18.08.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা যেমন গাইড, সেই রকম গাইড হয়ে সকলকে বাড়ীর রাস্তা বলে দিতে হবে, অন্ধের লাঠি হতে হবে"

প্রশ্নঃ -
এই পূর্ব নির্ধারিত অনাদি ড্রামার রহস্য কি, যা তোমরা বাচ্চারাই জানো?

উত্তরঃ  
এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত অনাদি ড্রামা, এতে না তো কোনো অ্যাক্টার অ্যাড হতে পারে, না কেউ কম হতে পারে। মোক্ষ কারোরই প্রাপ্তি হয় না। কেউ বলে আমি এই আবাগমনের (যাওয়া-আসার) চক্রে আসিই না। বাবা বলেন - হ্যাঁ কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু পার্টের থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। এটাই হল ড্রামার রহস্য, তোমরা বাচ্চারাই তা জানো।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা জানে যে, ভোলানাথ কাকে বলা হয়। তোমরা সঙ্গমযুগী বাচ্চারাই জানতে পারো, কলিযুগী মানুষ বিন্দু বিসর্গও জানে না। জ্ঞানের সাগর হলেন একমাত্র বাবা, তিনিই সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান বোঝান। নিজের পরিচয় দেন। বাচ্চারা, তোমরা এখন বুঝতে পারো, পূর্বে কিছুই জানতে না। বাবা বলেন আমিই এসে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করি, অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদান করি। যা তোমরা এখন গ্রহণ করছো। জানি যে আমরা অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অসীম জগতের সুখের উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি। এইটা হলো পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা, এক জন অ্যাক্টরও না অ্যাড হতে পারে, না কম হতে পারে। সবারই নিজস্ব পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। মোক্ষ প্রাপ্ত করতে পারে না। যে-যে যেই ধর্মের আবার সেই ধর্মে চলে যাবে। বৌদ্ধ বা খ্রীস্টান ইচ্ছা করলো যে স্বর্গে যাবে, কিন্তু যেতে পারে না। যখন তাদের ধর্ম স্থাপক আসে তখনই তার পার্ট থাকে। বাচ্চারা, এটা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। সমগ্র দুনিয়ার মানুষ মাত্র এই সময় হলো নাস্তিক অর্থাৎ অসীম জগতের পিতাকে জানতে অক্ষম। মানুষই তো জানবে যে না! এই নাট্যশালা হলো মানুষেরই। প্রত্যেক আত্মা নির্বাণ ধাম থেকে আসে পার্ট করতে। আবার পুরুষার্থ করে নির্বাণ ধামে যাওয়ার জন্য। বলে থাকে বুদ্ধ নির্বাণ গিয়েছে। এখন বুদ্ধের শরীর তো যায়নি, আত্মা গেছে। কিন্তু বাবা বোঝান, কেউই যায় না। নাটক থেকে বেরোতেই পারে না। মোক্ষ প্রাপ্ত করতে পারে না। এটা পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা যে। কোন মানুষ মনে করে মোক্ষ প্রাপ্তি হয়, সেইজন্য পুরুষার্থ করতে থাকে। যেমন জৈন ধর্মে লোকেরা পুরুষার্থ করতে থাকে, তাদের নিজস্ব নিয়ম-রীতি আছে, তাদের নিজেদের গুরু আছে, যাকে তারা মানে। এছাড়া মোক্ষ কারোরই প্রাপ্ত হতে পারে না। তোমরা তো জানো যে এই ড্রামাতে আমরা হলাম পার্টধারী। আমরা কবে এসেছি, আবার ফিরে যাবো কীভাবে, এটা কারোর জানা নেই। জানোয়ার তো আর জানবে না। মানুষই বলে আমরা হলাম অ্যাক্টর, পার্টধারী। এটা হলো কর্মক্ষেত্র, যেখানে আত্মারা থাকে। নির্বাণধামকে কর্মক্ষেত্র বলা যাবে না। ওটা তো হলো নিরাকারী দুনিয়া। ওখানে কোনো খেলা-ধূলা নেই, অ্যাক্ট (কর্ম) নেই। নিরাকারী দুনিয়া থেকে সাকারী দুনিয়াতে আসে ভূমিকা পালন করতে, যার আবার রিপিট হতে থাকে। কখনো কখনো হয়ই না। শাস্ত্রে দেখানো হয় - মহাভারত লড়াইতে যাদব আর কৌরব মরে গেছে, বাকি পঞ্চ পান্ডব বেঁচেছে, তারাও পাহাড়ী পথে গলে মরেছে। বাকি কিছুই