16.07.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
যিনি সকলের সদ্গতি করেন, জীবনমুক্তি দাতা, তিনি তোমাদের বাবা হয়েছেন, তোমরা হলে
তাঁর সন্তান, তবে কতোই না নেশা থাকা উচিত"
প্রশ্নঃ -
কোন্
বাচ্চাদের বুদ্ধিতে বাবার স্মরণ নিরন্তর টিকে থাকে না?
উত্তরঃ
যাদের পুরোপুরি
নিশ্চয় নেই, তাদের বুদ্ধিতে স্মরণ টিকে থাকে না। আমাদের কে শেখাচ্ছেন, এই কথা না
জানলে স্মরণ কাকে করবে। যারা যথার্থ রূপে চিনে বাবাকে স্মরণ করে, তাদেরই বিকর্ম
বিনষ্ট হয়। বাবা স্বয়ং এসে নিজের আর নিজ ধামের যথার্থ পরিচয় দেন ।
ওম্ শান্তি ।
এখন ওম্
শান্তির অর্থ তো সর্বদা বাচ্চাদের স্মরণে থাকবে। আমরা আত্মা, আমাদের নিবাস হল
নির্বাণ ধাম বা মূলবতন। যদিও ভক্তিমার্গে মানুষ যা পুরুষার্থ করে তবু তাদের জ্ঞান
থাকে না কোথায় যেতে হবে। কিসে সুখ আছে, দুঃখ কিসে আছে, কিছুই জানা নেই। যজ্ঞ, তপ,
দান, পুণ্য, তীর্থ ইত্যাদি করে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসে। এখন তোমরা জ্ঞান পেয়েছো
তো ভক্তি বন্ধ হয়ে যায়। কাঁসর, ঘন্টা সেই বাতাবরণ সব বন্ধ। নতুন দুনিয়া ও পুরানো
দুনিয়ায় তফাৎ তো আছে তাইনা। নতুন দুনিয়া হলো পবিত্র দুনিয়া। বাচ্চারা, তোমাদের
বুদ্ধিতে আছে সুখ ধাম। সুখধামকে স্বর্গ, দুঃখধামকে নরক বলা হয়। মানুষ শান্তি চায়,
কিন্তু সেখানে কেউ যেতে পারে না। বাবা বলেন আমি যতক্ষণ না ভারতে আসছি ততক্ষণ আমি
ছাড়া তোমরা বাচ্চারা যেতে পারো না । ভারতেই শিবজয়ন্তী গান করা হয়। নিরাকার নিশ্চয়ই
সাকারে আসবেন তাইনা। শরীর ব্যতীত আত্মা কিছু করতে পারে কি ? শরীর ব্যতীত আত্মা তো
বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়। অন্য শরীরে প্রবেশ করে। কেউ ভালো, কেউ চঞ্চল হয়, একেবারে
পাগল করে দেয়। আত্মার অবশ্যই শরীর চাই। ঠিক তেমনই পরমপিতা পরমাত্মারও শরীর না থাকলে
তিনি ভারতে এসে কি করবেন ! ভারতই হল অবিনাশী ভূ খন্ড। সত্যযুগে একটি মাত্র ভারত
খন্ড থাকে। অন্য সব খন্ড গুলি বিনাশ হয়ে যায়। গায়ন আছে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম
ছিল। এরা যদিও আদি সনাতন হিন্দু ধর্ম বলে দিয়েছে। বাস্তবে প্রথমে কেউ হিন্দু নয়,
দেবী-দেবতারা ছিলেন। ইউরোপবাসী নিজেদের খ্রীস্টান বলে। ইউরোপিয়ান ধর্ম তো বলা হয়
না। কিন্তু এখানে হিন্দুস্তান-বাসীদের হিন্দু বলা হয়েছে। যে দৈবী ধর্ম শ্রেষ্ঠ ছিল,
সেই ধর্ম টি ৮৪ জন্মে এসে ধর্ম ভ্রষ্ট হয়েছে। যারা দেবতা ধর্মের হবে তারা-ই এখানে
আসবে। যদি দৃঢ় নিশ্চয় না থাকে তবে বুঝতে হবে এই ধর্মের নয়। যদিও এইখানে বসে থাকবে
তবুও জ্ঞান তাদের বোধগম্য হবে না। সেখানে প্রজায় কোনো কম পদ মর্যাদা পাবে তারা।
সবাই চায় সুখ-শান্তি, সে তো প্রাপ্ত হয় সত্যযুগে। সবাই তো সুখধামে যাবে না। সব ধর্ম
