17-08-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 16-11-2006 মধুবন


“নিজের স্বমানের মর্যাদায় থাকো এবং সময়ের গুরুত্ব জেনে এভাররেডি হও”


চতুর্দিকে, আজ বাপদাদা তাঁর পরমাত্ম ভালবাসার পাত্র স্বমানের সিটে সেট হওয়া বাচ্চাদের দেখছেন। সব বাচ্চাই তো সিটে সেট হয়ে আছে কিন্তু কিছু বাচ্চা একাগ্র স্থিতিতে সেট হয়ে আছে আর কিছু বাচ্চা সংকল্পে একটু একটু আপসেট আছে। বাপদাদা বর্তমান সময় অনুসারে সব বাচ্চাকে একাগ্রতার রূপে স্বমানধারী স্বরূপে সদা দেখতে চান। বাচ্চারাও সবাই একাগ্রতার স্থিতিতে স্থিত হতে চায়। নিজের বিভিন্ন রকমের স্বমান তারা জানেও, ভাবেও কিন্তু একাগ্রতা অস্থিরতায় চলে আসে। সদা একরস স্থিতি কম থাকে। অনুভব হয় এবং এই স্থিতি তারা চেয়েও থাকে কিন্তু কখনো কখনো কেন হয় তার কারণ সদা অ্যাটেনশনের অভাব। যদি স্বমানের লিস্ট বের করো তো কত বড় সেটা! সর্বাপেক্ষা প্রথম স্বমান - যে বাবাকে স্মরণ করে আসছো তাঁর ডাইরেক্ট বাচ্চা হয়েছো তোমরা, নম্বর ওয়ান সন্তান। বাপদাদা কোটি কোটির মধ্যে থেকে তোমাদের অর্থাৎ কিছু বাচ্চাকে কোথা কোথা থেকে বাছাই করে নিজের বানিয়েছেন। কত বড় স্বমান! সৃষ্টি রচয়িতার প্রথম রচনা তোমরা। এই স্বমান তোমরা জানো তো না! বাপদাদা নিজের সাথে সাথে তোমরা সব বাচ্চাকে সমগ্র বিশ্বের পূর্বজ বানিয়েছেন। বিশ্বের পূর্বজ তোমরা, পূজ্য তোমরা। বাপদাদা সব বাচ্চাকে বিশ্বের আধারমূর্ত, উদাহরণ মূর্ত বানিয়েছেন। এই নেশা আছে? কখনো একটু একটু কম হয়ে যায়। ভাবো, সবচাইতে অমূল্য, যা সারা কল্পে এমন মহত্ত্বপূর্ণ সিংহাসন কারও প্রাপ্ত হয় না। সেই পরমাত্ম সিংহাসন, লাইটের মুকুট, স্মৃতির তিলক দিয়েছে। স্মৃতিতে আসছে তো না - আমি কে! আমার স্বমান কি! নেশা বাড়ছে তাই না! সমগ্র কল্পে সত্যযুগী অমূল্য সিংহাসন যতই থাকুক না কেন কিন্তু পরমাত্ম হৃদয় সিংহাসন তোমরা সব বাচ্চারই প্রাপ্ত হয়। বাপদাদা সদা লাস্ট নম্বর বাচ্চাদেরও ফরিস্তা তথা দেবতা স্বরূপে দেখেন। এই মুহূর্তে ব্রাহ্মণ, ব্রাহ্মণ হতে ফরিস্তা, ফরিস্তা হতে দেবতা হতেই হবে। জানো তোমরা নিজের স্বমান? কেননা, বাপদাদা জানেন যে স্বমান ভুলে যাওয়ার কারণেই দেহ ভাব, দেহ অভিমান উৎপন্ন হয়। হয়রানও হয়, যখন বাপদাদা দেখেন দেহ অভিমান বা দেহবোধ আসে তো কত হয়রানি হয়। সবাই অনুভাবী তাই না! স্বমানের মর্যাদায় থাকা আর এই মর্যাদা বজায় না রেখে দুশ্চিন্তায় থাকা - দুটোই তোমরা জানো। বাপদাদা দেখেন যে সব বাচ্চার মধ্যে মেজরিটি বাচ্চা নলেজফুল তো ভালই হয়েছে, কিন্তু পাওয়ারে ফুল, পাওয়ারফুল নয়। এই ব্যাপারে তারা পার্সেন্টেজে রয়েছে। বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে নিজের সর্ব ভাণ্ডারের বালক তথা মালিক বানিয়েছেন। সবাইকে সর্ব ভাণ্ডার দিয়েছেন, কম বেশি কাউকে