19.08.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
নিজেদের স্বধর্ম-কে ভুলে যাওয়াই হলো সর্বাপেক্ষা বড় ভুল, এখন তোমাদের নির্ভুল হতে
হবে, নিজেদের ঘর এবং রাজ্যকে স্মরণ করতে হবে"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমাদের কোন্ অবস্থাটিই সময়ের সমীপতার চিহ্ন (নিশানী) ?
উত্তরঃ
বাচ্চারা,
তোমরা যখন স্মরণের যাত্রায় সদা মগ্ন থাকবে, বুদ্ধির (এদিক-ওদিক) বিচরণ বন্ধ হয়ে যাবে,
বাণীতে স্মরণের তীক্ষ্ণতা এসে যাবে, অপার খুশীতে থাকবে, প্রতিমুহূর্তে নিজেদের
সত্যযুগীয় দুনিয়ার দৃশ্য সম্মুখে আসতে থাকবে, তবেই মনে করবে সময় সমীপে রয়েছে। বিনাশে
সময় লাগে না, এরজন্য স্মরণের চার্ট বৃদ্ধি করতে হবে।
গীতঃ-
তোমাকে পেয়ে
আমরা সারা দুনিয়া পেয়ে গেছি / মাটি তো মাটি আকাশও পেয়েছি.....
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক
সন্তানেরা এই গানের অর্থ তো বুঝতে পারবে। এখন অসীম জগতের পিতাকে পেয়ে গেছি। অসীম
জগতের পিতার থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার পাওয়া যায়, যে উত্তরাধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে
পারে না। উত্তরাধিকারের নেশা তখনই চলে যায় যখন রাবণ-রাজ্য শুরু হয়। এও ড্রামায়
নির্ধারিত। বাচ্চাদের সৃষ্টি ড্রামার জ্ঞানও রয়েছে। এই চক্র কিভাবে আবর্তিত হয়। একে
নাটকও বলা হয়, ড্রামাও বলা হয়। বাচ্চারা মনে করে, নিশ্চিত ভাবেই বাবা এসে
সৃষ্টি-চক্রকেও বোঝান। যারা ব্রাহ্মণ কুলের ছিল, তাদেরকেই বোঝান। বাচ্চারা, তোমরা
তোমাদের জন্মকে জানো না, আমি তোমাদের জানিয়েছি। পূর্বে তোমরা শুনতে, ৮৪ লক্ষ জন্ম
নেওয়ার পর একবারের জন্য মনুষ্য-জন্ম প্রাপ্ত হয়। এমনটা নয়। এখন তোমরা সকল আত্মারা
নম্বরের ক্রমানুসারে আসা-যাওয়া করো। তোমাদের বুদ্ধিতে আসে যে - সর্বপ্রথমে আমরা আদি
সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম, পূজনীয় ছিলাম। এখন আমরাই পূজারী হয়ে গেছি। 'তুমিই
পূজ্য - তুমিই পূজারী' - এরও গায়ন রয়েছে। মানুষ পুনরায় ভগবানকে মনে করে যে, তুমিই
পূজ্য - তুমিই পূজারী হও। এ'সব রূপ তোমারই। অনেক মত-মতান্তর রয়েছে, তাই না! তোমরা
এখন শ্রীমতানুসারে চলো। তোমরা বোঝো যে, আমরা স্টুডেন্টরা প্রথমে তো কিছু জানতাম না,
এরপর পঠন-পাঠন করে উচ্চতম(উচ্চ পদমর্যাদার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে থাকি। লৌকিক
স্টুডেন্টরাও তো প্রথমে কিছু জানেনা তারপর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে-হতে বুঝতে পারে যে
এখন আমরা ব্যারিস্টারি পাশ করে গেছি। তোমরাও এখন জানো যে - আমরা মানব থেকে দেবতায়
পরিণত হচ্ছি তাও আবার বিশ্বের মালিক। ওখানে তো হয়ই এক ধর্ম, এক রাজ্য। তোমাদের
রাজ্য কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। ওখানে তোমাদের পবিত্রতা-সুখ-শান্তি-সম্পত্তি
