকার থাকে না যে, নিজেকে আত্মা মনে করো। আত্ম-অভিমানী
ভব অথবা দেহী-অভিমানী ভব... শব্দ তো একই হলো, তাই না ! বাবা বলেন নিজেকে আত্মা মনে
করো । আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা আছে। এক শরীর নিয়ে পার্ট প্লে করে আবার
শরীর বিনাশ হয়ে যায়। আত্মা তো হলো অবিনাশী। বাচ্চারা, তোমাদের এই জ্ঞান এখনই
প্রাপ্ত হয়েছে আর কারোরই এই ব্যাপারে জানা নেই। এখন বাবা বলেন- চেষ্টা করো যথা
সম্ভব বাবাকে স্মরণ করতে। ব্যবসা পত্রে লেগে থাকার কারণে তো স্মরণ এতোটা স্থায়ী হয়
না। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে কমল পুষ্পের মতো পবিত্র হতে হবে। এরপর যতটা সম্ভব আমাকে
স্মরণ করো। এইরকম নয় যে আমাদের এক জায়গায় ধ্যানে বসতে হবে। ধ্যান শব্দটি হলো ভুল।
বাস্তবে হলোই স্মরণ। যেখানেই বসো, বাবাকে স্মরণ করো। মায়ার ঝড় তো খুবই আসবে।
কারোর এটা স্মরণ হবে, কারোর ওটা স্মরণ হবে। ঝড় তো অবশ্যই আসবে আবার ওই সময় সেটা
থামাতেও হবে, যাতে আর না আসে। এখানে বসে বসেও মায়া বিরক্ত করতে থাকে। এটাই তো হলো
যুদ্ধ। যত হাল্কা থাকবে ততই বন্ধন কম হবে। প্রথমে তো আত্মা নির্বন্ধ হয়, যখন জন্ম
নেয় তো মা-বাবার প্রতি বুদ্ধি থাকে, এরপর স্ত্রীকে অ্যাডপ্ট করে, যা কিছু সামনে ছিল
না সে সব সামনে এসে যায়, আবার বাচ্চা জন্মালে তো তাকে মনে পড়ে। এখন তোমরা সকলে এই
সব ভুলে যাবে, এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে, সেইজন্যই বাবার মহিমা আছে। তোমাদের
মাতা-পিতা ইত্যাদি সব কিছুই হলেন তিনিই, ওনাকেই স্মরণ করো। তিনি তোমাদের ভবিষ্যতের
জন্য সব কিছু নতুন দেন। নতুন সম্বন্ধের মধ্যে নিয়ে আসেন। সম্বন্ধ তো সেখানেও থাকবে
তাই না! এরকম তো নয় যে ভীষণ প্রলয় হয়ে যায়। তোমরা এক শরীর ছেড়ে দ্বিতীয় নাও। যারা
খুবই ভালো তারা অবশ্যই উঁচু কুলে জন্ম নেবে। তোমরা অধ্যয়ণ করোই ২১ জন্মের জন্য।
অধ্যয়ণ সম্পূর্ণ হলে পরে প্রালব্ধ শুরু হবে। স্কুলে অধ্যয়ণ করে ট্র্যান্সফার হয়,
তাই না! তোমরাও ট্র্যান্সফার হতে চলেছো- শান্তিধাম এরপর সুখধামে। এই ঘৃণ্য দুনিয়া
থেকে বিতাড়িত হয়ে যাবে। এর নাম হলো নরক। সত্যযুগকে বলা হয় স্বর্গ। এখানে মানুষ কতো
ঘোর অন্ধকারে আছে। ধনবান যারা তারা মনে করে আমাদের জন্য এখানেই হলো স্বর্গ। স্বর্গ
হয়ই নূতন দুনিয়াতে। এই পুরানো দুনিয়া তো বিনাশ হয়ে যাবে। যারা কর্মাতীত অবস্থা
সম্পন্ন হবে তারা কি আর কোনো ধর্ম রাজপুরীতে শাস্তি ভোগ করবে! স্বর্গতে তো শাস্তি