দেননি। কেননা, ভাণ্ডার অগণিত! অসীম ভাণ্ডার। সেইজন্য সব বাচ্চাকে অসীম দুনিয়ার বালক তথা মালিক বানিয়েছেন। তো এখন নিজেকে নিজে চেক করো - অসীম দুনিয়ার বাবা, সীমাবদ্ধ দুনিয়ার নয়, অসীম দুনিয়ার বাবা, অসীম ভাণ্ডার। সুতরাং তোমাদের কাছেও অসীম ভাণ্ডার আছে! সদা থাকে, নাকি কখনো কখনো কিছু চুরি হয়ে যায়? হারিয়ে যায়? বাবা কেন অ্যাটেনশন দেওয়াচ্ছেন? যাতে বিভ্রান্ত না হও, স্বমানের সিটে সেট থাকো, আপসেট নয়। ৬৩ জন্ম তো আপসেট হওয়ার অনুভব করে নিয়েছো তো না! এখন আর করতে চাও? ক্লান্ত হয়ে যাওনি? ৭০ বছরের পূর্তি উদযাপন করছ, তাই না! সুতরাং নিজের পরিচিতি অর্থাৎ স্বমানের পরিচিতি, স্বমানে স্থিত থাকা। সময় অনুসারে এখন সদা শব্দকে প্র্যাকটিক্যালি লাইফে নিয়ে এসো, শব্দকে শুধু আন্ডারলাইন ক'রো না, বরং প্র্যাকটিক্যাল লাইফে আন্ডারলাইন করো। থাকতে হবে, থাকবো, করছি তো... করে নেবো। এসব অসীম দুনিয়ার বালক আর মালিকের বোল নয়। এখন তো প্রত্যেকের হৃদয় থেকে এই অনহদ শব্দ বের হওয়া উচিত, যা পাওয়ার ছিল, তা' পেয়ে গেছি। এই অসীম ভাণ্ডার পাচ্ছি - এটা অসীম দুনিয়ার বাবার বাচ্চারা বলতে পারে না। ইতিপূর্বেই পেয়ে গেছি, যখন বাপদাদাকে পেয়ে গেছো, তোমরা বলে দিয়েছ আমার বাবা; মেনে নিয়েছো, জেনেও নিয়েছো, স্বীকৃত হয়েছো, সুতরাং এই অনহদ শব্দ পেয়ে গেছো... কেননা, বাপদাদা জানেন যে স্বমান কখনো কখনো হওয়ার কারণে সময়ের মহত্ত্বকেও বাচ্চারা স্মৃতিতে কম রাখে। এক - স্বয়ং এর স্বমান, আরেক হলো সময়ের মহত্ত্ব। তোমরা সাধারণ নও, তোমরা পূর্বজ, তোমাদের প্রত্যেকের পিছনে বিশ্বের আত্মাদের আধার রয়েছে। ভাবো, যদি তোমরা অস্থিরতার মধ্যে থাকবে তবে বিশ্বের আত্মাদের কী অবস্থা হবে! এমন ভেবো না যে যাদের মহারথী বলা হয়ে থাকে তাদের পিছনে বিশ্বের আধার আছে! যারা এসেছে তাদের মধ্যে নতুন- নতুনও এসেছে, কেননা, আজ অনেক নতুন এসে থাকবে! নতুনরা, যারা হৃদয় থেকে মেনেছে আমার বাবা। মেনে নিয়েছো? তোমরা যারা নতুন নতুন এসেছ তারা স্বীকৃত হয়েছো? যারা এটা জানে শুধু তারা নয়, বরং যারা স্বীকৃত হয়েছো আমার বাবা ব'লে তারা হাত তোলো। লম্বা করে হাত তোলো। নতুন নতুন যারা তারা হাত তুলছে। পুরানো যারা, তারা তো নিশ্চিতই এ' ব্যাপারে, তাই না! যারা হৃদয় থেকে স্বীকার করে নিয়েছো আমার বাবা এবং বাবাও স্বীকার করেছেন আমার বাচ্চা, তারা সবাই দায়িত্বশীল। কেন? সময়কাল থেকে তোমরা বলছ আমি ব্রহ্মাকুমার, ব্রহ্মাকুমারী, ব্রহ্মা কুমার-কুমারী নাকি শিবকুমার-শিবকুমারী, নাকি তোমরা উভয়েরই? তাহলে তো বেঁধেই গেছ, দায়িত্বের মুকুট তোমাদের কাছে আছে। তোমাদের এটা আছে, তাই তো না? পাণ্ডব তোমরা বলো, তোমাদের কাছে দায়িত্বের মুকুট রয়েছে? ভারী লাগছে না তো? হালকা তো না! সেটা হয়ই লাইটের। তো লাইট কত হালকা হয়!