সবকিছুই রয়েছে। গানেও শুনেছো তো, তাই না! এ'গান তো এখন তোমরা তৈরী করোনি। স্বাভাবিক
ভাবেই ড্রামানুসারে এ'সময়ের জন্য এটা তৈরী হয়ে রয়েছে। মানুষের তৈরী করা গানের অর্থ,
বাবা বসে বোঝান। এখন তোমরা এখানে শান্তিতে বসে বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো,
যা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। আধাকল্প সুখের উত্তরাধিকার বজায় থাকে। বাবা বোঝান -
মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা অর্ধকল্পেরও অধিকসময় সুখ ভোগ করো। পুনরায় রাবণ-রাজ্য
শুরু হয়। মন্দিরও এমন-এমন রয়েছে যেখানে চিত্র দেখানো হয় - দেবতারা বাম-মার্গে
কিভাবে চলে যায়। পোশাক তো তেমনই রয়ে গেছে। পরে পোশাক বদল হয়ে যায়। প্রত্যেক রাজার
নিজের নিজের পোশাক, রাজমুকুট ইত্যাদি আলাদা-আলাদা রকমের হয়।
এখন বাচ্চারা জানে
যে, আমরা শিববাবার কাছ থেকে ব্রহ্মার দ্বারা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। বাবা তো
বাচ্চারা-বাচ্চারাই বলবেন। তিনি বলেন - বাচ্চারা, তোমরা নিজেদের জন্মকে জানো না।
আত্মাই তো শোনে, তাই না! আমরা হলাম আত্মা, শরীর নই। আর যেকোন মানুষমাত্রই, তাদের
নিজেদের শরীরের নামের নেশা রয়েছে কারণ তারা দেহ-অভিমানী। আমরা হলাম আত্মা, এটা তারা
জানে না। তারা বলে -- "আত্মাই-পরমাত্মা, পরমাত্মাই-আত্মা"। এখন বাবা তোমাদের
বুঝিয়েছেন যে, তোমরা আত্মারাই বিশ্বের মালিক দেবী-দেবতা হচ্ছো। এই জ্ঞান এখন রয়েছে,
আমরাই দেবতা পুনরায় ক্ষত্রিয় কুলে আসবো। ৮৪ জন্মের হিসেবও চাই, তাই না! সকলেই তো
৮৪ জন্ম নেবে না। একসাথে কি সকলেই চলে আসে, না তা আসে না। তোমরা জানো যে, কোন ধর্ম
কিভাবে আসে। হিস্ট্রি পুরানো থেকে পুনরায় নতুন হয়। এখন এ হলো পতিত দুনিয়া। ওটা হলো
পবিত্র দুনিয়া। পরে অন্যান্য ধর্ম আসে, এখানে কর্মক্ষেত্রে এই একটিই নাটক চলতে থাকে।
মুখ্য হলো ৪ ধর্ম। এ'সঙ্গমে বাবা এসে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন।
বিরাটরূপের চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে, কিন্তু সেখানেও এই ভুল রয়েছে। বাবা এসে সবকথা
বুঝিয়ে নির্ভুল করেন। বাবা না কখনো শরীর ধারণ করেন, না কখনো ভুল করেন। বাচ্চারা,
তিনি অল্পসময়ের জন্য তোমাদের সুখধামের এবং আপন ঘরের পথ বলে দিতে এনার রথে আসেন। তিনি
না কেবল পথ বলে দেন, উপরন্তু লাইফও তৈরী দেন। প্রতিকল্পে তোমরা ঘরে ফিরে যাও পুনরায়
সুখের ভূমিকাও পালন করো। বাচ্চাদের ভুলে গেছে - আমাদের স্বধর্মই হলো শান্ত। এই
দুঃখের দুনিয়ায় শান্তি কিভাবে আসবে - এ'সব বিষয় তোমরা বুঝে গেছো। তোমরা আবার সকলকে
বোঝাও। ধীরে-ধীরে সকলেই আসতে থাকবে, বিদেশীরাও জানতে পারবে যে - এই সৃষ্টি-চক্র
কীভাবে আবর্তিত হয়, এর আয়ু কত। বিদেশীরাও তোমাদের কাছে আসবে অথবা বাচ্চারা সেখানে