হবেই না। সেখানে গর্ভও মহল রূপে থাকে। দুঃখের কোনো ব্যাপার নেই। এখানে তো গর্ভ জেল
আছে যেখানে শাস্তি পেতেই থাকে। তোমরা কতবার স্বর্গবাসী হও - এটা মনে করলেও সমগ্র
চক্র স্মরণে থাকবে। একটা কথাই লাখ টাকার হয়। ভুলে যাওয়ার কারণে, দেহ-অভিমানে এসে পরে
আর মায়া লোকসান করিয়ে দেয়। এটাই হলো পরিশ্রম। পরিশ্রম ব্যতীত উচ্চ পদ প্রাপ্ত
করতে পারা যায় না। বাবাকে বলে - বাবা আমি হলাম নিরক্ষর, কিছু জানি না। বাবা তো খুশী
হন, কারণ এখানে তো আগের পড়াশুনা করা সব কিছু ভুলতে হবে। এটা তো কিছু সময়ের জন্য
শরীর নির্বাহ ইত্যাদির জন্য পড়তে হয়। জানো তো যে- এই সব নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার জন্য।
যতটা সম্ভব বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর খুশীর সাথে রুটির টুকরো খেতে হবে। লালসা নয়।
আজকাল চাল-ডাল পাওয়া যায় কোথায়! চিনি ইত্যাদিও ধীরে-ধীরে পাওয়াই যাবে না। এরকম নয়
যে তোমরা ঈশ্বরীয় সার্ভিস করো বলে গভর্নমেন্ট দিয়ে দেবে। সে তো কিছু জানে না। হ্যাঁ,
বাচ্চাদের বলা হয়ে থাকে- গভর্নমেন্টকে বোঝাও যে আমরা সকলে মিলে মা-বাবার কাছে যাই,
তাঁদের বাচ্চাদের জন্য টোলি পাঠাতে হয়। এখানে তো পরিষ্কার বলে দেয় যে নেইই। খুব
বেশী হলে অল্প-স্বল্প দেয়। যেমন ফকিরদের মধ্যে কোনো বিত্তশালী কেউ থাকলে হাত ভরে
দেবে। গরীব হলে সামান্য কিছু দেবে। চিনি ইত্যাদি আসতে পারে কিন্তু বাচ্চাদের যোগ কম
হয়ে যায়। স্মরণ না থাকার জন্য, দেহ-অভিমানে আসার জন্য কোনো কাজ হতে পারে না। এই কাজ
পড়াশুনা করে তেমন হবে না, যতোটা যোগের দ্বারা হবে। সেটা খুবই কম আছে। মায়া স্মরণকে
উড়িয়ে দেয়। বাহাদুর যে থাকে আরো বেশী করে ধরে। ভালো-ভালো ফার্স্টক্লাস বাচ্চাদের
উপরও গ্রহের দশা বসে। গ্রহের দশা বসার মুখ্য কারণ হলো যোগ কম হওয়া। গ্রহের দশার
কারণেই নাম-রূপে ফেঁসে মরে। এখানে রয়েছে অনেক বড় লক্ষ্য। যদি সত্যিকারের লক্ষ্যকে
প্রাপ্ত করতে চাও তবে স্মরণে থাকতে হবে। বাবা বলেন - ধ্যানের থেকেও জ্ঞান ভালো।
জ্ঞানের থেকে স্মরণ ভালো। ধ্যানে বেশী যাওয়ার জন্য মায়ার ভূতের প্রবেশ ঘটে। এরকম
অনেকে আছে যারা ফালতু ধ্যানে যায়। কি-কি বলে, ওর উপর বিশ্বাস করতে নেই। জ্ঞান তো
বাবার মুরলীতে প্রাপ্ত হতে থাকে। বাবা খবরদার অর্থাৎ সাবধান করতে থাকেন। ধ্যান কোনো
কাজের না। মায়ার অনেক প্রবেশ ঘটে যায়। অহঙ্কার এসে যায়। জ্ঞান তো সকলের প্রাপ্ত হতে
থাকে। জ্ঞান দেবার জন্য হলেন শিববাবা। মাম্মারও এখান থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত হয় যে না!
