04.06.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা এখন শ্রীমতের দ্বারা সাইলেন্সের অতি উচ্চ স্থিতিতে পৌঁছে যাও, তোমরা বাবার
কাছে শান্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো, শান্তিতে সব কিছু প্রাপ্তি হয়ে যায়"
প্রশ্নঃ -
নতুন দুনিয়ার
স্থাপনা করবার মুখ্য আধার কি?
উত্তরঃ
পবিত্রতা। বাবা
যখন ব্রহ্মার তনে এসে নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন তখন তোমরা নিজেদের মধ্যে ভাই-বোন হয়ে
যাও। স্ত্রী পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গী দূর হয়ে যায়। এই শেষ জন্মে পবিত্র হও তাই পবিত্র
দুনিয়ার মালিক হয়ে যাও। তোমরা নিজেদের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও যে আমরা ভাই বোন হয়ে
থাকবো। বিকারের দৃষ্টি রাখবো না। একে অপরকে সাবধান করে উন্নতির দিকে এগোবো ।
গীতঃ-
জাগো সজনীরা
জাগো...
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
আত্মা রূপী (রূহানী) বাচ্চারা গান শুনলো এবং বুদ্ধিতে স্বদর্শন চক্র আবর্তিত হলো।
বাবাও স্বদর্শন চক্রধারী স্বরূপে পরিচিত কারণ সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তের জ্ঞানী হওয়া
- এই হল স্বদর্শন চক্রধারী হওয়া। এই কথাগুলো বাবা ছাড়া অন্য কেউ বোঝাতে পারবে না।
তোমরা ব্রাহ্মণ, তোমাদের সম্পূর্ণ টা নির্ভর করছে সাইলেন্সের উপরে। সব মানুষ বলে
থাকে শান্তি দেব, হে শান্তির প্রদাতা.... যদিও কেউ জানেনা শান্তি কে প্রদান করে বা
শান্তিধাম কে নিয়ে যাবে। এই কথা শুধুমাত্র তোমরা বাচ্চারা-ই জানো, ব্রাহ্মণরা ই
স্বদর্শন চক্রধারী স্বরূপ প্রাপ্ত করে। দেবতাগণ স্ব দর্শন চক্রধারী হন না। রাত
দিনের তফাৎ আছে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের বোঝান, তোমরা প্রত্যেকে হলে স্বদর্শন
চক্রধারী - নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে, এটাই হলো
মুখ্য কথা। বাবাকে স্মরণ করা অর্থাৎ শান্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা। শান্তিতে
সবকিছু বিদ্যমান থাকে। তোমাদের আয়ু বৃদ্ধি পায়, নিরোগী কায়া অর্থাৎ শরীর সুস্থ সবল
হতে থাকে। বাবা ব্যতীত কেউ স্বদর্শন চক্রধারী করতে পারেন না। আত্মা-ই এই রূপ ধারণ
করে। আত্মার পিতাও হলেন তিনি কারণ তাঁর সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তের জ্ঞান আছে। গীতও
শুনলে যে এখন নতুন দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে। গীত রচনা তো মানুষ করেছে। বাবা বসে বিষয়ের
সার বস্তুটি বুঝিয়ে দেন। তিনি হলেন সব আত্মাদের পিতা, অর্থাৎ সব আত্মারূপী বাচ্চারা
নিজেদের মধ্যে ভাই-ভাই হলো। বাবা যখন নতুন দুনিয়া রচনা করেন তখন প্রজাপিতা ব্রহ্মা
দ্বারা তোমরা হয়ে যাও ভাই-বোন, প্রত্যেকে হও ব্রহ্মাকুমার কুমারী, এই জ্ঞান বুদ্ধিতে