গিয়ে সৃষ্টি চক্রের রহস্য বোঝাবে। তারা মনে করে যীশুখ্রীস্ট নিকট পৌঁছে গেছে। তারা
যীশুখ্রীস্টকে ঈশ্বরের সন্তান মনে করে। অনেকে আবার এমন মনে করে যে, যীশুখ্রীস্টও
পুনর্জন্ম নিতে-নিতে এখন বেগার (কাঙ্গাল) হয়ে গেছে। বেগার অর্থাৎ তমোপ্রধান। তারা
মনে করে যীশুখ্রীস্টও এখন এখানে রয়েছে, পুনরায় কবে আসবে তা জানে না। তোমরা বোঝাতে
পারো যে - তোমাদের ধর্মস্থাপক পুনরায় আপন সময়ানুসারে ধর্মস্থাপন করতে আসবে। ওনাদের
গুরু বলতে পারবে না। তারা ধর্মস্থাপন করতে আসে। সদ্গতিদাতা একজনই, যারাই এখন
ধর্মস্থাপন করতে আসে, তারা সকলে পুনর্জন্ম নিতে-নিতে এখন এসে তমোপ্রধান হয়ে গেছে।
শেষে সমগ্র বৃক্ষ জর্জরিত অবস্থাপ্রাপ্ত হয়েছে। এখন তোমরা জানো যে, সমগ্র বৃক্ষ
দাঁড়িয়ে রয়েছে, কেবল দেবী-দেবতা ধর্মের ফাউন্ডেশন নেই। (বট বৃক্ষের উদাহরণ) এ'কথা
বাবা-ই বাচ্চাদের বসে বোঝান। বাচ্চারা, তোমাদের অত্যন্ত খুশী হওয়া উচিত। তোমরা এখন
জেনেছো যে, আমরাই দেবী-দেবতা ছিলাম পুনরায় এখন তৈরী হচ্ছি। এখানে তোমরা এসেছোই
সত্যনারায়ণের কথা শুনতে, যারফলে তোমরা নর থেকে নারায়ণ হয়ে যাবে। নারায়ণ থাকলে তাহলে
অবশ্যই লক্ষ্মীও থাকবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ থাকলে তবে তাঁদের রাজধানীও অবশ্যই থাকবে,
তাই না! লক্ষ্মী-নারায়ণ কেবল একেলাই তো হবে না। লক্ষ্মী হওয়ার জন্য কি পৃথক কোন কথা
(ব্রতকথা) থাকবে, না তা থাকবে না। নারায়ণের সঙ্গে লক্ষ্মীও হবে। লক্ষ্মীও কখনো
নারায়ণ হয়। আবার নারায়ণও কখনো লক্ষ্মী হয়। কোন-কোন গান তো অত্যন্ত ভাল। মায়ার আঘাত
যদি আসে, গান শুনলে মনে উৎফুল্লতা ফিরে আসে। যেমন সাঁতার শিখতে হলে, প্রথমে হাবুডুবু
খায় পরে তা আয়ত্তে আসে। এখানেও মায়ায় অনেক হাবুডুবু (বিভ্রান্ত) খায়। সাঁতারু তো
অনেকেই রয়েছে। তাদেরও রেস হয়, তোমাদেরও রেস হয় - ওই পারে যাওয়ার। "মামেকম্ স্মরণ
করতে হবে" । স্মরণ করে না তাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। বাবা বলেন - স্মরণের যাত্রার
দ্বারাই তরী পার হবে। তোমরা ওই পারে চলে যাবে। কোনও কোনো সাতারু অত্যন্ত পারদর্শী
হয়, আবার কেউ কেউ কম। এখানেও এমন হয়। বাবার কাছে চার্ট পাঠিয়ে থাকে । বাবা পরীক্ষা
করেন। স্মরণের চার্টকে এরা রাইটলি বোঝে নাকি রংলি (ভুল ভাবে) বোঝে। কেউ-কেউ দেখায় -
আমরা সারাদিনে ৫ ঘন্টা স্মরণে থাকি। আমরা বিশ্বাস করি না, অবশ্যই কোনো ভুল হয়েছে।
কেউ-কেউ মনে করে, আমরা যতটা সময় এখানে পড়ি ততটা সময় চার্ট ঠিক থাকে। কিন্তু না।
অনেকেই আছে যারা এখানে বসে থাকলেও, শুনতে থাকলেও বুদ্ধি বাইরে কোথায়-কোথায় চলে যায়।
সবকিছু শোনেও না। ভক্তিমার্গে এমন-এমন হয়। সন্ন্যাসীরা যখন কথা শোনায় তখন মাঝে-মাঝে
জিজ্ঞাসা যে, আমি কি শোনালাম? যখন দেখে, কেউ একাগ্র হয়ে বসেনি তখন তাকে প্রশ্ন করে,