থাকেনি। এর থেকে মনে করে প্রলয় হয়ে গেছে। এই সব কথা বসে বানানো হয়েছে, আবার দেখানো হয়েছে অশ্বত্থ পাতার উপর এক বাচ্চা আঙুল চুষতে চুষতে আসছে। এখন এর থেকে কীভাবে দুনিয়া জন্মাবে। মানুষ যা কিছু শোনে সেটা সত্যি-সত্যি করতে থাকে। বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে শুরু থেকে কি না কি লিখে দিয়েছে। এই সব হলো ভক্তি মার্গের শাস্ত্র। ভক্তকে ফল দিতে পারেন একমাত্র ভগবান বাবা। কেউ মুক্তিতে কেউ জীবন মুক্তিতে চলে যাবে। প্রত্যেক পার্ট ধারী আত্মার যখন পার্ট আসবে তখন আবার আসবে। ড্রামার এই রহস্য তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা ব্যতীত কেউ জানে না। বলে আমি রচনা আর রচয়িতাকে জানি না। তোমরা ড্রামার অ্যাক্টর্স হয়েছো আর ড্রামার আদি-মধ্য-অন্ত, ডিউরেশন ইত্যাদি না জানলে তো অবুঝ বলবে যে না! বোঝালেও বোঝে না। ৮৪ লক্ষ জন্ম মনে করার কারণে ডিয়ুরেশনও লক্ষ বছর করে দেয়। তোমরা এখন মনে করো বাবা আমরা তোমার কাছ থেকে প্রতি কল্পে এসে স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত করি। ৫ হাজার বছর পূর্বেও তোমার সাথে মিলিত হয়েছি, অসীম জগতের উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে। যথা রাজা-রাণী তথা প্রজা, সবাই বিশ্বের মালিক হয়ে ওঠে। প্রজাও বলবে আমরা হলাম বিশ্বের মালিক। তোমরা যখন বিশ্বের মালিক হয়ে ওঠো, সেই সময় চন্দ্রবংশী রাজ্য থাকে না। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা ড্রামার সমগ্র আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। মানুষ ভক্তি মার্গে যাকে পূজা করে তাঁকেও জানে না। যাকে ভক্তি করতে হয় তো তাঁর বায়োগ্রাফীও জানা উচিত। বাচ্চারা, তোমরা এখন বাবার মাধ্যমে সকলের বায়োগ্রাফী জেনেছো। তোমরা বাবার হয়েছো। বাবার বায়োগ্রাফী জানা আছে। সেই বাবা হলেন পতিত-পাবন, লিবারেটর (মুক্তিদাতা), গাইড (পথপ্রদর্শক)। তোমাদের বলা হয় পান্ডব। তোমরা সকলের গাইড হয়ে ওঠো, অন্ধের লাঠি হয়ে ওঠো সকলকে পথ- নির্দেশ দিতে। বাবা যেমন গাইড বাচ্চারা তোমাদেরও সেই রকম গাইড হতে হবে। সকলকে পথ বলে দিতে হবে। তোমরা হলে আত্মা, তিনি হলেন পরমাত্মা, ওনার থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা যায়। ভারতে অসীম জগতের রাজ্য ছিলো, এখন নেই। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে আমরা অসীম জগতের পিতার থেকে অপরিসীম সুখের উত্তরাধিকার গ্রহণ করি অর্থাৎ মানুষ থেকে দেবতা হই। আমরাই দেবতা ছিলাম আবার ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে শূদ্র হয়েছি। বাবা এসে শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ করেন। যজ্ঞে অবশ্যই ব্রাহ্মণের দরকার। এটা হলো জ্ঞান যজ্ঞ, ভারতে অনেক যজ্ঞ রচনা করা হয়। এখন এটা তো হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ, যেখানে সমগ্র পুরানো দুনিয়া স্বাহাঃ অর্থাৎ পরিত্যাগ হবে। এখন বুদ্ধি দ্বারা কার্য করতে হয়। কলিযুগে তো অনেক মানুষ থাকে, এই সমগ্র পুরানো দুনিয়া নিঃশেষ হয়ে যাবে। কোনো জিনিসই কাজে আসবে না। সত্যযুগে তো সব কিছু আবার নতুন হবে। এখানে তো কতো নোংরা আছে। মানুষ কতো নোংরা থাকে। ধনবান খুব ভালো অট্টালিকাতে থাকে। বেচারা গরীব নোংরাতে, ঝুপড়িতে থাকে। এখন এই ঝুপড়ি গুলি গভর্নমেন্ট ডেস্ট্রয় (ধ্বংস) করতে থাকে, আবার তাদের অন্য জায়গা দিয়ে সেই জমি বিক্রিও করতে থাকে। না উঠলে তখন জোর করে উঠিয়ে দেয়। গরীব দুঃখী অনেক আছে, যে সুখী আছে সেও স্থায়ী ভাবে সুখী নয়। সুখ যদি থাকে তো কেন বলে যে, এটা হলো কাক বিষ্ঠা সম সুখ।