নিজের-নিজের সময়ে আসে। অনেক ধর্ম আছে, বৃক্ষের বৃদ্ধি হতেই থাকে। মূল শিকড় হলো
দেবী-দেবতা ধর্ম। তারপরে হয় তিনটি টিউব (তিনটি মুখ্য ধর্ম) । স্বর্গে তো এইসব হতে
পারে না। দ্বাপর যুগ থেকে নতুন ধর্ম আসে, যাকে ভ্যারাইটি হিউম্যান ট্রি বলা হয়।
বিরাট রূপ আলাদা, এটি হলো ভ্যারাইটি ধর্মের বৃক্ষ। ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের মানুষ আছে।
তোমরা জানো কয়টি ধর্ম আছে। সত্যযুগ আদি কালে একটি ধর্ম ছিল, নতুন দুনিয়া ছিল।
বাইরের মানুষও জানে, ভারত-ই প্রাচীন স্বর্গ ছিল। খুবই বিত্তশালী ছিল তাই ভারতের
সম্মান অনেক। কোনও বিত্তবান, দরিদ্র হলে তাকে দয়া করা হয়। দীনহীন ভারত এখন কি রূপে
পরিণত হয়েছে! এইসবেরও ড্রামায় পার্ট আছে। বলাও হয় সবচেয়ে দয়ালু হলেন ঈশ্বর এবং তিনি
আসেনও কেবল ভারতে। গরিবদের দয়া ধনীরাই করবে, তাইনা। বাবা হলেন অসীম জগতের বিত্তবান,
উঁচু থেকে উঁচু স্থান প্রদান করেন তিনি। তোমরা কাঁর সন্তান হয়েছো সেই পরিচয়ের নেশা
থাকা উচিত। পরম পিতা পরমাত্মা শিবের আমরা সন্তান, একেই জীবনমুক্তি দাতা, সদগতিদাতা
বলা হয়। জীবনমুক্তি সর্বপ্রথমে সত্যযুগে হয়। এখানে তো হল জীবনবন্ধ। ভক্তি মার্গে
প্রার্থনা করে বাবা বন্ধনমুক্ত করো। এখন তোমরা আর এই প্রার্থনা করতে পারো না।
তোমরা জানো, বাবা
হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনি ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফির সার বোঝাচ্ছেন। তিনি হলেন
নলেজফুল। তিনি (ব্রহ্মাবাবা) তো নিজেই বলেন আমি ভগবান নই। তোমাদের তো দেহ থেকে পৃথক
দেহী-অভিমানী হতে হবে। সম্পূর্ণ দুনিয়াকে, নিজের শরীরকেও ভুলে যেতে হবে। ইনি ভগবান
নন। ব্রহ্মাবাবাকে বলা হয় বাপদাদা। শিববাবা হলেন উঁচু থেকে উঁচুতে। এই হলো (ব্রহ্মাবাবার
শরীর) পুরানো শরীর। মহিমা কেবল এক শিববাবার। তাঁর সঙ্গেই যোগযুক্ত হতে হবে তবেই
পবিত্র হবে। তা নাহলে কখনোই পবিত্র হতে পারবে না এবং শেষ সময়ে হিসেব নিকেশ মিটিয়ে
সাজা ভোগ করে চলে যাবে। ভক্তি মার্গে আমিই সে-ই, সে-ই আমি... এই মন্ত্রটি শুনেছো।
আমরা আত্মারা পরম পিতা পরমাত্মা, সে-ই আমরা আত্মা - এই ভুল মন্ত্রটি পরমাত্মার
বিপরীত দিকে নিয়ে যায়। বাবা বলেন - বাচ্চারা, যে পরমাত্মা সেই আত্মাই আমরা বলাটা
একেবারেই ভুল। বাচ্চারা এখন তোমাদের বর্ণের রহস্যও বোঝানো হয়েছে। আমরা সেই ব্রাহ্মণ
পরে আমরা ই দেবতায় পরিণত হওয়ার পুরুষার্থ করি। তারপরে আমরা সেই দেবতা হয়ে ক্ষত্রিয়
বর্ণে আসবো। অন্যরা কেউ কি জানে - আমরা কীভাবে ৮৪ জন্ম গ্রহণ করি? কোন্ কুলে জন্ম
হয়? তোমরা এখন বুঝেছো আমরা ব্রাহ্মণ, বাবা তো ব্রাহ্মণ নন। তোমরা-ই এই বর্ণে আসো।