কিন্তু সে উত্তর দিতে পারে না। কারণ বুদ্ধি কোথাও না কোথাও চলে যায়। একটি অক্ষরও
শোনে না। এখানেও এমনই হয়। বাবা দেখতে থাকেন - বোঝা যায় এদের বুদ্ধি বাইরে কোথাও
বিচরণ করছে। এদিক-ওদিক দেখতে থাকে। এমন-এমনও নতুন কেউ-কেউ আসে। বাবা বুঝে যান যে,
সম্পূর্ণরূপে বোঝেনি তাই বাবা বলেন যে, নতুনদের সাথে সাথে এখানে ক্লাস করতে আসার
অনুমতি দিও না। নাহলে এখানকার বায়ুমন্ডল নষ্ট হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে তোমরা দেখবে যে,
যারা ভালো-ভালো বাচ্চা তারা এখানে বসেই বৈকুন্ঠে চলে যাবে। অত্যন্ত খুশীতে থাকবে।
হঠাৎ হঠাৎই চলে যাবে - এখন সময় নিকটে এসে গেছে। পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসারে
তোমাদের অবস্থাও এমনই হয়ে যাবে। মাঝে মাঝেই স্বর্গে নিজেদের মহল দেখবে। যাকিছু বলার
বা করার আছে তার সাক্ষাৎকার হতে থাকবে। সময় তো দেখতে পাচ্ছো। দেখো, কেমন-কেমনভাবে
এখন সব প্রস্তুতি চলছে। বাবা বলেন - দেখবে, কিভাবে এক সেকেন্ডে সারা দুনিয়ার মানুষ
ধূলোয় মিশে যাবে। বোমা ফাটবে আর এ'সব শেষ হয়ে যাবে।
বাচ্চারা, তোমরা জানো
যে, এখন আমাদের রাজধানী স্থাপিত হচ্ছে। এখন স্মরণের যাত্রায় মত্ত হয়ে থাকতে হবে।
সেই তীক্ষ্ণতায় ভরপুর হতে হবে যাতে দৃষ্টি দ্বারা যেকোনো কেউ তীরবিদ্ধ হয়ে যায়।
ভীষ্ম পিতামহ ইত্যাদির মতন যারা তাদের তোমরাই জ্ঞান-বাণে বিদ্ধ করেছিলে। তারা
তৎক্ষণাৎ বুঝে যাবে যে এরা তো সত্য (কথা) বলে। জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন তো নিরাকার
ঈশ্বর। কৃষ্ণ হতে পারে না। তাঁর তো জন্ম দেখানো হয়। কৃষ্ণের সেই ফিচার আর কখনো
দেখতে পাওয়া যাবে না। পুনরায় সত্যযুগে সেই ফিচার্সই পাবে। প্রত্যেক জন্মে,
প্রত্যেকের ফিচার্স আলাদা-আলাদা হয়। ড্রামার এই পার্ট এমনভাবে নির্ধারিত। ওখানকার
ফিচার্স ন্যাচারালী বিউটিফুল হয়। এখন তো দিনে-দিনে শরীরও তমোপ্রধান হতে থাকে।
সর্বপ্রথমে সতোপ্রধান, পুনরায় সতঃ-রজঃ-তমঃ হয়ে যায়। এখানে দেখো কেমন-কেমন বাচ্চার
জন্ম হয়। কারো পা চলে না, কেউ বামন (অতি খর্বকায়) হয়। কত বিভিন্ন জিনিস (ঘটনা) ঘটে
যায়। সত্যযুগে এমন হয় কি ! না হয় না। ওখানে দেবতাদের দাড়ি ইত্যাদিও হয় না। পরিস্কার
করে দাড়ি কামানো থাকে। নয়নের গতিবিধি দেখে বোঝা যায় ইনি পুরুষ, ইনি মহিলা। ভবিষ্যতে
তোমাদের অনেক সাক্ষাৎকার হতে থাকবে। বাচ্চারা, তোমাদের কত খুশী হওয়া উচিত। বাবা,
প্রতিকল্পে এসে আমাদের রাজযোগ শিখিয়ে মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত করেন। বাচ্চারা, এও
তোমরাই জানো যে, আর যেসকল ধর্মাবলম্বীরা রয়েছে, তারা নিজ-নিজ সেক্শনে চলে যাবে।
আত্মাদের বৃক্ষও(ঝাড়) দেখানো হয়, তাই না ! চিত্রতে অনেক কারেক্শন, পরিবর্তন করতে
থাকবে। যেমন বাবা সূক্ষ্মলোকের জন্য বোঝান, সংশয়বুদ্ধিসম্পন্নরা তো বলবে, এ কি !