থাকলে স্ত্রী পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গী নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ এই কথা বোঝেনা যে আমরাও
বাস্তবে হই ভাই -ভাই। যখন বাবা রচনা করেন তখন হই ভাই-বোন। ক্রিমিনাল দৃষ্টিভঙ্গি
দূর হয়। বাবা স্মরণও করিয়ে দেন, তোমরা আহ্বান করেছো হে পতিত-পাবন, এখন আমি এসেছি,
তোমাদের বলি এই শেষ জন্মে পবিত্র থাকো। তাহলে তোমরা পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবে। এই
প্রদর্শনী তো তোমাদের ঘরে-ঘরে থাকা উচিত কারণ তোমরা বাচ্চারা হলে ব্রাহ্মণ। তোমাদের
বাড়িতে এই চিত্র অবশ্যই থাকা উচিত। চিত্র গুলি দিয়ে বোঝানো খুব সহজ। ৮৪-র চক্র তো
বুদ্ধিতে আছে। আচ্ছা - তোমাদেরকে একজন ব্রাহ্মণী বা টিচার দেওয়া হবে। সে এসে
সার্ভিস করে যাবে। তোমরা প্রদর্শনী খুলে দাও। ভক্তি মার্গেও কেউ কৃষ্ণের পুজো অথবা
মন্ত্র জপ ইত্যাদি না জানলে ব্রাহ্মণকে ডেকে নেয়। সে রোজ এসে পুজো করে। তোমরাও চেয়ে
নিতে পারো। এইটি তো খুব সহজ। বাবা প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা সৃষ্টি রচনা করেছিলেন
তবেই তো নিশ্চয়ই ব্রহ্মাকুমার কুমারী ভাই বোন হয়েছে । তারা প্রতিজ্ঞা করেছে আমরা
দুইজনে ভাই বোন হয়ে থাকবো, বিকার যুক্ত দৃষ্টি রাখবো না। একে অপরকে সর্তক করে উন্নতি
করবো। মুখ্য হলো স্মরণের যাত্রা। তারা বিজ্ঞানের সাহায্যে অনেক উপরে যাওয়ার চেষ্টা
করে, কিন্তু কি দুনিয়া আছে নাকি। এই হল বিজ্ঞানের অতি উচ্চ স্থিতিতে যাওয়া। এখন
তোমরা সাইলেন্সের অতি উচ্চ স্থিতিতে যাও, শ্রীমৎ অনুযায়ী। তাদের হলো সায়েন্স, এখানে
তো তোমাদের হলো সাইলেন্স। বাচ্চারা জানে আত্মা স্বয়ং হলো শান্ত স্বরূপ। এই শরীরের
দ্বারা কেবল পার্ট প্লে করতে হয়। কর্ম ছাড়া তো কেউ থাকতে পারে না। বাবা বলেন নিজেকে
শরীর থেকে পৃথক নিশ্চয় করে পিতাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। খুব
সহজ, সবচেয়ে বেশি যারা আমার ভক্ত অর্থাৎ শিবের পূজারী, তাদের বোঝাও। উঁচু থেকে উঁচু
পূজা হলো শিবের, কারণ তিনি-ই হলেন সর্বজনের সদগতি দাতা।
এখন তোমরা বাচ্চারা
জানো বাবা এসেছেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন। নির্দিষ্ট সময়ে আমরাও ড্রামা অনুসারে
কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবো তখন বিনাশ হবে। পুরুষার্থ খুব করতে হবে যাতে আমরা
আত্মারা সতোপ্রধান হই। বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে, শ্রীমৎ ভগবৎ গীতা বলা হয়,
কতখানি উচ্চ মহিমা করা হয়। দেবতাদেরও মহিমা গায়ন করা হয় - সর্বগুণ সম্পন্ন,
সম্পূর্ণ নির্বিকারী .... বাবা স্বয়ং এসে পবিত্র করেন। যখন সম্পূর্ণ দুনিয়া পতিত হয়
তখনই বাবা এসে সম্পূর্ণ পবিত্র দুনিয়া রচনা করেন। সবাই বলে আমরা ভগবানের সন্তান তো