ওনাকেও বলে মন্মনাভব। বাবাকে স্মরণ করো, দৈবীগুণ ধারণ করো। নিজেকে দেখতে হবে - আমি
দৈবীগুণ ধারণ করছি? এখানেই দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে। কাউকে দেখো এখনই ফার্স্টক্লাস
অবস্থা, খুশীর সাথে কাজ করে, এক ঘন্টা পরে ক্রোধের ভূত এলো, শেষ। আবার মনে পরে আমি
ভুল করেছি। আবার সংশোধন করে নিজেকে। বারংবার ভুলে যায় যারা এমন অনেকে আছে বাবার কাছে,
এখন দেখো খুবই মধুর, বাবা বলবেন এরকম বাচ্চার জন্য তো বলিদান দেবো। এক ঘন্টা পরে
আবার কোনো না কোনো কথাতে বিকৃত হয়ে যায়। ক্রোধ হলো আর সমস্ত উপার্জন শেষ হয়ে গেলো।
এই উপার্জন তো এই ক্ষতি হয়ে গেলো। সমস্ত কিছু নির্ভর করে স্মরণের উপর। জ্ঞান তো
খুবই সহজ। ছোটো বাচ্চাও বুঝে যাবে। কিন্তু আমি যে, আমি ঠিক যেমনটি, ঠিক সেই যথার্থ
ভাবে জানো। নিজেকে আত্মা মনে করো, এই ভাবে কি আর ছোটো বাচ্চা স্মরণ করতে পারবে!
মানুষকে মরার সময় বলা হয় ভগবানকে স্মরণ করো। কিন্তু স্মরণ করতে পারে না, কারণ
যথার্থ ভাবে কিছুই জানে না। কেউই ফিরে যেতে পারে না। বিকর্মও বিনাশ হয় না। ঋষি-মুনি
ইত্যাদি সকলে পরম্পরায় বলে এসেছে যে, রচয়িতা আর রচনাকে আমি জানি না। তারা তো তবুও
সতোগুণী ছিলো। আজকের তমোপ্রধান বুদ্ধি আবার জানবে কীভাবে। বাবা বলেন এই
লক্ষ্মী-নারায়ণও জানতো না। রাজা-রাণীই জানতো না তো প্রজা জানবে কি করে। কেউই জানে
না। এখন শুধুমাত্র তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারাই জানো। তোমাদের মধ্যেও কেউ আছে যে যথার্থ
ভাবে জানে, বলে বাবা বারে-বারে ভুলে যাই। বাবা বলেন- যেখানেই যাও, শুধুই বাবাকে
স্মরণ করো। খুবই বড় রকমের উপার্জন হলো। তোমরা ২১ জন্মের জন্য নিরোগী হও। এরকম
বাবাকে তো অন্তর্মুখী হয়ে স্মরণ করা উচিত। কিন্তু মায়া ভুলিয়ে নিয়ে ঝড়ের মধ্যে
নিয়ে আসে, এর জন্য অন্তর্মুখী হয়ে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। বিচার সাগর মন্থন
করার ব্যাপারও হলো এখনকার। এটা হলো পুরুষোত্তম হয়ে ওঠার সঙ্গমযুগ। এটাও হলো
ওয়ান্ডার বা বিস্ময়কর, তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা দেখেছো- একই বাড়ীতে তোমরা বলো আমি
হলাম সঙ্গমযুগী আর হাফ পার্টনার বা বাচ্চা ইত্যাদি হলো কলিযুগী। কতো পার্থক্য। খুবই
সূক্ষ্ম ব্যাপার বাবা বোঝান। বাড়ীতে থেকেও বুদ্ধিতে আছে যে আমরা ফুলে পরিণত হওয়ার
জন্য পুরুষার্থ করছি। এটা হলো অনুভবের ব্যাপার। প্র্যাকটিক্যালে পরিশ্রম করতে হবে।
স্মরণের জন্যই হলো পরিশ্রম। একই বাড়ীতে একজন হংস তো দ্বিতীয় জন বক। আবার কেউ খুবই
ফার্স্টক্লাস হয়। কোনো বিকারের ভাবনাও আসে না। সাথে থেকেও পবিত্র থাকে, সাহসীকতা
দেখালে তো তাদের কতো উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে। এরকমও তো বাচ্চা আছে যে না। কাউকে তোশদেখো
বিকারের জন্য কতো মারে- ঝগড়া করে, অবস্থা তেমন হওয়া উচিত যে সংকল্পেও যেন কখনো
অপবিত্র হওয়ার ভাবনা না আসে। বাবা সমস্ত রকম ভাবে রায় দিতে থাকেন। তোমরা জানো যে
