13-07-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 03-02-2006 মধুবন


"পরমাত্ম ভালবাসায় সম্পূর্ণ পবিত্রতার এমন স্থিতি বানাও যাতে ব্যর্থের লেশমাত্র যেন না থাকে"


আজ বাপদাদা চতুর্দিকের প্রভু-প্রিয় নিজের বাচ্চাদের দেখছেন। সারা বিশ্বের কোটি কোটির মধ্যে বাছাই করা কিছুই এই পরমাত্ম ভালবাসার অধিকারী হয়। পরমাত্ম ভালবাসাই তোমরা সব বাচ্চাকে এখানে নিয়ে এসেছে। এই পরমাত্ম ভালবাসা সমগ্র কল্পে এই সময়ই অনুভব করো তোমার। এছাড়া, সবাই সময় অনুসারে আত্মাদের ভালবাসা, মহান আত্মাদের, ধর্ম আত্মাদের ভালবাসা অনুভব করেছ। কিন্তু এখন পরমাত্ম ভালবাসার যোগ্য হয়েছো। যদি কেউ তোমাদের জিজ্ঞাসা করে পরমাত্মা কোথায় তবে কী বলবে? পরমাত্ম বাবা তো আমাদের সাথেই আছেন। আমরা তাঁর সাথেই থাকি। পরমাত্মাও আমাদের ছাড়া থাকতে পারেন না আর আমরাও পরমাত্মাকে ছাড়া থাকতে পারি না। এত ভালবাসা তোমরা অনুভব করছো। গর্বের সাথে তোমরা বলবে তিনি আমাদের হৃদয়ে থাকেন আর আমরা তাঁর হৃদয়ে থাকি। এমন অনুভাবী তোমরা, তাই না! তোমরা অনুভাবী? হৃদয়ে কী আসছে, যদি আমরা অনুভাবী না হই তো কে হবে! বাবাও এমন ভালবাসার অধিকারী বাচ্চাদের দেখে আনন্দিত হন। পরমাত্ম ভালবাসার লক্ষণ হলো - যার প্রতি ভালবাসা থাকে তার জন্য সব কিছু সমর্পণ করার জন্য সহজে তৈরি হয়ে যায়। তো বাবা যা চান, তোমরা সবাই তাঁর প্রত্যেক বাচ্চা যেন বাবা সমান হয়ে যায়, প্রত্যেকের মুখমণ্ডল দ্বারা যেন বাবা দৃশ্যমান হন, এরকম তৈরি হয়েছ তো না? বাপদাদার মনপছন্দ স্থিতি তোমরা জানো তো, তাই না? বাপদাদার মনপছন্দ স্থিতি হলো সম্পূর্ণ পবিত্রতা। এই ব্রাহ্মণ জীবনের ফাউন্ডেশনও পবিত্রতা। সম্পূর্ণ পবিত্রতার গুণ কি তা' তোমরা জানো তো না? সংকল্প আর স্বপ্নেও অপবিত্রতার বিন্দুমাত্রও নামচিহ্ন থাকবে না। বাপদাদা আজকালকার সময়ের নৈকট্য অনুসারে বারবার তোমাদের অ্যাটেনশন আকর্ষণ করছেন - সম্পূর্ণ পবিত্রতার হিসেবে ব্যর্থ সংকল্পও সম্পূর্ণতা নয়। তো চেক করো ব্যর্থ সংকল্প চলে কিনা। যে কোনো ধরনের ব্যর্থ সংকল্প সম্পূর্ণতা থেকে দূরে করে দেয় না তো? পুরুষার্থে তোমরা যত এগিয়ে যেতে থাকো, রয়্যাল রূপে ব্যর্থ সংকল্প তোমাদের সময় নষ্ট করে দেয় না তো? অভিমান আর অপমান রয়্যাল রূপে ব্যর্থ সংকল্প রূপে আক্রমণ করে না তো? যদি অভিমান বশতঃ পরমাত্ম কোনও দানকে নিজের বিশেষত্ব মনে করলে সেই বিশেষত্বের অভিমান তাকে নিচে নিয়ে আসে। এটা বিঘ্নরূপ হয়ে যায় আর অভিমানও সূক্ষ্মরূপে এটাই আসে যা তোমরা জানো - আমিত্ব ভাব আসে, আমার নাম, মান মর্যাদা থাকা উচিত। এই আমিত্ব ভাব অভিমানের রূপ নিয়ে নেয়। এই ব্যর্থ সংকল্পও সম্পূর্ণতা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। কেননা, বাপদাদা এটাই চান - স্বমান, না অভিমান, না অপমান। ব্যর্থ সংকল্প আসার এটাই কারণ।