শিব ভগবানুবাচ : আমি এই মায়েদের দ্বারা স্বর্গের দ্বার উন্মুক্ত করছি। তারা আবার সকলকে জ্ঞান অমৃত পান করায়। তোমাদের হলো প্রবৃত্তি মার্গ। তোমরা হলে সত্যিকারের ব্রাহ্মণ, তাই সবাইকে জ্ঞান-চিতার উপরে বসাও। এখন তোমরা দৈবী সম্প্রদায়ের হয়ে উঠছো। আসুরিক সম্প্রদায় অর্থাৎ রাবণ রাজ্য। গান্ধীও বলতেন রাম রাজ্য হবে। মানুষ ডাকে, হে পতিত পাবন এসো, কিন্তু নিজেকে কি আর পতিত মনে করে। বাবা বাচ্চাদের সচেতন করেন, তোমরা ঘোর অন্ধকার থেকে আলোতে এসেছো। মানুষ তো মনে করে গঙ্গা স্নান করলে পবিত্র হয়ে যাবে। এমনিই গঙ্গাতে হরিদ্বারের সমস্ত আবর্জনা পড়ে। বলে আবার সেই সব আবর্জনা সমস্ত ক্ষেতে নিয়ে যায়। সত্যযুগে এরকম কাজ হয় না। সেখানে তো প্রচুর পরিমাণে শস্য হয়। পয়সা কি আর খরচ করতে হয়! বাবা হলেন অনুভাবী। প্রথমে চাল-ডাল কতো সস্তা ছিলো। সত্যযুগে খুবই কম মানুষ থাকে, সব জিনিস সস্তা হয়। তাই বাবা বলেন - মিষ্টি বাচ্চারা, এখন তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে। বাবা অনেক সহজ যুক্তি বলে দেন, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। আত্মাতেই খাদ পড়ার কারণে আত্মা কলুষিত হয়ে পড়ে। যারা দিব্য বুদ্ধি সম্পন্ন ছিলো তারাই পাথর বুদ্ধি সম্পন্ন হয়েছে। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা এখন বাবার কাছে এসেছো পাথরনাথ থেকে পরশনাথ হতে। অসীম জগতের পিতা তোমাদের বিশ্বের মালিক করে তোলেন, তাও আবার গোল্ডেন এজড্ বিশ্বের। এটা হলো আয়রণ এজেড্ বিশ্ব। বাবা বসে বাচ্চাদের পরশপুরীর মালিক করে তোলেন। তোমরা জানো যে এখানকার এতো মহল-অট্টালিকা ইত্যাদি কোনো কাজে আসবে না। সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। এখানে কি রাখা আছে! আমেরিকার কাছে কতো সোনা আছে! এখানে তো যে যৎ সামান্য সোনা মাতাদের কাছে আছে, সেটাও নিয়ে নিতে থাকে। কারণ তাদের তো ধারে সোনা দিতে হবে। ওখানে তোমাদের কাছে সোনা আর সোনা হবে। এখানে কড়ি, ওখানে হীরে হবে। একে বলা হয় আয়রণ এজড্। ভারতই হলো অবিনাশী ভূমি, কখনো বিনাশ হয় না। ভারত হলো সবচেয়ে উচ্চতম। তোমরা অর্থাৎ মাতারা সমগ্র বিশ্বের উদ্ধার করে থাকো। তোমাদের জন্য অবশ্যই নূতন দুনিয়া চাই। পুরানো দুনিয়ার বিনাশ চাই। কতো বোঝার ব্যাপার আছে। শরীর নির্বাহ করার জন্য ব্যবসা ইত্যাদিও করতে হবে। কিছুই ছাড়তে হবে না। বাবা বলেন সব কিছু করেও আমাকে স্মরণ করতে থাকো। ভক্তি মার্গেও তোমরা আমাকে তোমাদের প্রিয়তম হিসেবে স্মরণ করে এসেছো যে আমাদের কুৎসিত থেকে সুন্দর করো। ওনাকে মুসাফির বা ভবঘুরে বলা হয়। তোমরা তো সকলে হলে ভবঘুরে। তোমাদের বাড়ী হলো সেটা (পরমধাম), যেখানে সব আত্মারা থাকে।