পূর্বে অমন বলতো, আর এখন এমন বলে। লক্ষ্মী-নারায়ণের একত্রিত দুই রূপকে বিষ্ণু বলা
হয়। তাছাড়া চারভূজ বিশিষ্ট মানুষ হয় কি! না হয় না। রাবণের দশ মাথা দেখানো হয়। এমন
কোনো মানুষ হয় না। প্রতি বছর জ্বালানো হয়। ঠিক যেন পুতুল-খেলা।
মানুষ বলে - শাস্ত্র
ছাড়া আমরা বাঁচতে পারবো না। শাস্ত্র আমাদের প্রাণ। দেখো, গীতার সম্মান কতো। এখানে
তোমাদের কাছে অসংখ্য মুরলী একত্রিত হয়ে যায়। তোমরা রেখে কি করবে ! প্রতিদিন তোমরা
নতুন-নতুন পয়েন্টস্ শুনতে থাকো। হ্যাঁ, পয়েন্টস্ নোট করা ভালো। ভাষণ দেওয়ার পূর্বে
রিহার্সাল করবে যে, এই-এই পয়েন্টস্ বোঝাবো। টপিকের লিস্ট থাকা উচিত। আজ আমরা এই
বিষয়বস্তুর উপর বোঝাব। রাবণ কে? রাম কে? সত্য কি! তা আমরা আপনাদের বলবো। এ'সময়
সমগ্র দুনিয়ায় রাবণের রাজ্য। ৫ বিকার সকলের মধ্যে রয়েছে। বাবা এসে পুনরায়
রাম-রাজ্য স্থাপন করেন। এ হলো জয়-পরাজয়ের খেলা। পরাজিত কিভাবে হয়? ৫ বিকার-রূপী
রাবণের দ্বারা। পূর্বে পবিত্র গৃহস্থ-আশ্রম ছিল তা আজ অপবিত্র হয়ে গেছে। যাঁরা
লক্ষ্মী-নারায়ণ, তাঁরাই পুনরায় ব্রহ্মা-সরস্বতী। বাবাও বলেন, আমি এনার অনেক জন্মের
অন্তিমে এসে প্রবেশ করি। তোমরা বলবে যে, আমরাও অনেক জন্মের অন্তিমলগ্নে বাবার থেকে
জ্ঞান অর্জন করছি। এ হলো বুঝবার মতো বিষয়। কারো বুদ্ধি কমজোর হলে বোঝে না। এই
রাজধানী তো স্থাপিত হচ্ছে। অনেকেই এসেছে আবার চলেও গেছে। প্রজায় কানা-কড়ি পদ লাভ
করবে। সেটাও তো চাই, তাই না! আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সদা
এই নেশায় মগ্ন থাকতে হবে যে, আমরা এখন পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে মানুষ থেকে দেবতা তথা
বিশ্বের মালিক হবো। আমাদের রাজ্যে পবিত্রতা-সুখ-শান্তি সব থাকবে। এ'সব কেউ ছিনিয়ে
নিতে পারবে না।
২ ) এপার থেকে ওপারে
যাওয়ার জন্য স্মরণের যাত্রায় ভাল সাঁতারু হতে হবে। মায়ার কারণে বিভ্রান্ত হবে না।
নিজের চেকিং করতে হবে, সঠিকভাবে বুঝে স্মরণের চার্ট লিখতে হবে।
বরদান:-
পুরুষার্থ আর প্রালব্ধের হিসাবকে জেনে তীব্রগতীতে এগিয়ে চলা নলেজফুল ভব
পুরুষার্থ দ্বারা
অনেক সময়ের জন্য প্রালব্ধ বানানোর এটাই হল সময়, এইজন্য নলেজফুল হয়ে তীব্রগতীতে এগিয়ে
চলাে। এতে এটা চিন্তা কোরো'না যে আজ নয়তো কাল পরিবর্তন হয়ে যাবো। একেই অলসতা বলা হয়।
এখনও পর্যন্ত বাপদাদা স্নেহের সাগর হয়ে সর্ব সম্বন্ধের স্নেহে বাচ্চাদের অলসতা,
সাধারণ পুরুষার্থ দেখেও, শুনেও এক্স্ট্রা সহায়তা দ্বারা, এক্সট্রা মার্স দিয়ে এগিয়ে
দিচ্ছেন। তাই নলেজফুল হয়ে সাহস আর সহায়তার বিশেষ বরদানের লাভ নাও।
স্লোগান:-
যারা
প্রকৃতির দাস হয় তারাই উদাস হয়, এইজন্য প্রকৃতিজীৎ হও।
অব্যক্ত ঈশারা :-
সহজযোগী হতে হলে পরমাত্ম প্রেমের অনুভবী হও
যেরকম কেউ সাগরে
সমাহিত হয়ে যায় তো সেইসময় সাগর ছাড়া আর কিছুই তার নজরে আসে না। তো বাবা অর্থাৎ
সর্বগুণের সাগরে সমাহিত হয়ে যাওয়া, একে বলা হয় লভলীন স্থিতি। তো বাবাতে সমাহিত হয়ে
যেও না, কিন্তু বাবার স্মরণে, স্নেহে সমাহিত হয়ে যাও।