অবশ্যই স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া উচিত। প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা আমরা এখন
ভাই-বোন হয়েছি। কল্প পূর্বেও বাবা এসেছিলেন, শিব জয়ন্তী পালন করা হয়। নিশ্চয়ই
প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হয়েছে। বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করে - বাবা আমরা নিজেদের
মধ্যে কম্প্যানিয়ন হয়ে পবিত্র থাকি। তোমার নির্দেশ মতন চলি। কোনও বড় কথা নয়। এখন এই
হল শেষ জন্ম, এই মৃত্যুলোক শেষ হবে। এখন তোমরা বুদ্ধিমান হয়েছো। কেউ নিজেকে ভগবান
বললে, বলা হবে ভগবান তো হলেন সর্বজনের সদগতি দাতা। তাহলে এই মানুষটি নিজেকে ভগবান
কেন বলছে। কিন্তু তোমরা তবু বুঝবে যে সবই ড্রামার খেলা।
বাচ্চারা, বাবা
তোমাদের স্বদর্শন চক্রধারী বানাচ্ছেন। বাবা বলেন এখন সার্ভিস করতে তৎপর অর্থাৎ
সর্বদা রেডি থাকো। ঘরে-ঘরে প্রদর্শনী খোলো। এর মতন মহান পুণ্য কিছু হয় না। কাউকে
বাবার পরিচয় ও ঠিকানা বলে দেওয়া, এর থেকে ভালো দান কিছু নেই। বাবা বলেন মামেকম্
স্মরণ করো তাহলে পাপ বিনষ্ট হবে। বাবাকে আহ্বানও এই জন্য করা হয় হে পতিত-পাবন,
লিবারেটর, গাইড এসো। তোমাদের নামও পাণ্ডব বলা হয়েছে। বাবাও হলেন পান্ডা। সব
আত্মাদের নিয়ে যাবেন। তারা হল দৈহিক জগতের পান্ডা। ইনি হলেন আত্মিক বা রূহানী। ওই
হল দৈহিক যাত্রা, এই হল রূহানী যাত্রা। সত্যযুগে তো ভক্তি মার্গের দৈহিক যাত্রা হয়
না। সেখানে তোমরা পূজ্য হও, এখন বাবা তোমাদের কতখানি বুদ্ধিমান, বোধ যুক্ত করছেন।
অতএব বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলা উচিত তাইনা। কোনোরকম সংশয় ইত্যাদি থাকলে জিজ্ঞাসা করা
উচিত। এখন বাবা বলেন মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা দেহী-অভিমানী হও। নিজেকে আত্মা নিশ্চয়
করে বাবাকে স্মরণ করো। তোমরা আমার প্রিয় সন্তান তাইনা। অর্ধকল্পের প্রেমিক তোমরা-ই।
একের অনেক নাম রেখে দিয়েছে, কত নাম, কত মন্দির তৈরি করা হয়েছে। যদিও আমি তো একজনই।
আমার নাম শিব। আমি ৫ হাজার বছর পূর্বে ভারতেই এসেছিলাম। বাচ্চাদের অ্যাডপ্ট
করেছিলাম। এখনও অ্যাডপ্ট করছি। ব্রহ্মার সন্তান হওয়ার দরুন তোমরা হলে পৌত্র পৌত্রী
। সবার অধিকার আছে। তোমরা বাচ্চারা এই পুরানো দুনিয়ায় যা কিছু দেখো - সেসব বিনাশ হয়ে
যাবে। মহাভারতের যুদ্ধও হয়েছে সঠিক। অসীম জগতের পিতা অসীম জগতের উত্তরাধিকার
দিচ্ছেন। অসীমের জ্ঞান প্রদান করেছেন। সুতরাং ত্যাগও অসীমের চাই। তোমরা জানো কল্প
পূর্বেও বাবা রাজ যোগ শিখিয়ে ছিলেন, রাজস্ব অশ্বমেধ যজ্ঞ রচনা করেছিলেন তারপরে
রাজত্বের জন্য সত্যযুগী নতুন দুনিয়াও নিশ্চয়ই চাই। পুরানো দুনিয়ার বিনাশও হয়েছিল। ৫