তোমরা সবাইকে জ্ঞান চিতার উপরে বসাও। সমস্ত হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে দিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরী। আবার তোমরা নূতন কেউ আসবে, যত স্মরণে থাকবে ততো পবিত্র হয়ে উঠবে আর উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। মায়েরা তো কিছুটা সময় পায় । মেল্সের (পুরুষদের) বুদ্ধি ব্যবসা ইত্যাদির দিকে ঘুরপাক খেতে থাকে।, সেইজন্য বাবা কলসও মাতাদের উপর রেখেছেন। এখানে তো স্ত্রীকে বলে যে পতিই তোমার ঈশ্বর, গুরু - সব কিছু। তুমি হলে তার দাসী। এখন বাবা তোমাদের কতো উচ্চ মানের করে তুলছেন। তোমরা এই নারীরাই ভারতের উদ্ধার করো। কেউ-কেউ বাবাকে জিজ্ঞাসা করে- আবাগমনের থেকে মুক্ত হতে পারি না? বাবা বলেন - হ্যাঁ পারো, কিন্তু কিছু সময়ের জন্য। বাচ্চারা, তোমরা তো অলরাউন্ড আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত ভূমিকা পালন করো। অন্যান্য যারা আছে তারা মুক্তিধামে থাকে। তাদের পার্টি হলো অল্প। তারা স্বর্গে তো যাবে না। আবাগমন অর্থাৎ আসা-যাওয়া থেকে মোক্ষ প্রাপ্তি সেটাকে বলা হবে, যে শেষে মাত্র এসেছে আর সোজাসুজি ফিরে গেছে । জ্ঞান ইত্যাদি তো শুনতে পারবে না। শুনতে তারাই পারবে যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পার্ট প্লে করে এসেছে। কেউ বলে - আমার তো এটাই পছন্দ। আমি ওখানেই বসে থাকি। এ'রকম তো আর হতে পারে না। ড্রামাতে স্থির হয়ে আছে, গিয়ে শেষের দিকে অবশ্যই আসবে। এছাড়া পুরো সময় শান্তিধামে থাকে। এটা হলো অসীম জগতের ড্রামা। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সত্যিকারের ব্রাহ্মণ হয়ে সবাইকে জ্ঞান অমৃত পান করাতে হবে। জ্ঞান চিতার উপরে বসাতে হবে।

২ ) শরীর নির্বাহ করার জন্য ব্যবসাপত্র ইত্যাদি সব কিছু করেও পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার বাবার স্মরণে থাকতে হবে আর সবাইকে বাবার স্মরণ করাতে হবে।

বরদান:-
বিশেষত্বের দানের দ্বারা মহান হওয়া মহাদানী ভব

জ্ঞান দান তো সবাই করে কিন্তু তোমাদের অর্থাৎ বিশেষ আত্মাদেরকে নিজের বিশেষত্বের দান করতে হবে। যারা তোমাদের সামনে আসবে, তারা যেন তোমাদের থেকে বাবার স্নেহ অনুভব করে, তোমাদের চেহারার দ্বারা বাবার চিত্র আর চলন দ্বারা বাবার চরিত্র দেখা যাবে। তোমাদের বিশেষত্বগুলি দেখে তারাও বিশেষ আত্মা হওয়ার প্রেরণা প্রাপ্ত করবে, এইরকম মহাদানী হও তাহলে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত, পূজ্য রূপেও আর পূজারী রূপেও মহান থাকবে।

স্লোগান:-
সদা আত্ম-অভিমানী হয়ে থাকা আত্মাই হলো সবথেকে বড় জ্ঞানী।

অব্যক্ত ঈশারা :- সহজযোগী হতে হলে পরমাত্ম প্রেমের অনুভবী হও

যারা সদা বাবার স্মরণে লভলীন থেকে আমিত্ববোধের ত্যাগ - বৃত্তিতে থাকে, তাদের দ্বারাই বাবা প্রত্যক্ষ হন। তোমরা বাচ্চারা নলেজের আধারে বাবার স্মরণে সমাহিত হয়ে যাও তো এই সমাহিত হয়ে যাওয়াই হল লভলীন স্থিতি, যখন লভে লীন হয়ে যাও অর্থাৎ লগনে মগন হয়ে যাও তখন বাবার সমান হয়ে যাও।