বাপদাদা সব বাচ্চাকে ডবল মালিক ভাবের নিশ্চয় আর নেশাতে দেখতে চান। ডবল মালিক ভাব কী? এক তো হলো বাবার ভাণ্ডারের মালিক, আরেক হলো স্বরাজ্যের মালিক। দুইই মালিক ভাব। কেননা, সবাই তোমরা বালকও আর মালিকও। কিন্তু বাপদাদা দেখেছেন বালক তো সবাই অবশ্যই, কেননা সবাই তোমরা বলো আমার বাবা। তো আমার বাবা অর্থাৎ বালক তোমরা অবশ্যই কিন্তু বালকের সাথে দুই প্রকারের মালিক। তো মালিক ভাবের ক্ষেত্রে তোমরা নম্বরক্রমে হয়ে যাও। আমি বালক তথা মালিকও। উত্তরাধিকারের ভাণ্ডার তোমাদের প্রাপ্ত হয়েছে সেইজন্য বালক ভাবের নিশ্চয় আর নেশা থাকে, কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি নিশ্চয়ের নেশার ব্যাপারে তোমরা নম্বরক্রমে হয়ে যাও। স্বরাজ্য অধিকারী মালিক হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে মন বিঘ্ন ঘটায়। মনের মালিক হয়ে কখনও মনের পরবশ হয়ো না। তোমরা বলো বটে, তোমরা স্বরাজ্য অধিকারী, তবে স্বরাজ্য অধিকারী অর্থাৎ রাজা, যেমন ব্রহ্মা বাবা প্রতিদিন চেকিং ক'রে মনের মালিক হয়ে বিশ্বের মালিকের অধিকার প্রাপ্ত ক'রে নিয়েছেন। তেমন রাজার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন বুদ্ধি তো মন্ত্রী, এই ব্যর্থ সঙ্কল্পও মনে উৎপন্ন হয়, তো মন তোমাকে ব্যর্থ সংকল্পের বশ করে দেয়। যদি অর্ডার না চালনা করো তবে মন চঞ্চল হওয়ার কারণে পরবশ করে নেয়। সুতরাং চেক করো। বাস্তবে, মনকে ঘোড়া বলা থাকে, কারণ মন চঞ্চল তো না! আর তোমাদের কাছে শ্রীমৎ রূপী লাগাম আছে। যদি শ্রীমতের লাগাম সামান্যও ঢিলা হয় তবে মন চঞ্চল হয়ে যায়। লাগাম কেন ঢিলা হয়? কারণ কোথাও না কোথাও সাইড সিন দেখতে শুরু করে দেয়। আর যখন লাগাম ঢিলা হয় তখন মন চান্স পেয়ে যায়। সুতরাং আমি বালক তথা মালিক, সদা এই স্মৃতিতে থাকো। চেক করো, ভাণ্ডারেরও মালিক তো স্বরাজ্যেরও মালিক, ডবল মালিক হয়েছ কিনা। যদি মালিক ভাব কম হয় তাহলে দুর্বল সংস্কার ইমার্জ হয়ে যায়। আর সংস্কারের ব্যাপারে তোমরা কী বলো? আমার সংস্কার এরকম, আমার নেচার এরকম, কিন্তু এটা কি আমার? যখন বলো তখন এরকমই বলো, আমার সংস্কার। এটা আমার? আমার সংস্কার বলা এটা কি রাইট? রাইট? আমার? নাকি রাবণের সম্পত্তি? দুর্বল সংস্কার রাবণের সম্পত্তি, সেটা আমার কীভাবে বলতে পারো! আমার সংস্কার কোনটা? বিশ্ব কল্যাণ। শুভ ভাবনা, শুভ কামনা। সুতরাং কোনও দুর্বল সংস্কারকে আমার সংস্কার বলাই রং। আর, মনে করো 'আমার সংস্কার' যদি হৃদয়ে বসিয়ে দিয়েছ, তবে অশুদ্ধ জিনিস বসিয়ে দিয়েছ হৃদয়ে। আমার জিনিসের প্রতি ভালবাসা থাকে তো না! সুতরাং আমার মনে করায় নিজের হৃদয়ে জায়গা দিয়ে দিয়েছ। সেইজন্য অনেকবার বাচ্চাদের বহু যুদ্ধ করতে হয় কেননা, অশুভ আর শুভ দুইকে যদি হৃদয়ে বসিয়ে দাও তবে উভয়ে কী করবে? যুদ্ধই তো করবে। যখন এটা সংকল্পে আসে, তখন বাণীতেও আসে 'আমার সংস্কার'। সুতরাং চেক করো, এই অশুভ সংস্কার আমার সংস্কার নয়। সংস্কার পরিবর্তন করতে হবে।

বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে তাদের আচরণ এবং মুখমণ্ডল পদম্ পদম্ গুন ভাগ্যবান রূপে দেখতে চান। অনেক বাচ্চারা বলেন, ভাগ্যবান তো হয়েছি কিন্তু চলতে ফিরতে ভাগ্য যে ইমার্জ হবে সেটা মার্জ হয়ে যায় এবং বাপদাদা সবসময় সব বাচ্চার মস্তকে ভাগ্যের নক্ষত্র ঝলমলে দেখতে চান। যে কেউই তোমাদের দেখবে তাদের যেন তোমাদের মুখমণ্ডল এবং আচরণ দ্বারা ভাগ্যবান প্রতীয়মান হয়। তবেই তোমরা সব বাচ্চার দ্বারা বাবার প্রত্যক্ষতা হবে। কেননা, বর্তমান সময়ে মেজরিটি অনুভব করতে চায়, যেমন আজকাল সায়েন্স প্রত্যক্ষ রূপে দেখায়, অনুভব করায়, তাই তো না! গরমেরও অনুভব করায়, ঠাণ্ডারও অনুভব করায়। তো সাইলেন্সের শক্তি দ্বারাও অনুভব করতে চায়। যত তোমরা নিজেরা অনুভবে থাকবে ততো অন্যদেরও অনুভব করাতে পারবে। বাপদাদা ইশারা দিয়েছেনই এখন কম্বাইন্ড সেবা করো। শুধু আওয়াজ দ্বারা নয়, বরং আওয়াজের সাথে অনুভাবীমূর্ত হয়ে অনুভব করানোরও সেবা করো। কোনো না কোনো শান্তির অনুভব, খুশির অনুভব, আত্মিক ভালবাসার অনুভব..., অনুভব এমন জিনিস যা একবারও যদি অনুভব হয় তবে ছাড়তে পারে না। শোনা ব্যাপার ভুলে যেতে পারে কিন্তু অনুভবের জিনিস ভোলে না। সেটা অনুভব যে করায় তার কাছে নিয়ে আসে।