শ্রী-শ্রী মতের দ্বারা আমরা শ্রীলক্ষ্মী, শ্রীনারায়ণ হই।*শ্রী মানেই হলো শ্রেষ্ঠ।
সত্যযুগে হলো নম্বর ওয়ান শ্রেষ্ঠ। ত্রেতাতে দুই ডিগ্রী কম হয়ে যায়। বাচ্চারা, এই
জ্ঞান তোমাদের এখনই প্রাপ্ত হয়।
এই ঈশ্বরীয় সভার রীতি
হলো - যাদের কাছে জ্ঞান-রত্নের কদর আছে, কখনো হাই-তোলা ইত্যাদি করে না, তাদের একদম
সামনে বসা উচিত। কোনো-কোনো বাচ্চারা বাবার সামনে বসেও ঢুলতে থাকে, হাই তুলতে থাকে।
তাদের আবার পিছনে গিয়ে বসা উচিত। এই ঈশ্বরীয় সভা হলো বাচ্চাদের। কিন্তু কিছু
ব্রাহ্মণীরা এরকম সকলকেও নিয়ে আসে, নয় তো বাবার থেকে ধন প্রাপ্তি হয়, এক এক ভারশন
লাখ টাকার। তোমরা জানো যে জ্ঞান প্রাপ্তি হয়ই সঙ্গমে। তোমরা বলো যে বাবা আমি আবার
এসেছি অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে। মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চাদের বাবা বারংবার
বোঝান এটা হলো ছিঃ ছিঃ দুনিয়া, তোমাদের হলো অসীম জগতের বৈরাগ্য। বাবা বলেন এই
দুনিয়াতে তোমরা যা কিছু দেখো সেটা কাল আর থাকবে না। মন্দির ইত্যাদির নাম-চিহ্নও
থাকবে না। সেখানে অর্থাৎ স্বর্গে তাদের পুরানো জিনিস দেখার দরকার নেই। এখানে তো
পুরানো জিনিসের কতো মূল্য। বাস্তবে কোনো জিনিসের মূল্যই নেই- এক বাবা ব্যতীত। বাবা
বলেন আমি না গেলে তো তোমরা রাজত্ব প্রাপ্ত করবে কি করে। যাদের জানা আছে তারাই এসে
বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে, সেইজন্য কোটির মধ্যে কেউ বলা হয়। কোনো ব্যাপারে
সংশয় আসা উচিত নয়। ভোগ ইত্যাদিরও নিয়ম রীতি আছে। এতে জ্ঞান আর স্মরণের কোনো
কানেক্শন নেই। আর কোনো ব্যাপারে তোমাদের সম্পর্ক নেই। শুধু দুটো কথা আছে অল্ফ আর
বে, বাদশাহী। অল্ফ ভগবানকে বলা হয়। আঙুল দিয়েও এইরকম ভাবে ইশারা করে তাই না! আত্মা
ইশারা করে যে না! বাবা বলেন, ভক্তি মার্গে তোমরা আমাকে স্মরণ করো। তোমরা সকলে হলে
আমার প্রিয়তমা। এটাও জানো যে প্রতি কল্পে এসে রে কোনো সমস্ত মানুষকেই দুঃখ থেকে বের
করে এনে শান্তি আর সুখ প্রদান করেন, তখন বাবা বলেছিলেন যে বোর্ডে শুধু এটা লিখে দাও
যে সারা বিশ্বে অসীম জগতের পিতা কীভাবে স্থাপন করছেন, আর সেটাই এসে বুঝে যাও। এক
সেকেন্ডে বিশ্বের মালিক ২১ জন্মের জন্য হয়, তাই এসে বোঝো। ঘরে বোর্ড লাগিয়ে দাও,
তিন পায়ের পৃথিবীর উপর তোমরা বিশাল বিশাল হসপিটাল, ইউনিভার্সিটি খুলতে পারো।
স্মরণের দ্বারা ২১ জন্মের জন্য নিরোগী আর পড়াশুনার দ্বারা স্বর্গের বাদশাহী
প্রাপ্ত হয়ে যায়। প্রজাও বলবে যে আমিও হলাম স্বর্গের মালিক। আজ মানুষের লজ্জা করে
কারণ তারা হলো নরকবাসী। নিজেরা বলে-আমার বাবা স্বর্গবাসী হয়েছে, তবে নরকবাসী ছিলো।
যখন মরবে তো স্বর্গে যাবে। কতো সহজ কথা। আচ্ছা, যারা ভালো ভালো কাজ করে তাদের জন্য
বিশেষ ভাবে বলে ইনি খুবই মহাদানী ছিলেন, ইনি স্বর্গে গেছেন। কিন্তু কেউই যায় না।
নাটক সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সকলে একসাথে স্টেজে এসে দাঁড়ায়। এই লড়াইও তখনই শুরু হবে
যখন সমস্ত অ্যাক্টর্স এখানে এসে যাবে আবার ফিরে যাবে। শিবের বরযাত্রী বলে না !