এখন ব্রাহ্মণ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছো। শিববাবা দ্বারা প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হয়েছো।
এই কথাও জানো নিরাকারী আত্মারা হল প্রকৃত রূপে ঈশ্বরীয় কুলের। নিরাকারী জগতের নিবাসী।
পরে সাকারী দুনিয়ায় পার্ট প্লে করতে আসে। পার্ট প্লে করতে আসতে হয়। সেখান থেকে এসে
আমরা দেবতা কুলে ৮ জন্ম নিয়ে ক্ষত্রিয় কুলে, বৈশ্য কুলে আসি। বাবা বোঝান, তোমরা এত
গুলি জন্ম দৈবী কুলে নিয়েছো তারপরে এতগুলি জন্ম ক্ষত্রিয় কুলে নিয়েছো। এই হল ৮৪
জন্মের চক্র। তোমরা ছাড়া এই জ্ঞান আর কেউ প্রাপ্ত করে না। যারা এই ধর্মের হবে তারা-ই
এইখানে আসবে। রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। কেউ রাজা-রানী কেউ প্রজা হবে। সূর্যবংশী
লক্ষ্মী-নারায়ণ - দ্য ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড - ৮ টি বংশ চলে তারপরে ক্ষত্রিয়
ধর্মেও ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড এমনভাবে চলে। এইসব কথা বাবা বোঝান। যখন জ্ঞানের
সাগর আসেন তখন ভক্তি শেষ হয়। রাত শেষ হয়ে দিন হয়। সেখানে কোনোরকমের ধাক্কাধাক্কি
থাকে না। থাকে শুধু আরাম, কোনো ঝামেলা নেই। এও ড্রামায় নির্দিষ্ট আছে। ভক্তির সময়
কালেই বাবা আসেন। সবাইকে অবশ্যই ফিরে যেতে হবে তারপরে নামবে নম্বর অনুসারে।
খ্রাইষ্টের আগমন হলে খ্রীস্টান ধর্মের মানুষ আসবে। এখন দেখো খ্রীস্টান অনেক আছে।
ক্রাইষ্ট হলেন খ্রীস্টান ধর্মের বীজ। এই দেবী-দেবতা ধর্মের বীজ হলেন পরমপিতা
পরমাত্মা শিব। তোমাদের ধর্ম স্থাপন করেন পরমপিতা পরমাত্মা। তোমাদের ব্রাহ্মণ ধর্মে
কে এনেছে? বাবা দত্তক নিয়েছেন অর্থাৎ ব্রাহ্মণ ধর্ম হল তাঁর চেয়ে ছোট । ব্রাহ্মণদের
শিখা বলা হয়। এই হল চিহ্ন শিখা তার নীচে এলে শরীর বৃদ্ধি পায়। এই সব কথা বাবা বসে
বোঝান। পিতা যিনি হলেন কল্যাণ কারী তিনিই এসে ভারতের কল্যাণ করেন। সবচেয়ে বেশি
কল্যাণ তো তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের করেন। তোমরা কি থেকে কিরূপে পরিণত হও! তোমরা
অমরলোকের মালিক হও। এখনই তোমরা কাম বিকারকে জয় করো। সেখানে অকালে মৃত্যু হয় না।
মরণের কথা নেই। যদিও শরীর রূপী পোশাক তো বদল করতেই হবে তাইনা। যেমন সর্প নিজের খোলস
বদলায়। এখানেও তোমরা এই পুরানো দেহ ত্যাগ করে নতুন দুনিয়ায় নতুন দেহ ধারণ করবে।
সত্য যুগ কে বলা হয় গার্ডেন অফ ফ্লাওয়ার্স। কখনও কোনো কু বচন সেখানে বলা হয় না।
এখানে তো হল কু-সঙ্গ। মায়ার সঙ্গ এইখানে তাই এর নাম ঘোর নরক। স্থান (বাড়ি) পুরানো
হয়ে গেলে তখন মিউনিসিপালিটি থেকে লোক এসে খালি করায়। বাবাও বলেন যখন দুনিয়া পুরানো
হয় তখন আমি আসি।
জ্ঞানের দ্বারা সদগতি
হয়ে যায়। রাজযোগ শেখানো হয়। ভক্তিতে কিছুই নেই। হ্যাঁ, যদিও দান-পুণ্য করলে অল্প