সবাই জিজ্ঞাসা করে যে ভবিষ্যতের জন্য কী নতুনত্ব করবো? তো বাপদাদা দেখেছেন যে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সার্ভিস তো সবাই করছে, প্রত্যেক বর্গও করছে। আজও অনেক বর্গ একত্রিত হয়েছে, তাই না! তোমরা মেগা প্রোগ্রামও করে নিয়েছো, সমাচার তো তোমরা দিয়ে দিয়েছ, অভিযোগ থেকে নিজেদের বের করে নিয়েছ, এর জন্য অভিনন্দন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েনি যে এই জ্ঞান পরমাত্ম জ্ঞান। ব্রহ্মা কুমারীরা ভালো কার্য করছে, ব্রহ্মা কুমারীদের জ্ঞান খুব ভালো কিন্তু এটা পরমাত্ম জ্ঞান, পরমাত্ম কার্য চলছে এই আওয়াজ ছড়িয়ে পড়া দরকার। মেডিটেশন কোর্সও করাচ্ছো, পরমাত্মার সাথে আত্মার কানেকশনও জুড়ে দিচ্ছো, কিন্তু পরমাত্ম কার্য স্বয়ং পরমাত্মা করাচ্ছেন, সেটা খুব কম সংখ্যকই অনুভব করে। আত্মা আর ধারণা এটা প্রত্যক্ষ হচ্ছে, তোমরা ভালো ভাবে কার্য করছ, ভালো বলেও থাকো, ভালো শেখাও, এই পর্যন্ত ঠিক আছে। তারা বলে তোমাদের নলেজ ভালো কিন্তু এটা পরমাত্ম নলেজ... এই আওয়াজ বাবার কাছে নিয়ে আসবে আর যত বাবার কাছে আসবে আপনা থেকেই তত অনুভব করতে থাকবে। তো প্ল্যান আর ভাষণে এমন কিছু রত্ন (শক্তি) ভরো তারা যাতে পরমাত্মার কাছে এসে যায়। দিব্য গুণের ধারণার প্রতি তাদের অ্যাটেনশন গেছে, তোমরা তাদেরকে আত্মার জ্ঞান দাও, পরমাত্মার জ্ঞান দাও এটা তারা বলে, কিন্তু পরমাত্মা এসে গেছেন, পরমাত্ম কার্য স্বয়ং পরমাত্মা চালনা করছেন এই প্রত্যক্ষতা চুম্বকের মতো কাছে নিয়ে আসবে। তোমরাও তখনই কাছে এসেছো যখন বুঝেছ বাবাকে খুঁজে পেয়েছো, বাবার সঙ্গে মিলন করতে হবে। মেজরিটি স্নেহী হয়েছে, সেটা কী বুঝে? কার্য খুব ভালো। ব্রহ্মা কুমারীরা যে কার্য করছে তা' আর কেউ করতে পারে না, তারা পরিবর্তন করায়। কিন্তু তারা এতটা কাছে আসে না যে অনুভব করবে পরমাত্মা বলছেন এবং পরমাত্মার থেকে তাদের উত্তরাধিকার নিতে হবে। কেননা, লোকে আগে বুঝত না যে ব্রহ্মা কুমারীরা কী করে, তাদের নলেজ কী, এখন তারা বুঝতে শুরু করেছে। যতই হোক, যদি তারা পরমাত্ম প্রত্যক্ষতা বুঝতে পারত, যদি বুঝতে পারত যে এটা পরমাত্ম জ্ঞান তখন তারা নিজেদের থামাতে পারতো কী! যেমন তোমরা ছুটতে ছুটতে এখানে এসেছিলে ঠিক তেমনই তারাও ছুটবে। তো এখন এরকম প্ল্যান বানাও, এমন ভাষণ তৈরি করো, পরমাত্ম অনুভূতির এমন প্র্যাকটিক্যাল প্রমাণ হও। তবেই বাবার প্রত্যক্ষতা প্র্যাকটিক্যালি দৃশ্যমান হবে। এখন, এটা ভালো এত দূর পর্যন্ত তোমরা পৌঁছেছো। প্রত্যেককে ভালো হতে হবে এই তরঙ্গ পরমাত্ম ভালবাসার অনুভূতি থেকে হবে। সুতরাং অনুভাবী মূর্ত হয়ে অনুভব করাও। আচ্ছা। এখন ডবল মালিক ভাবের স্মৃতি দ্বারা সমর্থ হয়ে সমর্থ বানাও। আচ্ছা এখন কী করতে হবে?