তো সময়েরও মহত্ত্ব অ্যাটেনশনে রাখো। জিজ্ঞাসা করে সময় আসবে না। অনেক বাচ্চা এখনও বলে, ভাবে, কিছুটা অনুমান তো থাকা দরকার। ধরো, আনুমানিক ২০ বছর আছে, ১০ বছর আছে এটা জানা গেল, কিন্তু, বাপদাদা বলেন সময়ের ফাইনাল বিনাশ তো ছেড়ে দাও, তোমাদের নিজেদের শরীরের বিনাশ জানা আছে? কেউ কি আছে, যে জানে আমি অমুক তারিখে শরীর ছাড়বো? আর আজকাল তো ব্রাহ্মণদের শরীর ছেড়ে যাওয়ার জন্য তোমরা ভোগ লাগাও, অনেক। কোনো ভরসা নেই। সেইজন্য সময়ের মহত্ত্বকে জানো। এটা ছোট একটা যুগ, আয়ুতে ছোট, কিন্তু সর্বাধিক বড় প্রাপ্তির যুগ কেননা, সর্বাধিক বড় হতে বড় বাবা এই ছোট যুগেই আসেন অন্য সব বড় যুগে আসেন না। এটাই ছোট যুগ যে সময় সমগ্র কল্পের প্রাপ্তির বীজ বপন করার সময়, হয় বিশ্বের রাজ্য প্রাপ্ত করো, কিংবা পূজ্য হও, সমগ্র কল্পের বীজ বপনের সময় এটা এবং ডবল ফল প্রাপ্ত করার সময়। ভক্তির ফলও এখন প্রাপ্ত হয় আর প্রত্যক্ষ ফলও এখন প্রাপ্ত হয়। এই মুহূর্তে তোমরা কিছু করলে তৎক্ষণাৎ তার প্রত্যক্ষফল লাভ করো এবং ভবিষ্যতও তৈরি হয়। সমগ্র কল্পে দেখ এরকম কোনো যুগ কি আছে? কেননা, এই সময়ই বাবা সব বাচ্চার হাতে সর্বাধিক বড় উপহার দিয়েছেন, নিজেদের উপহার মনে আছে তোমাদের? স্বর্গ রাজত্বের ভাগ্য! নতুন দুনিয়ার স্বর্গের গিফ্ট, সব বাচ্চার হাতে দিয়েছেন। এত বড় গিফ্ট কেউ দেয় না এবং কখনো কেউ দিতে পারে না, এটা এখনের প্রাপ্তি। এই সময় তোমরা মাস্টার সর্বশক্তিমান হয়ে ওঠো, অন্য কোনো যুগে সর্বশক্তিমানের পদ লাভ হয় না। সুতরাং নিজের স্বমানেও একাগ্র থাকো আর সময়ের মহত্ত্বকেও জানো। স্বয়ং আর সময়, স্বয়ং-এর স্বমান আছে এবং সময়ের মহত্ত্ব আছে। অসাবধান হ'য়ো না। ৭০ বছর পার হয়ে গেছে, এখন যদি অসাবধান হও তবে তা' তোমাদের অনেক কিছু প্রাপ্তি কম করে দেবে। কেননা, তোমরা যত এগোবে ততই এক গড়িমসি ভাব - আমি খুব ভালো, খুব ভালোভাবে এগিয়ে যাবো, পৌঁছে যাব, দেখবে আমি পিছনে থাকবো না, হয়ে যাবে - এ' হলো দীর্ঘসূত্রিতা, রয়্যাল আলস্য। অসাবধানতা আর আলস্য; 'কখন' শব্দ হলো আলস্য, 'এখন' শব্দ হলো তাৎক্ষণিক দান - মহাপুণ্য।

তো এখন আজ প্রথম টার্ন তাই না! তো বাপদাদা অ্যাটেনশন টানছেন। এই সিজনে না স্বমান থেকে নামবে, না সময়ের মহত্ত্বকে ভুলবে। অ্যালার্ট, হুঁশিয়ার, খবরদার! তোমরা প্রিয় তো না! যার প্রতি ভালোবাসা থাকে তার সামান্যতম দুর্বলতা খামতি দেখা যায় না! তোমাদের বলা হয়েছিল না যে বাপদাদার যদি লাস্ট বাচ্চাও থাকে তো তার প্রতিও অতীব ভালবাসা আছে। বাচ্চা তো না! তো এখন এই চলতি সিজনে, সিজন যদিও ইন্ডিয়ানদের কিন্তু ডবল বিদেশিও কম নেই। বাপদাদা দেখেছেন, কোনও টার্ন এমন হয় না যেখানে ডবল বিদেশি থাকবে না। এটা তাদের চমৎকারিত্ব। এখন হাত উঠাও ডবল বিদেশি। দেখ কত রয়েছে! স্পেশাল সিজন চলে গেছে, তবুও দেখ তারা কত আছে! অভিনন্দন। পদার্পণ করেছে, অনেক অনেক অভিনন্দন।

