17.11.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - এ
হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ, পুরানো দুনিয়া পরিবর্তিত হয়ে নতুন করে তৈরী হচ্ছে,
তোমাদের এখন পুরুষার্থ করে উত্তম দেব-পদ প্রাপ্ত করতে হবে"
প্রশ্নঃ -
সার্ভিসেবেল
বাচ্চাদের বুদ্ধিতে কোন্ কথা সর্বদা স্মরণে থাকে?
উত্তরঃ
তাদের স্মরণে
থাকে যে, ধনদান করলে তা নিঃশেষ হয়ে যায় না..... সেইজন্য তারা রাত-দিনের নিদ্রাও
পরিত্যাগ করে জ্ঞান-ধন দান করতে থাকে, পরিশ্রান্ত হয় না। কিন্তু নিজের মধ্যেই যদি
কোনো অবগুণ থাকে তখন সেবা করতেও উৎসাহ আসতে পারে না।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
বাচ্চাদের প্রতি আধ্যাত্মিক বাবা বসে বোঝান। বাচ্চারা জানে যে, পরমপিতা রোজ-রোজ
আমাদের বোঝান। যেমনভাবে রোজ-রোজ টিচার আমাদের পড়ায়। বাবা শুধু শিক্ষা দেবেন,
প্রতিপালন করতে থাকবেন, কারণ বাচ্চারা তো বাবার ঘরেই থাকে। মা-বাবার সঙ্গেই থাকে।
এখানকার এসব হলো ওয়ান্ডারফুল কথা। আধ্যাত্মিক পিতার কাছে তোমরা থাকো। এক তো
আধ্যাত্মিক পিতার কাছে মূললোকে (শান্তিধাম) থাকো, বাবা আবার সম্পূর্ণ কল্পে একবারই
আসেন - বাচ্চাদের উত্তরাধিকার প্রদান করতে বা পবিত্র করতে, সুখ-শান্তি দিতে। তাহলে
অবশ্যই নীচে এসে থাকবেন । এতেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। গায়নও রয়েছে - সাধারণ তনে
প্রবেশ করে... । বাচ্চারা, তোমরাও এখন বোঝো যে - বাবা এখন আমাদের স্বর্গের অবিনাশী
উত্তরাধিকার প্রদান করতে এসেছেন । অবশ্যই আমরা যোগ্য নই, পতিত হয়ে গেছি। সকলে বলেও
যে - হে পতিত-পাবন এসো, এসে আমাদের পতিতদের পবিত্র করো। বাবা বলেন -- আমি প্রতি
কল্পে পতিতদের পবিত্র করার ডিউটি পেয়েছি। হে বাচ্চারা, এখন এই পতিত দুনিয়াকে পবিত্র
করতে হবে। পুরানো দুনিয়াকে পতিত, নতুন দুনিয়াকে পবিত্র বলা হবে। অবশ্যই পুরানো
দুনিয়াকে নতুন করার জন্য বাবা এসেছেন। কলিযুগকে তো কেউই নতুন দুনিয়া বলবে না। এ হলো
বুঝবার মতন বিষয়, তাই না! কলিযুগ হলো পুরানো দুনিয়া। বাবাও অবশ্যই আসবেন - পুরানো
আর নতুনের সঙ্গমে। যখন কোথাও গিয়ে তোমরা বোঝাও তখন বলো - এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ,
বাবা এসেছেন। সমগ্র দুনিয়ায় এমন কোনো মানুষ নেই যারা জানে যে এ হলো পুরুষোত্তম
সঙ্গমযুগ। অবশ্যই তোমরা সঙ্গমযুগে রয়েছো, তবেই তো বোঝাও। মুখ্য কথাই হলো সঙ্গমযুগের।
তাই পয়েন্টস্ও অত্যন্ত জরুরী। যেকথা কেউই জানে না সেটাই বোঝাতে হবে। তাই বাবা
বলেছেন একথা অবশ্যই লিখতে হবে যে এখন হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। নবযুগ অর্থাৎ
সত্যযুগের চিত্রও রয়েছে। মানুষ কিকরে বুঝবে যে, এই লক্ষ্মী-নারায়ণই হলো নতুন
দুনিয়ার মালিক। তার উপর এই শব্দটি অবশ্যই চাই - পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। এটা অবশ্যই
লিখতে হবে, কারণ এটাই হলো মুখ্য কথা। মানুষ মনে করে যে কলিযুগের (সমাপ্ত হতে) এখনও