সেবার টার্ন পাঞ্জাব জোনের - হাত নাড়াও। এটা ভালো, যে জোনেরই টার্ন মেলে তারা মুক্ত হৃদয়ে এখানে এসে যায়। ভালো চান্স নিয়ে নেয়। বাপদাদাও খুশি হন যে প্রতিটা জোন ভালোই সেবার চান্স নেয়। কমনলি, পাঞ্জাবকে সবাই বলে, শের (বাঘ), পাঞ্জাব শের। আর বাপদাদা বলেন শের অর্থাৎ বিজয়ী। তো সদা যারা পাঞ্জাবের তাদের নিজেদের মস্তকের মাঝখানে বিজয়ের তিলক অনুভব করতে হবে। বিজয় তিলক প্রাপ্ত হয়েছে, সদা এই স্মৃতি যেন থাকে আমিই কল্প কল্পের বিজয়ী। ছিলাম, আছি আর কল্প কল্প হবো। এটা ভালো। যারা ওয়ারিশ কোয়ালিটির তাদেরকে বাবার সামনে আনার প্রোগ্রাম বানাচ্ছে পাঞ্জাব, তাই তো না! এখনো বাপদাদার সামনে ওয়ারিশ কোয়ালিটি নিয়ে আসেনি। স্নেহী কোয়ালিটি এনেছে, সব জোন স্নেহী-সহযোগী কোয়ালিটি এনেছে, কিন্তু ওয়ারিশ কোয়ালিটি আনেনি। প্রস্তুত করছে, তাই না! সব রকম প্রয়োজন তো না! ওয়ারিশও প্রয়োজন, স্নেহীও প্রয়োজন, সহযোগীও প্রয়োজন, মাইকও প্রয়োজন, মাইটও প্রয়োজন। সব রকমের প্রয়োজন। এটা ভালো, সেন্টারে তো বৃদ্ধি হচ্ছে। প্রত্যেকে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সেবাতে বৃদ্ধি করছেও, এখন দেখবো কোন জোনে এই প্রত্যক্ষতা হয় - পরমাত্মা এসে গেছেন। বাবাকে কোন্ জোন প্রত্যক্ষ করে সেটা বাপদাদা লক্ষ্য রাখছেন। ফরেন করবে? ফরেনও করতে পারে। পাঞ্জাব নম্বর নিয়ে নাও। নিয়ে নাও, এটা ভালো। সবাই সহযোগ দেবে তোমাদের। বহু সময় ধরে চেষ্টা করছে, ইনিই তিনি, ইনিই তিনি, ইনিই তিনি, এই আওয়াজ ছড়িয়ে দেওয়ার। এখন হলো - ইনিও আছেন। তারা এটা বলছে না ইনিই তিনি। তো পাঞ্জাব কী করবে? এই আওয়াজ যেন আসে একমাত্র ইনিই তিনি, ইনিই তিনি... টিচার্স, ঠিক আছে? কবে করবে? এ' বছরে করবে তোমরা? নতুন বছর শুরু হয়েছে তো না! তো নতুন বছরে কিছু নবীনত্ব তো হওয়া উচিত, তাই না! ইনিও আছেন, এতো অনেক শুনে নিয়েছ! যেমন তোমাদের মনে কেবল বাবা, বাবা, বাবা আপনা থেকেই স্মরণে থাকেন, ঠিক তেমনই তাদের মুখ থেকে বের হতে হবে আমাদের বাবা এসে গেছেন। আমার বাবা, আমার বাবা, চারদিকে তাদের সবার থেকে যেন এই আওয়াজ বের হয়, কিন্তু আরম্ভ তো একদিক থেকে হবে, তাই না! তো পাঞ্জাব তোমরা চমৎকার করবে? কেন করবো না, করতেই হবে। খুব ভালো। ইন অ্যাডভান্স অভিনন্দন। আচ্ছা।

সব তরফের সকল অধ্যাত্ম গোলাপ বাচ্চাদের সদা বাবার অতি প্রিয় এবং দেহ ভাব থেকে অতি স্বতন্ত্র, বাপদাদার হৃদয়ের আদরের বাচ্চাদের, সদা এক বাবা, একাগ্র মন আর একরস স্থিতিতে থাকে এমন বাচ্চাদের, চতুর্দিকের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে থেকেও যারা সায়েন্সের সাধন দ্বারা মধুবনে পৌঁছায়, সমুখে দেখে, এমন সব প্রিয়, হারানিধি, কল্প কল্পের পরমাত্ম ভালোবাসার যোগ্য অধিকারী সেই বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর হৃদয়ের পদম্ পদম্ গুন আশীর্বাদ স্বীকৃত হোক আর তার সাথে ডবল মালিক বাচ্চাদেরকে নমস্কার।