তো শুনেছো এখন কী করতে হবে? এই সিজনে কী কী করতে হবে, সেই হোম ওয়ার্ক বাবা দিয়ে দিয়েছেন। নিজেকে রিয়ালাইজ করো, নিজেকেই করো, অন্যকে নয় এবং রিয়েল গোল্ড হও। কেননা, বাপদাদা মনে করেন, যে বলেছে 'আমার বাবা' সে যেন সাথে যায়, বরযাত্রী হয়ে যেন না যায়। শ্রীমতের সাথে বাপদাদার হাত ধরে চলো, তারপর ব্রহ্মা বাবার সাথে প্রথম রাজ্যে আসবে। মজা তো প্রথম ও নতুন ঘরে হয়, তাই না! এক মাসের পরেই বলা হয়, এক মাসের পুরানো হয়েছে। নতুন ঘর, নতুন দুনিয়ার, নতুন আচার আচরণ, নতুন রীতি রেওয়াজ আর ব্রহ্মা বাবার সাথে রাজ্যে আসা। সবাই বলে তো না, ব্রহ্মা বাবার প্রতি আমাদের গভীর ভালবাসা আছে। তাহলে, ভালবাসার লক্ষণ কী? সাথে থাকা, সাথে চলা, সাথে যাওয়া। এটা হলো ভালোবাসার প্রমাণ। পছন্দ? সাথে থাকা, সাথে চলা, সাথে যাওয়া পছন্দ হয় তোমাদের? হয় পছন্দ? তো যে জিনিস পছন্দ হয় তাকে থোরাই ছেড়ে দেওয়া যায়! তাইতো সব বাচ্চার প্রতি বাবার প্রেমের পালন বা দায়বদ্ধতা এটাই যে তোমরা তাঁর সাথে যাও, পিছনে পিছনে নয়। যদি কিছু থেকে যায় তবে ধর্মরাজের দ্বারা সাজা খাওয়ার জন্য থামতে হবে। হাতে হাত থাকবে না, পিছনে পিছনে আসবে। মজা কিসে আছে? সাথে আছে তো না! সুতরাং তোমাদের প্রতিজ্ঞা পাক্কা তো? পাক্কা প্রতিজ্ঞা সাথে যাওয়ার, নাকি পিছনে পিছনে যাবে? দেখ, তোমরা তো হাত উঠাও খুব ভালো! হাত দেখে বাপদাদা খুশি তো হন কিন্তু শ্রীমতের হাত তুলতে হবে। শিববাবার তো হাত থাকবে না, ব্রহ্মাবাবা আত্মারও হাত থাকবে না, তোমাদেরও এই স্থূল হাত থাকবে না, শ্রীমতের হাত ধরে সাথে চলতে হবে। চলবে তো না! কাঁধ তো নাড়াও। আচ্ছা, হাত নাড়াচ্ছে। বাপদাদা এটাই চান একটা বাচ্চাও যেন পিছনে না থাকে, সবাই সাথে সাথেই যায়। এভাররেডি থাকতে হবে। আচ্ছা।

এখন বাপদাদা চতুর্দিকের বাচ্চাদের রেজিস্টার দেখতে থাকবেন। প্রতিজ্ঞা করেছ, সেটা পালন করেছ অর্থাৎ লাভ করেছ। শুধু প্রতিজ্ঞা ক'রো না, লাভ উঠাও। আচ্ছা। এখন সবাই দৃঢ় সঙ্কল্প করবে! দৃঢ় সংকল্পের স্থিতিতে স্থিত হয়ে ব'সো, করতেই হবে, যেতেই হবে। সাথে যেতে হবে। এখন এই দৃঢ় সংকল্প নিজের প্রতি করো। এই স্থিতিতে ব'সে যাও। বো বো (ভবিষ্যৎ সূচক) ক'রো না। করতেই হবে। এখন কী করতে হবে! আচ্ছা।