অনেক বছর বাকি পড়ে রয়েছে। সম্পূর্ণ ঘোর অন্ধকারে রয়েছে। তাই তাদের বোঝাতে হবে যে,
নতুন দুনিয়ার মালিক হলো এই লক্ষ্মী-নারায়ণ। এঁরা হলো সম্পূর্ণতার প্রতীক। তোমরা বলো
যে, এখন এই রাজ্য স্থাপিত হচ্ছে। গানও রয়েছে - নবযুগ আসছে.... অজ্ঞানতার নিদ্রা হতে
জাগো। তোমরা এটা জানো যে, এখন হলো সঙ্গমযুগ, একে নবযুগ বলা যাবে না। সঙ্গমকে
সঙ্গমযুগই বলা হয়। এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। যখন পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয় আর নতুন
দুনিয়া স্থাপিত হয়। মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হতে চলেছে, রাজযোগ শিখছে। দেবতাদের
মধ্যেও উত্তম পদ হলো এই লক্ষ্মী-নারায়ণের। এনারাও তো মানুষ, এঁনাদের মধ্যে দিব্যগুণ
রয়েছে, তাই দেবী-দেবতা বলা হয়। সর্বাপেক্ষা উত্তম গুণ হলো পবিত্রতার, তবেই তো মানুষ
দেবতাদের সম্মুখে গিয়ে মাথা নত করে। এই সমস্ত পয়েন্টস্ বুদ্ধিতে ধারণ তাদেরই হবে
যারা সার্ভিসে তৎপর থাকে। কথিতও আছে, ধন দান করলে ধন শেষ হয়ে যায় না। অনেককিছু
বোঝানো হতেই থাকে। জ্ঞান অতি সহজ। তথাপি কারোর ধারণা ভাল থাকে, কারোর মধ্যে থাকে
না। যাদের মধ্যে অবগুণ রয়েছে তারা সেন্টার পরিচালনা (সংরক্ষণ) করতে পারে না। তাই
বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান যে, প্রদর্শনীতেও সরল-সরল শব্দ ব্যবহার করা উচিত। বোঝানো
উচিত যে, পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগই মুখ্য। এই সঙ্গমেই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের
স্থাপনা হচ্ছে। যখন এই ধর্ম ছিল, তখন আর কোনো ধর্ম ছিল না। এই যে মহাভারত লড়াই,
সেটাও ড্রামায় নির্ধারিত। এটাও এখনই বেরিয়ে এসেছে। পূর্বে ছিল নাকি । ১০০ বছরের
মধ্যেই সবকিছু সমাপ্ত হয়ে যাবে। সঙ্গমযুগের কমপক্ষে ১০০ বছর চাই, তাই না ! সমগ্র
নতুন দুনিয়া তৈরী হবে। নিউ দিল্লী নির্মাণ করতে কত সময় লেগেছিল। তোমরা বোঝ যে,
ভারতেই নতুন দুনিয়া হবে, তখন পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। কিছু তো রয়ে যায়, তাই
না ! প্রলয় তো হয় না। এ'সমস্ত কথা তো বুদ্ধিতে থাকে। এখন হলো সঙ্গমযুগ। নতুন
দুনিয়ায় অবশ্যই দেবী-দেবতারা ছিল, পুনরায় এঁনারাই থাকবে। এ হলো রাজযোগের অধ্যয়ন।
যদি কেউ ডিটেলে বোঝাতে না পারে তবে শুধু একটা কথা বলো -- পরমপিতা পরমাত্মা যিনি
সকলের পিতা, ওঁনাকে তো সকলেই স্মরণ করে। তিনি আমাদের অর্থাৎ সমস্ত বাচ্চাদের বলেন -
তোমরা অপবিত্র হয়ে গেছো। আহ্বানও করো - হে পতিত-পাবন এসো। বরাবরই কলিযুগ হলো পতিত,
আর সত্যযুগ হলো পবিত্র হয়। এখন পরমপিতা পরমাত্মা বলেন - দেহ-সহ এইসকল পতিত সম্বন্ধ
পরিত্যাগ করে মামেকম্ স্মরণ করো, তাহলেই তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে। এ হলো গীতারই শব্দ
(অক্ষর)। যুগও তো গীতারই। গীতা সঙ্গমযুগেই গাওয়া হয়েছিল, যখন বিনাশ হয়েছিল। বাবা