সমস্ত আত্মারা শিববাবার সাথে সমস্ত আত্মারা যাবে। মুখ্য ব্যাপার হলো এখন ৮৪ জন্ম
সম্পূর্ণ হলো। এখন এই জুতোকে (পুরানো শরীর) ছেড়ে দিতে হবে। সাপ যেমন পুরানো খোলস
ছেড়ে নূতন ধারণ করে। তোমরা সত্যযুগে নূতন খোলস বা শরীর ধারণ করবে। শ্রীকৃষ্ণ কতো
সুন্দর, তাঁর কতো আকর্ষণ। শরীর হলো ফার্স্টক্লাস। এরকম আমরাও ধারণ করবো। বলা হয় যে
না- আমি নারায়ণ হবো। এটা তো ছিঃ ছিঃ নোংরা খোলস। এটা ছেড়ে আমরা যাবো নূতন দুনিয়াতে।
এটা মনে করে খুশী কেন হও না, যখন বলো আমি নর থেকে নারায়ণ হচ্ছি। এই সত্য নারায়ণের
কথাকে ভালো ভাবে বোঝো। যা বলছো করে দেখাও। বলা, করা এক হওয়া উচিত। ব্যবসা- বাণিজ্যও
করো, কিন্তু সাথে সাথে বাবা বলেন হাতে কাজ করো, হৃদয় বাবার স্মরণে থাকুক।
যেমন-যেমন ধারণা করবে
তেমনই তোমাদের কাছে নলেজের ভ্যালু হতে থাকবে, নলেজের ধারণার দ্বারা তোমরা কতো ধনবান
হয়ে ওঠো। এটা হলো আধ্যাত্মিক নলেজ। তোমরা হলে আত্মা, আত্মাই শরীর দ্বারা কথা বলে।
আত্মাই জ্ঞান প্রদান করে। আত্মাই ধারণ করে। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
পুরানো দুনিয়ার পুরানো জিনিসকে দেখেও দেখো না । নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য বলা আর
করা এক হতে হবে।
২ ) অবিনাশী জ্ঞান
রত্নের কদর করতে হবে, এটা হলো অনেক বড় উপার্জন, এতে হাই তোলা বা ঢুলতে থাকা উচিত নয়।
নাম-রূপের গ্রহের দশার থেকে বাঁচার জন্য স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করতে হবে।
বরদান:-
বাবার
ছত্রছায়ার নীচে থেকে খারাপ পরিস্থিতিতেও কমল পুষ্পের মতো ডিট্যাচ আর প্রিয় ভব
সঙ্গম যুগে যখন বাবা
সেবাধারী হয়ে আসেন তখন ছত্রছায়ার রূপে বাচ্চাদেরকে সদা সেবা করেন। স্মরণ করলেই
সেকেন্ডে বাবার সাথে থাকার অনুভব হয়। এই স্মরণের ছত্রছায়া যেকোনও খারাপ পরিস্থিতিতে
কমল পুষ্পের মতো ডিট্যাচ এবং প্রিয় বানিয়ে দেয়। পরিশ্রম করতে হয় না। বাবাকে সামনে
নিয়ে এলে, স্ব-স্থিতিতে স্থিত হলে যেকোনও পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
কথা/বিষয়ের
পর্দা, মাঝে আসতে দিও না, তবেই বাবার সাথের অনুভব হতে থাকবে।
অব্যক্ত ঈশারা : -
আত্মিক স্থিতিতে থাকার অভ্যাস করো, অন্তর্মুখী হও
যেকোনও বিঘ্ন থেকে
মুক্তি হওয়ার যুক্তি হল - সেকেন্ডে নিজের স্বরূপ অর্থাৎ আত্মিক জ্যোতি স্বরূপ
স্মৃতিতে এসে যাও আর কর্মে নিমিত্ত ভাবের স্বরূপ - এই ডবল লাইট স্বরূপে স্থিত হয়ে
যাও তাহলে সেকেন্ডে হাইজাম্প দিতে পারবে। কোনও বিঘ্ন উন্নতির পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে
পারবে না।