সবদিকের ডবল সেবাধারী বাচ্চাদের, চতুর্দিকের সদা একাগ্রতার স্বমানের সিটে সেট থাকা বাপদাদার মস্তকমনিদের, চতুর্দিকে, যারা সময়ের গুরুত্ব জেনে তীব্র পুরুষার্থের প্রমাণ দেয় এমন যোগ্য বাচ্চাদের, চতুর্দিকের যারা উৎসাহ-উদ্দীপনার পাখার দ্বারা সদা ওড়ে এবং অন্যদের ওড়ায় এমন ডবল লাইট ফরিস্তা বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

দাদিদের প্রতি :- সবাই তোমরা সাথ দিতে দিতে এগিয়ে চলেছো - এটাতে ব্যাপদাদা খুশি হন, প্রত্যেকে নিজের বিশেষত্বের আঙুল দিয়ে চলেছ। (দাদিজীর প্রতি) আদি রত্ন দেখে সবাই খুশি হয় তো না! আদি থেকে শুরু করে সেবাতে নিজের অস্থিও লাগিয়েছ। অস্থি সেবা করেছ। খুব ভালো। দেখ, যা কিছুই হোক না কেন, একটা বিষয় দেখ - হয় বেডে রয়েছে অথবা যেখানেই থাকুক কিন্তু বাবাকে ভুলে যায় না। বাবা তোমার হৃদয়ে সমাহিত হয়ে আছেন। এরকম তো না! দেখ কত সুন্দর করে মিটিমিটি হাসছে। বয়সে তুমি বৃদ্ধ হয়েছ, আর তো ধর্মরাজপুরী থেকে টা টা করে যাওয়ার আছে, সাজা খাওয়ার নেই, ধর্মরাজকেও মাথা ঝুঁকাতে হবে। অভিবাদন জানাতে হবে তো না! টা টা করতে হবে, সেইজন্য এখানে বাবার স্মরণে অল্প-বিস্তর হিসেব পুরো করছ। কষ্ট নেই, রোগ যদি বা আছে কিন্তু দুঃখের লেশ মাত্র নেই। (বড় দাদির প্রতি, পরদাদী) ইনি খুব মিটিমিটি হাসছেন। সবাইকে দৃষ্টি দাও। আচ্ছা

বরদান:-
বাহ্যমুখী চাতুর্য থেকে মুক্ত হয়ে বাবার পছন্দের প্রকৃত সওদাগর ভব

দুনিয়ার বাহ্যমুখী চাতুর্য বাপদাদার পছন্দ নয়। বলা হয়ে থাকে ভোলাদের ভগবান। বিচক্ষণ পরমাত্মার (চতুর সুজান) ভোলা বাচ্চাই পছন্দ। পরমাত্ম ডায়রেক্টরিতে ভোলা বাচ্চারাই বিশেষ ভি আই পি। যার মধ্যে দুনিয়ার লোকের চোখ যায় না - তারাই বাবার সঙ্গে সওদা করে পরমাত্ম নয়নের নক্ষত্র হয়ে গেছে। ভোলা বাচ্চারাই হৃদয় থেকে বলে "আমার বাবা", এক সেকেন্ডের এই বোল দ্বারা অগণিত ভাণ্ডারের সওদা করে প্রকৃত সওদাগর হয়ে গেছে।

স্লোগান:-
সকলের স্নেহ প্রাপ্ত করতে চাইলে মুখ থেকে সদা মধুর বোল বলো।

অব্যক্ত ইশারা :- সহজযোগী হতে হলে পরমাত্ম প্রেমের অনুভবী হও যারা সদা বাবার স্মরণে লভলীন অর্থাৎ তারা সমাহিত হয়ে আছে। এমন আত্মাদের নয়নে আর মুখের প্রতিটা বোলে বাবা সমাহিত থাকার কারণে শক্তি স্বরূপের পরিবর্তে সর্বশক্তিমান নজরে আসবে। যেমন আদি স্থাপনে ব্রহ্মা রূপে সদাসর্বদা শ্রীকৃষ্ণ প্রতীয়মান হতো। সেরকম তোমরা সব বাচ্চার দ্বারা সর্বশক্তিমান যেন প্রতীয়মান হয়। সূচনাঃ- আজ মাসের তৃতীয় রবিবার সকল ভাইবোন মিলে সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিট থেকে ৭:৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশেষ যোগ অভ্যাসের সময় নিজের পূর্বজভাবের স্বমানে স্থিত হয়ে কল্প বৃক্ষের মূলে বসে সম্পূর্ণ বৃক্ষকে শক্তিশালী যোগের দান দিতে দিতে নিজের বংশাবলিকে দিব্য পালনা করুন।