রাজযোগ শিখিয়েছিলেন। রাজ্য স্থাপন হয়েছিল, পুনরায় অবশ্যই হবে। এসবকিছু আধ্যাত্মিক
পিতা বোঝান, তাই না ! চলো, এই শরীরে না আসুক, অন্য কারোর মধ্যে আসে। যুক্তি তো
বাবার-ই, তাই না ! আমরা এনার নাম তো কেউ নিই না। আমরা শুধু বলি - বাবা বলেন, আমায়
স্মরণ করো তবেই তোমরা পবিত্র হয়ে আমার কাছে চলে আসবে। কত সহজ। শুধু আমাকে স্মরণ করো
আর ৮৪ চক্রের জ্ঞান বুদ্ধিতে রাখো। যে ধারণা করবে সে চক্রবর্তী রাজা হবে। এই বার্তা
তো সব ধর্মাবলম্বীদের জন্যই। ঘরে তো সকলকেই যেতে হবে। আমরাও ঘরেরই পথ বলে দিই।
পাদ্রী ইত্যাদি যেকোন কাউকে তোমরা বাবার সমাচার দিতে পারো। তোমাদের খুশীর পারদ অনেক
চড়ে থাকা উচিত - পরমপিতা পরমাত্মা বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো, তবেই তোমাদের বিকর্ম
বিনাশ হবে। সকলকে এটাই স্মরণ করাও। বাবার সমাচার শোনানোই নম্বর ওয়ান সার্ভিস। এখন এ
হলো গীতারও যুগ। বাবা এসেছেন, তাই সেই চিত্রই শুরুতে রাখতে হবে। যারা মনে করে - আমরা
বাবার সমাচার দিতে পারবো, তবে তাদের তৈরী থাকা উচিত। হৃদয়ে আসা উচিত যে, আমরাও
অন্ধের লাঠি হবো। এই সমাচার যেকোন কাউকে দিতে পারো। বি.কে-র নাম শুনলেই মানুষ ভয়
পায়। তাদের বলো - আমরা শুধু বাবার সমাচার দিই। পরমপিতা পরমাত্মা বলেন - আমাকে স্মরণ
করো, ব্যস্। আমরা কারোর গ্লানি করি না। বাবা বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো। আমি হলাম
সর্বোচ্চ পতিত-পাবন। আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। এটা নোট করো। এ হলো
অত্যন্ত কাজের জিনিস। হাতে বা বাহুতে অক্ষর লেখায় (উল্কি), তাই না! এও লিখে দাও।
এতটুকুও যদি বলো তাহলেই দয়াশীল, কল্যাণকারী হয়ে যাবে। নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করা
উচিত। সার্ভিস অবশ্যই করতে হবে, তাহলেই অভ্যাস হয়ে যাবে। এখানেও তোমরা বোঝাতে পারো।
চিত্র দিতে পারো। এ হলো সমাচার দাওয়ার মতন জিনিস। লক্ষ-লক্ষ তৈরী হয়ে যাবে। ঘরে-ঘরে
গিয়ে সমাচার দিতে হবে। পয়সা কেউ দিক বা না দিক, তাদের বলো - বাবা তো হলোই দীনদয়াল।
আমাদের কর্তব্য হলো - ঘরে-ঘরে সংবাদ পৌঁছে দিতে হবে। এনারা হলেন বাপদাদা, এনাদের
থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। ৮৪ জন্ম ইনি নেবেন। এ হলো এনার অন্তিম জন্ম। আমরা
ব্রাহ্মণ পুনরায় দেবতা হবো। ব্রহ্মাও তো ব্রাহ্মণ। প্রজাপিতা ব্রহ্মা একলা তো হবে
না, তাই না! অবশ্যই ব্রাহ্মণ বংশাবলীও (ব্রাহ্মণকুল) হবে, তাই না ! ব্রহ্মা তথা
বিষ্ণু দেবতা, ব্রাহ্মণ হলো কেশ-শিখা(টিকি)। সে-ই আবার দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য,
শূদ্র হয়। কেউ-কেউ অবশ্যই বেরোবে যারা তোমাদের কথা বুঝবে। পুরুষরাও সার্ভিস করতে
পারে। সকালে উঠে মানুষ যখন দোকান খোলে তখন বলে - 'সকালে ভগবানের......' তোমরাও
সকাল-সকাল গিয়ে বাবার সমাচার শোনাও। তাদের বলো, তোমাদের ব্যবসা অত্যন্ত ভালো অর্থাৎ
লাভজনক হবে। তোমরা সাঁই অর্থাৎ ঈশ্বরকে স্মরণ করো, তাহলে ২১ জন্মের উত্তরাধিকার পাবে।