হাজার বছরের কথা তাইনা। এই যুদ্ধ হয়েছিল; যার দ্বারা স্বর্গের গেট খুলেছিল। বোর্ডেও
লিখে দাও - স্বর্গের দ্বার কীভাবে খুলছে - এসে বুঝে নাও। তোমরা না বোঝাতে পারলে
অন্য কাউকে (সেবাধারী) ডেকে নিতে পারো। তারপরে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হয়ে যাবে। তোমরা
অনেক ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণীরা আছো প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান। উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়
শিববাবার কাছে। তিনি হলেন সকলের পিতা। এই কথা তো খুব ভালোরীতি বুদ্ধিতে রাখা উচিত -
আমরা ব্রাহ্মণ আমরা-ই দেবতা হই। আমরা দেবতা ছিলাম আমরা-ই চক্র পরিক্রমণ করি। আমরা
এখন ব্রাহ্মণ হয়েছি পরে বিষ্ণুপুরীতে যাবো। জ্ঞান হল - খুব সহজ। কিন্তু কোটিতে কেউ
একজন জ্ঞান গ্রহণ করে। প্রদর্শনীতে অসংখ্য জন আসে, খুব মুশকিল হয় জ্ঞান গ্রহণ করতে,
কেউ তো শুধুই মহিমা করে যায় খুব ভালো, আমরা আসবো। খুব কমই আছে যারা এসে ৭ দিনের
কোর্স দ্বারা জ্ঞান অর্জন করে, ৭ দিনের কথাও এখন কিছু নয়। গীতা পাঠের দিনও ৭ দিনের
রাখা হয়। সাত দিন তোমাদেরকে ভাট্টিতে আসতে হয়। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে
স্মরণ করলে সমস্ত আবর্জনা দূর হয়ে যাবে। অর্ধকল্পের অসুখ হল দেহ-অভিমানের, সেটি দূর
করতে হবে। দেহী-অভিমানী হতে হবে। ৭ দিনের কোর্স বড় নয়। এক সেকেন্ডেও কাউকে জ্ঞানের
তীর লাগতে পারে। দেরিতে এসেও কেউ এগিয়ে যেতে পারে। তারা বলবে আমরা রেস করে বাবার
কাছে উত্তরাধিকার নিয়েই নেব। অনেকে তো পুরানোদের চেয়েও আগে যায় কারণ ভালো ভালো
পয়েন্টস, রেডিমেড জিনিস পেয়ে যায়। প্রদর্শনী ইত্যাদি বোঝানো অনেক সহজ হয়। নিজে
বোঝাতে না পারলে বোনদের ডেকে নেবে। রোজ এসে কাহিনী বলে যাও। ৫ হাজার বছর পূর্বে এই
লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল, যা ১২৫০ বছর চলেছিল। কত ছোট এই কাহিনী। আমরা দেবতা
ছিলাম আবার আমরা-ই ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হই। আমরা আত্মারা ব্রাহ্মণ হই, আমরা-ই
সেই দেবতা -এর অর্থ কত যুক্তিযুক্ত ভাবে বোঝান। বিরাট রূপও আছে, কিন্তু তাতে
ব্রাহ্মণদের এবং শিববাবাকে লুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। অর্থ কিছুই বোঝে না। এখন বাচ্চারা
তোমাদের পরিশ্রম করতে হবে, স্মরণ করার। অন্য কোনও সংশয়ে আসা উচিত নয়। বিকর্ম জিত হয়ে
উঁচু পদের অধিকারী হতে হলে এই চিন্তন শেষ করতে হবে যে এইসব কেন হয়, এই জন এমন কেন
করে। এই সব কথা ছেড়ে একটি মাত্র চিন্তন যেন থাকে যে আমাদের তমোপ্রধান থেকে
সতোপ্রধান হতে হবে। বাবাকে যত স্মরণ করবে ততই বিকর্মজিত হয়ে উঁচু পদ মর্যাদা
প্রাপ্ত করবে। বাকি ব্যর্থ কথা শুনে নিজের বুদ্ধি খারাপ করবে না। সব কথার মধ্যে একটি