কালের জন্য সুখ প্রাপ্ত হয়। সন্ন্যাসীরা রাজাদের বৈরাগ্য প্রদান করেন, এই জগতে কাগ
বিষ্ঠা সম সুখ আছে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের অসীম জগতের বৈরাগ্য শেখানো হয়। এই হল
পুরানো দুনিয়া, এখন সুখধামকে স্মরণ করো, তারপরে শান্তিধাম হয়ে এখানে আসতে হবে।
দিলওয়ারা মন্দিরে হুবহু তোমাদের এই সময়ের স্মরণীকা তৈরি আছে। নীচে তপস্যায় বসে, উপরে
স্বর্গ। নাহলে স্বর্গ কোথায় দেখাবে। মানুষ মরলে বলা হয় স্বর্গে গেছে। স্বর্গ উপরে
আছে কিন্তু উপরে তো কিছুই নেই। ভারত-ই স্বর্গ, ভারত-ই নরক হয়। এই মন্দির টি হল
সম্পূর্ণ স্মরণিকা । এই মন্দির ইত্যাদি সব পরে তৈরি হয়। স্বর্গে ভক্তি থাকে না।
সেখানে তো থাকে শুধু সুখ আর সুখ। বাবা এসে সব রহস্য বুঝিয়ে দেন। অন্য সব আত্মাদের
নাম পরিবর্তন হয়, শিবের নাম পরিবর্তন হয় না। তাঁর নিজস্ব শরীর-ই নেই। শরীর ছাড়া
পড়াবেন কীভাবে ! প্রেরণা দ্বারা পড়ানোর কোনও ব্যাপারই নেই। প্রেরণা অর্থাৎ চিন্তন।
এমন নয়, উপর থেকে প্রেরণা দেবেন আর জ্ঞান পৌঁছে যাবে। এতে প্রেরণার কোনও কথা নেই।
যে বাচ্চাদের বাবার সম্পূর্ণ পরিচয় জানা নেই, সম্পূর্ণ নিশ্চয় নেই তাদের বুদ্ধিতে
জ্ঞান স্থির থাকবে না। আমাদের কে শেখাচ্ছেন, সে কথা না জানলে স্মরণ করবে কাকে?
বাবার স্মরণ দ্বারা তোমাদের বিকর্ম বিনষ্ট হবে। জন্ম জন্মান্তর ধরে যে লিঙ্গ রূপ
স্মরণ করেছো, বুঝেছো ইনি হলেন পরমাত্মা, এই হল তাঁরই স্বরূপ, উনি হলেন নিরাকার,
সাকার নন। বাবা বলেন আমাকেও প্রকৃতির আধার নিতে হয়। নাহলে তোমাদেরকে সৃষ্টি চক্রের
রহস্য কীভাবে বোঝাবো। এই হল রূহানী নলেজ অর্থাৎ আত্মিক জ্ঞান। আত্মাদেরই এই নলেজ
প্রাপ্ত হয়। এই নলেজ একমাত্র বাবা-ই প্রদান করেন। পুনর্জন্ম তো নিতেই হয়। সব আত্মা
রূপী অ্যাক্টরদের নিজের নিজের পার্ট রয়েছে । নির্বাণ ধামে কেউ যেতে পারে না। কারো
মোক্ষ লাভ হয় না। যে এক নম্বরে বিশ্বের মালিক হন তাকেই ৮৪ জন্মে আসতে হয়। অবশ্যই
চক্র পূর্ণ করতে হবে। মানুষ ভাবে মোক্ষ প্রাপ্ত হয়, কতরকম মত-মতান্তর আছে। বৃদ্ধি
হতেই থাকে। কেউ ফিরে যায় না। বাবা স্বয়ং ৮৪ জন্মের কাহিনী বলেন। বাচ্চারা তোমাদের
পড়া করে পড়াতে হবে। এই রূহানী নলেজ তোমরা ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না। না শূদ্র, না
দেবতা, কেউ দিতে পারে না। সত্যযুগে দুর্গতি হয় না যে নলেজ প্রাপ্ত হবে। এই নলেজ
হলোই সদগতির জন্য। সদগতি দাতা লিবারেটর হলেন একজন ই। স্মরণের যাত্রা না করে কেউ
পবিত্র হবে না। সাজা ভোগ করতেই হবে। পদ মর্যাদাও কম হয়ে যাবে। সবার হিসাব-নিকাশ তো
ক্লিয়ার হবে, তাইনা। তোমাদেরকে তোমাদের কথাই বোঝানো হয় অন্য ধর্মে যাওয়ার কি