দাদিজীর প্রতি : - মধুবনের হিরো অ্যাক্টর, সদা জিরো স্মরণে থাকে। যদি বা শরীর চলছে না, একটু ধীরে ধীরে চলে কিন্তু সবার ভালবাসা আর শুভ ভাবনা শুভ কামনা চালাচ্ছে। বাবার তো আছেই, সেইসঙ্গে সবার রয়েছে। দাদিকে সবাই খুব ভালোবাসো তো না! দেখো, সবাই এটাই বলে যে দাদিদের চাই, দাদিদের চাই, দাদিদের চাই...। তো দাদিদের বিশেষত্ব কী? দাদিদের বিশেষত্ব হলো প্রতিটা পদক্ষেপ নেন বাবার শ্রীমতে। মনকেও বাবার স্মরণ আর সেবাতে সমর্পণ করে। তোমরাও সবাই এমনই করছ তো না! মনকে সমর্পণ করো। বাপদাদা দেখেছেন, মন দারুণ চমৎকার করে দেখায়। কী চমৎকার করে? চঞ্চল হয়। মনকে একাগ্র হতে দাও, পতাকা যেমন উপরে করো না ঠিক তেমনই মনের পতাকা শিব বাবা, শিববাবাতে মন যেন একাগ্র হয়ে যায়। সেই সময় আসছে, কাছে আসছে। কখনো কখনো বাপদাদা খুব ভালো ভালো সংকল্প শোনেন। সবার লক্ষ্য খুব ভালো। আচ্ছা। খুব অল্প দাদিরাই আছেন। পছন্দের দাদিরা এখন হাতে গোনা কয়েকজন আছেন। দাদিদের প্রতি সবার ভালোবাসা আছে তো না! আচ্ছা। (সব দাদি এভাবেই যেন চলতে থাকেন) এখন তো তাঁরা আছেনই, তাই না! এখন তো কোশ্চেনই নেই। আচ্ছা। দেখ, হল্ এর শোভা কত সুন্দর! মালার মতো লাগে, তাই না! আর মালার মাঝখানে দানাসকল বসে আছে। আচ্ছা।

বরদান:-
সাইলেন্সের শক্তির দ্বারা সেকেন্ডে মুক্তি আর জীবনমুক্তির অনুভব করিয়ে বিশেষ আত্মা ভব

বিশেষ আত্মাদের লাস্ট বিশেষত্ব হলো - তারা সেকেন্ডে যে কোনো আত্মাকে মুক্তি আর জীবনমুক্তির অনুভাবী বানিয়ে দেবে। শুধু রাস্তা বলে দেবে না বরং এক সেকেন্ডে শান্তির অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব করাবে। জীবনমুক্তির অনুভব হলো সুখ আর মুক্তির অনুভব হলো শান্তি। সুতরাং যে কেউই সামনে আসবে সে এটার অনুভব করবে। যখন এমন স্পিড হবে তখন সায়েন্সের ওপরে সাইলেন্সের বিজয় দেখতে দেখতে প্রত্যেকের মুখ থেকে বাহ্ বাহ্ এর আওয়াজ বের হবে এবং প্রত্যক্ষতার দৃশ্য সামনে আসবে।

স্লোগান:-
বাবার সব আজ্ঞায় নিজেকে সমর্পণ করে সত্যিকারের বহ্নিপতঙ্গ হও।

অব্যক্ত ইশারা :- সংকল্পের শক্তি জমা করে শ্রেষ্ঠ সেবার নিমিত্ত হও এখন যেমন বাবার দ্বারা ডিরেকশন দিতে হয় তেমনই শ্রেষ্ঠ সংকল্পের দ্বারা সমস্ত কাজকর্ম চালাতে পারো।যারা সায়েন্সের লোক তারা মহাকাশে যখন থাকে নিচে পৃথিবী থেকে উপর পর্যন্ত ডিরেকশন নিতে থাকে। তো তোমরা কী শ্রেষ্ঠ সংকল্পের শক্তি দ্বারা সমস্ত কাজকর্ম চালাতে পারো না। তারা যেমন কথাবার্তা বলে বিষয়বস্তু স্পষ্ট করে তেমনই ভবিষ্যতে সঙ্কল্প দ্বারা সমস্ত কাজকর্ম চলবে, তার জন্য শ্রেষ্ঠ সংকল্পের স্টক জমা করো।