কথা হল মুখ্য - যা ভুলে যেও না। কারো সঙ্গে সময় নষ্ট করবে না। তোমাদের সময় হল খুব
ভ্যালুয়েবল। ঝড় তুফান দেখে ভয় পাবে না। অনেক কষ্ট হবে, ক্ষতি হবে। কিন্তু বাবার
স্মরণ কখনও ভুলবে না। স্মরণ দ্বারা-ই পবিত্র হবে, পুরুষার্থ করে উঁচু পদের অধিকারী
হতে হবে। এই বৃদ্ধ বাবা (ব্রহ্মাবাবা) এত উঁচু পদমর্যাদা প্রাপ্ত করেন , আমরা কেন
এমন অধিকারী হবো না। এইটি হল পড়াশোনা তাইনা। তোমাদের এতে কোনো বইপত্র ইত্যাদি হাতে
নেওয়ার দরকার নেই। বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ কাহিনী আছে। কতখানি ছোট কাহিনী। সেকেন্ডের কথা,
জীবনমুক্তি সেকেন্ডে প্রাপ্ত হয়। মুখ্য কথা হল বাবাকে স্মরণ করো। বাবা যিনি
তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক করেন তাঁকে তোমরা ভুলে যাও ! সবাই তো রাজা হবে না। আরে
তোমরা সকলের চিন্তন কেন করছো ! স্কুলে এইরকম চিন্তা কি করতে হয় যে সবাই স্কলারশিপ
পাবে? পড়া করবে তাইনা। প্রত্যেকের পুরুষার্থ দেখে বোঝা যায় যে এই স্টুডেন্ট কি
পদমর্যাদা প্রাপ্ত করবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
সময়কাল হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ব্যর্থ কথাবার্তায় সময় নষ্ট করবে না। যত ঝড়
তুফানই আসুক, ক্ষয়ক্ষতি হলেও বাবার স্মরণে থাকতে হবে।
২ ) তমোপ্রধান থেকে
সতোপ্রধান হওয়ার চিন্তন করতে হবে, অন্য কোনও চিন্তন করবে না। আমরা সে-ই, সে-ই আমরা
এই ছোট কাহিনীটি খুব যুক্তি সহকারে বুঝতে হবে এবং বোঝাতে হবে।
বরদান:-
মগ্ন
অবস্থার অনুভবের দ্বারা মায়াকে নিজের ভক্ত বানানো মায়াজিৎ ভব
মগ্ন অবস্থার অনুভব
করার জন্য নিজের অনেক টাইটেল বা স্বরূপ, অনেক গুণের শৃঙ্গার, অনেক প্রকারের খুশীর,
আত্মিক নেশার, রচয়িতা আর রচনার বিস্তারের পয়েন্টস্, প্রাপ্তিগুলির পয়েন্টস্ স্মৃতিতে
রাখো, তোমাদের পছন্দ মতো পয়েন্ট মনন চিন্তন করো তাহলে মগ্ন অবস্থা সহজেই অনুভব হবে।
তারপর আর কখনও পরবশ হবে না, মায়া সবসময়ের জন্য নমস্কার করবে। সঙ্গমযুগের প্রথম ভক্ত
মায়া হয়ে যাবে। যখন তোমরা মায়াজিৎ মাস্টার ভগবান হবে তখন মায়া ভক্ত হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
তোমাদের উচ্চারণ আর আচরণ ব্রহ্মা বাবার সমান হলে তখন বলা হবে সত্যিকারের ব্রাহ্মণ।
অব্যক্ত ঈশারা :-
আত্মিক স্থিতিতে থাকার অভ্যাস করো, অন্তর্মুখী হও
নিরন্তর স্মরণে থাকার
সহজ সাধন হল - প্রবৃত্তিতে থেকে পর-বৃত্তিতে থাকা। পর-বৃত্তি অর্থাৎ আত্মিক রূপ।
এইরকম আত্মিক রূপে থাকা আত্মা সদা পৃথক আর বাবার প্রিয় হয়। যখন কোনও কিছু করবে তখন
মনে হবে যেন কোনও কাজ করছে না, খেলা করছে। এই আত্মিক নয়ন, এই আত্মিক মূর্তি এমন
দিব্য দর্পণ হয়ে যাবে, যে দর্পণে প্রত্যেক আত্মা বিনা পরিশ্রমে আত্মিক স্বরূপই দেখবে।