প্রয়োজন আছে। ভারতবাসীদের এই নলেজ প্রদান করা হয়। বাবা ভারতে এসে ৩-টি ধর্ম স্থাপন
করেন। এখন তোমাদেরকে শূদ্র ধর্ম থেকে বের করে উঁচু কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হল নীচ
পতিত কুল, এখন পবিত্র করার জন্য তোমরা ব্রাহ্মণরা নিমিত্ত হও। একেই রুদ্র জ্ঞান
যজ্ঞ বলা হয়। রুদ্র শিববাবা যজ্ঞ রচনা করেছেন, এই অসীমের যজ্ঞে সম্পূর্ণ পুরানো
দুনিয়া উৎসর্গ করা হয়। তারপর নতুন দুনিয়া স্থাপন হয়ে যাবে। পুরানো দুনিয়া শেষ হবে।
তোমরা এই নলেজ প্রাপ্ত করো নতুন দুনিয়ার জন্য। দেবতাদের ছায়া পুরানো দুনিয়ায় পড়ে
না। তোমরা বাচ্চারা জানো যে কল্প পূর্বে যারা এসেছিল তারা-ই এসে এই নলেজ অর্জন করবে।
নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে পড়াশোনা করবে। মানুষ এখানেই শান্তি চায়। এবারে
আত্মা হলোই শান্তিধামের নিবাসী। তবে এখানে শান্তি হবে কীভাবে। এই সময় তো ঘরে-ঘরে
অশান্তি। রাবণের রাজত্ব কিনা। সত্যযুগে সম্পূর্ণ শান্তির রাজত্ব থাকে। এক ধর্ম, এক
ভাষা থাকে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
পুরানো দুনিয়ার প্রতি অসীম জগতের বৈরাগী হয়ে নিজের দেহকে ভুলে শান্তিধাম ও সুখধামকে
স্মরণ করতে হবে। নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে স্মরণের যাত্রায় থাকতে হবে।
২ ) আমিই সে-ই, সে-ই
আমি - এই মন্ত্রের যথার্থ ভাব বুঝে এখন যে ব্রাহ্মণ সেই দেবতা হওয়ার পুরুষার্থ করতে
হবে। সবাইকে এর যথার্থ অর্থ বোঝাতে হবে।
বরদান:-
অন্তর্মুখী থাকার অভ্যাসের দ্বারা অলৌকিক ভাষাকে বুঝতে সক্ষম সদা সফলতা সম্পন্ন ভব
তোমরা বাচ্চারা
যেমন-যেমন অন্তর্মুখী সুইট সাইলেন্স স্বরূপে স্থিত হতে থাকবে ততই নয়নের ভাষা,ভাবনার
ভাষা আর সঙ্কল্পের ভাষাকে সহজেই বুঝতে পারবে। এই তিন প্রকারের ভাষা আত্মিক যোগী
জীবনের ভাষা। এই অলৌকিক ভাষা অতীব শক্তিশালী। সময় অনুসারে এই তিন ভাষা দ্বারাই সহজে
সফলতা প্রাপ্ত হবে। সেইজন্যই এখন এই আত্মিক ভাষার অভ্যাস গড়ে তোলো।
স্লোগান:-
তোমরা
এতটাই হালকা হয়ে যাও যাতে বাবা তোমাদের নিজের চোখের পাতায় বসিয়ে সাথে করে নিয়ে যেতে
পারেন।
অব্যক্ত ইশারা :-
সংকল্প শক্তি জমা করে শ্রেষ্ঠ সেবার নিমিত্ত হও
বর্তমান সময়ে বিশ্ব
কল্যাণ করার সহজ সাধন হলো নিজের শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প একাগ্র করা। শুধুমাত্র এইভাবেই
তোমরা সকল আত্মার বিচরণশীল বুদ্ধিকে স্থির করতে পারবে। বিশ্বের সব আত্মাই বিশেষভাবে
চায় যে তাদের বিচরণশীল বুদ্ধি স্থির হোক এবং মনের চঞ্চলতা থেকে একাগ্র হোক, এরজন্য
একাগ্রতা অর্থাত্ সবসময়ই এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নেই, এই স্মৃতির একরস স্থিতিতে স্থিত
হওয়ার বিশেষ অভ্যাস করো।