অমৃতবেলার সময়কাল অত্যন্ত শুভ। আজকাল কারখানায় বসে মাতারাও কাজ করে। এই ব্যাজ তৈরী
করাও অতি সহজ। বাচ্চারা, তোমাদের রাত-দিন সার্ভিসে ব্যস্ত থাকা উচিত, নিদ্রা ত্যাগ
করে দেওয়া উচিত। বাবার পরিচয় পেয়ে মানুষ ধনী হয়ে যায়। তোমরা যেকোনো জনকে সমাচার দিতে
পারো। তোমাদের জ্ঞান অতি উচ্চ। বলো যে, আমরা তো এক পিতাকেই স্মরণ করি। খ্রাইস্টের
আত্মাও ওঁনারই সন্তান ছিল। আত্মারা তো সকলেই ওনারই সন্তান। সেই গডফাদারই বলেন, আর
কোনও দেহধারীকে স্মরণ কোরো না। তোমরা নিজেদের আত্মা মনে করে "মামেকম্ স্মরণ করো",
তবেই বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। আমার কাছে চলে আসবে। মানুষ পুরুষার্থ করেই ঘরে যাওয়ার
জন্য। কিন্তু যায় না কেউই। দেখা যায় যে, বাচ্চারা এখনও অত্যন্ত শীতল, এতটা পরিশ্রমে
পৌঁছতে পারে না, নানান বাহানা দিতে থাকে, এতে অনেক সহ্যও করতে হয়। ধর্মস্থাপককে কত
কিছু সহ্য করতে হয়। খ্রাইস্টের উদ্দেশ্যেও বলা হয় যে, তাকে ক্রুশ-বিদ্ধ করা হয়েছিল।
তোমাদের কাজ হলো সকলকে সংবাদ দেওয়া। তারজন্য বাবা যুক্তি বলতে থাকেন। কেউ সার্ভিস
না করলে বাবা বুঝে যান যে, ধারণা নেই। কীভাবে সমাচার দেবে বাবা তার পরামর্শ দেন।
ট্রেনেও তোমরা এই সমাচার দিতে থাকো। তোমরা জানো আমরা স্বর্গে যাই। কেউ-কেউ
শান্তিধামেও তো যাবে, তাই না! পথ তো তোমরাই বলে দিতে পারো। তোমাদের অর্থাৎ
ব্রাহ্মণদেরই যাওয়া উচিত। আছে তো অনেকেই। ব্রাহ্মণদের কোথাও তো রাখবে, তাই না !
ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান তো অবশ্যই হবে, তাই না !
আদিতে ব্রাহ্মণই রয়েছে। তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে সর্বোচ্চ। ওই ব্রাহ্মণেরা হলো গর্ভজাত।
ব্রাহ্মণ তো অবশ্যই চাই, তাই না ! তা নাহলে প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান ব্রাহ্মণেরা
কোথায় গেল। ব্রাহ্মণদের (লৌকিক) তোমরা বসে বোঝাও, তবে তারা তৎক্ষনাৎ বুঝে যাবে।
তাদের বলো, তোমরাও ব্রাহ্মণ আর আমরাও নিজেদের ব্রাহ্মণ বলি। এখন বলো তোমাদের ধর্ম
কে স্থাপন করেছেন? তারা ব্রহ্মা ব্যতীত আর কারোর নাম নেবেই না। তোমরা
ট্রায়াল(পরীক্ষা) করে দেখো। ব্রাহ্মণদেরও বড়-বড় কুল(বংশ) হয়। পূজারী ব্রাহ্মণ তো
অগণিত। আজমীরে বহু বাচ্চা যায়, কিন্তু কখনও কেউ এমন সমাচার দেয়নি যে আমরা
ব্রাহ্মণদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, তাদের জিজ্ঞাসা করেছি - তোমাদের ধর্মের স্থাপক
কে? ব্রাহ্মণধর্ম কে স্থাপন করেন ? তোমরা তো জানো যে, সত্যিকারের ব্রাহ্মণ কারা।
তোমরা অনেকের কল্যাণ করতে পারো। (তীর্থ) যাত্রায় ভক্তরাই যায়। এই চিত্র অতি মনোরম -
লক্ষ্মী-নারায়ণের। তোমরা জানো যে, জগদম্বা কে? লক্ষ্মী কে? এইরকমভাবে তোমরা তোমাদের
পরিচারক, আদিবাসী, নিম্নবর্গের মানুষদেরও বোঝাতে পারো। তোমরা ছাড়া আর তো কেউ নেই যে
তাদের শোনাবে। অতি দয়াশীল হতে হবে। বলো - তোমরাও পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ায় যেতে
পারো। নিজেকে আত্মা মনে করো, শিববাবাকে স্মরণ করো। কাউকে পথ বলে দেওয়ার অত্যন্ত শখ
থাকা উচিত। যে নিজে স্মরণ করবে সে-ই অন্যান্যদেরও স্মরণ করানোর পুরুষার্থ করবে। বাবা
তো গিয়ে কথা বলবে না। বাচ্চারা, এ তো তোমাদের কাজ। দরিদ্রদের কল্যাণসাধন করতে হবে।
বেচারা-রা অত্যন্ত সুখী হয়ে যাবে। একটু স্মরণ করলে প্রজাতেও আসতে পারে, সেটাও ভালো।
এই ধর্ম তো অত্যন্ত সুখ প্রদান করবে। দিনে-দিনে তোমাদের আওয়াজ জোরে নির্গত হবে (চারিদিকে
ছড়িয়ে পড়বে)। সকলকে এই সমাচারই দিতে থাকো যে, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ
করো। মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা হলে পদ্মাপদম ভাগ্যশালী। যখন মহিমা শোনো তখন
বুঝে যাও, তবে কোনও বিষয়ে কি আবার চিন্তাদি করা উচিত? এ হলো গুপ্ত জ্ঞান, গুপ্ত খুশী।
তোমরা হলে গুপ্ত যোদ্ধা। তোমাদের আননোন ওয়ারিয়ার্স বলা হবে, আর কেউই আননোন
ওয়ারিয়ার্স হতে পারে না। দিলওয়াড়া মন্দিরে সম্পূর্ণ তোমাদেরই স্মরণিক রয়েছে। হৃদয়
আকর্ষণকারীর পরিবার রয়েছে, তাই না! সমগ্র এই তীর্থ মহাবীর, মহাবীরাঙ্গনা আর তাদের
সন্তানদের। এই স্থান কাশীর থেকেও উচ্চ। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
ঘরে-ঘরে গিয়ে বাবার সমাচার দিতে হবে। সার্ভিস করার প্রতিজ্ঞা করো, সার্ভিসের জন্য
কোনো বাহানা কোরো না।
২ ) কোনও বিষয়ে চিন্তা
করবে না, গুপ্ত খুশীতে থাকতে হবে। কোনো দেহধারীকে স্মরণ করবে না। একমাত্র বাবাকেই
স্মরণ করতে হবে।
বরদান:-
কল্যাণকারী বাবা আর সময়ের প্রতিটি সেকেন্ড লাভবান হওয়া নিশ্চয়বুদ্ধি নিশ্চিন্ত ভব
যা কিছু দৃশ্য চলছে,
তা ত্রিকালদর্শী হয়ে দেখো। সাহস আর আনন্দে থেকে নিজেও সমর্থ আত্মা হও আর বিশ্বকেও
সমর্থ বানাও। তুফানে নিজের স্থিতিকে চঞ্চল করো না, অচল হও। যে সময় তোমরা পাচ্ছো,
বাবার সান্নিধ্য লাভ করছো, অনেক প্রকারের খাজানা প্রাপ্ত হচ্ছে, তার দ্বারা
সম্পত্তিবান আর সমর্থবান হও। সমগ্র কল্পে এরকম দিন আর পুনরায় আসবে না। এইজন্য নিজের
সকল চিন্তা বাবাকে দিয়ে নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে সদা নিশ্চিন্ত থাকো, কল্যাণকারী বাবা আর
সময়ের প্রত্যেক সেকেন্ডকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হও।
স্লোগান:-
বাবার
সঙ্গের রঙ লাগাও তাহলে খারাপ স্বতঃই সমাপ্ত হয়ে যাবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
অশরীরী বা বিদেহী স্থিতির অভ্যাস বাড়াও
বিদেহী হওয়ার বিধি হলো
- বিন্দু হওয়া। অশরীরী হওয়া, কর্মাতীত হওয়া, সবকিছুর বিধি হল বিন্দু হওয়া এইজন্য
বাবা বলছেন অমৃতবেলায় বাপদাদার সাথে মিলন করছো, আত্মিক কথোপকথন করছো, যখন লৌকিক
কাজকর্ম করবে তখন সবার আগে তিন বিন্দুর তিলক কপালে লাগাও আর চেক করো - কোনও কারণের
জন্য এই স্মৃতির তিলক মুছে যাচ্ছে না তো? অবিনাশী, অক্ষুণ্ণ তিলক যেন থাকে।