20.10.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা এসেছেন তোমাদের অত্যন্ত আগ্রহের সাথে পড়াতে, তোমরাও খুব আগ্রহী হয়ে পড়ো,
তোমাদের যেন এই নেশা থাকে যে আমাদের পড়াচ্ছেন স্বয়ং ভগবান"
প্রশ্নঃ -
তোমরা
ব্রহ্মাকুমার - কুমারী, তোমাদের উদ্দেশ্য বা শুদ্ধ ভাবনাটি কি?
উত্তরঃ
তোমাদের
উদ্দেশ্য হলো - ৫ হাজার বছর পূর্বের কল্পের মতো পুনরায় শ্রীমৎ অনুসারে বিশ্বে সুখ ও
শান্তির রাজ্য স্থাপন করা। তোমাদের শুদ্ধ ভাবনা হলো, শ্রীমৎ অনুযায়ী আমরা সম্পূর্ণ
বিশ্বের সদ্গতি করবো। তোমরা নেশায় মত্ত হয়ে বলো যে আমরা সবাইকে সদগতি প্রদান করি।
তোমরা বাবার কাছে পীস প্রাইজ প্রাপ্ত করো। নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হওয়াই হলো
প্রাইজ নেওয়া।
ওম্ শান্তি ।
স্টুডেন্ট যখন
পড়াশোনা করে, তখন খুব আনন্দের সাথে পড়ে। টিচারও খুব খুশী হয়ে, আগ্রহ সহকারে পড়ায়।
আত্মারূপী রূহানী বাচ্চারা জানে যে অসীম জগতের বাবা হলেন টিচারও, আমাদের খুব
আগ্রহের সাথে পড়ান। লৌকিক পড়াশোনায় পিতা ও টিচার আলাদা থাকে, সেখানে টিচার পড়ায়।
কারো পিতাই হলেন টিচার, আগ্রহ সহকারে পড়ান। কারণ ব্লাড কানেকশন থাকে, তাইনা। নিজের
ভেবে খুব মন দিয়ে পড়ান। এইখানে বাবা তোমাদের কতখানি আগ্রহ সহকারে পড়ান। তাই বাচ্চারা
তোমাদেরও খুব আগ্রহ সহকারে পড়াশোনা করা উচিত। ডাইরেক্ট বাবা পড়ান, তাও কেবলমাত্র
একবার এসে পড়ান। বাচ্চাদের খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করা উচিত। বাবা ভগবান আমাদের পড়ান
এবং প্রতিটি কথা খুব ভালোভাবে বোঝান। কোনো কোনো বাচ্চাদের পড়তে পড়তে মনে মনে বিচার
চলতে শুরু করে যে এইসব কি? ড্রামায় এ হলো আবাগমনের চক্র। কিন্তু এমন নাটকের রচনা
কেন করা হয়েছে? এতে কি লাভ? শুধু এমন ভাবে চক্রের পরিক্রমা করতে হবে, এই চক্র থেকে
মুক্তি হলেই ভালো। যখন দেখে যে, এই ৮৪ র চক্র পরিক্রমা করতেই হবে, তখন এমন চিন্তন
উৎপন্ন হয়। ভগবান এমন খেলা কেন রচনা করেছেন যে আবাগমনের (আসা আর যাওয়া) এই চক্র থেকে
মুক্তি নেই, এর চেয়ে মোক্ষ প্রাপ্তি হওয়া ভালো। এমন বিচার অনেক বাচ্চাদের মনেই আসে।
এই আবাগমনের অর্থাৎ যাওয়া আর আসা, দুঃখ সুখের চক্র থেকে মুক্তি প্রাপ্ত হোক। বাবা
বলেন তা তো একেবারেই সম্ভব নয়। মোক্ষ প্রাপ্তির চেষ্টা করাটাই ওয়েস্ট হয়ে যায়। বাবা
বুঝিয়েছেন একজন আত্মারও নিজের পার্ট থেকে মুক্তি নেই। আত্মার মধ্যে অবিনাশী পার্ট
ভরা আছে। আত্মা হলোই অনাদি, অবিনাশী, সবাই অ্যাকুরেট অ্যাক্টর্স । কেউ কম বা বেশি
হতে পারে না। বাচ্চারা তোমাদের সম্পূর্ণ নলেজ আছে। কারো মোক্ষ প্রাপ্ত হয় না। সব
ধর্মের মানুষদের নম্বর অনুযায়ী আসতেই হবে। বাবা বোঝান এই হলো পূর্ব রচিত অবিনাশী
ড্রামা। তোমরাও বলো বাবা এখন আমরা জেনেছি, কীভাবে আমরা ৮৪-র চক্র ভ্রমণ করি। এই
কথাও বুঝেছো সর্বপ্রথমে যারা আসবে, তারাই ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে। যারা পরে আসবে তাদের
কম জন্ম হবে। এখানে তো পুরুষার্থ করতে হবে। পুরানো দুনিয়াকে নতুন দুনিয়ায় অবশ্যই
পরিণত হতে হবে। বাবা প্রতিটি কথা বার বার করে বোঝান কারণ নতুন বাচ্চারা আসতেই থাকে।
তাদেরকে পুরানো পড়া কে পড়াবে। তাই বাবা নতুনদের দেখে পুরানো পয়েন্টস রিপিট করেন।
তোমাদের বুদ্ধিতে
সম্পূর্ণ নলেজ আছে। তোমরা জানো আমরা কীভাবে শুরু থেকে পার্ট প্লে করে এসেছি। তোমরা
যথার্থ ভাবে জেনেছো, কীভাবে নম্বর অনুসারে আসে, কতবার জন্ম হয়। এইসময় বাবা এসে
জ্ঞানের কথা শোনান। সত্যযুগে তো আছেই প্রালব্ধ। এই কথা তোমাদেরকে এখনই বোঝানো হয়।
গীতায়ও শুরুতে এবং শেষের দিকে এই কথাটি আসে - "মন্মনাভব" । পড়াশোনা করানো হয়
পদমর্যাদা প্রাপ্তির জন্য। তোমরা রাজা হওয়ার জন্য এখন পুরুষার্থ করো। অন্য ধর্মের
মানুষদের তোমরা বুঝিয়ে থাকো যে - তারা নম্বর অনুসারে আসে, ধর্ম স্থাপকের আগমনের পরে
সবাইকে আসতে হয়। রাজত্বের কোনো কথা নেই। গীতা শাস্ত্র হলো একটাই যার এতই মহিমা ।
ভারতে বাবা এসে জ্ঞান প্রদান করেন এবং সকলের সদ্গতি করেন। ধর্ম স্থাপক যারা আসে,
তাদের মৃত্যুর পরে বিশাল তীর্থস্থল বানানো হয়। বাস্তবে সর্বজনের তীর্থ স্থান হলো এই
ভারত যেখানে অসীম জগতের বাবা আসেন। বাবা ভারতে এসেই সকলের সদগতি করেন। বাবা বলেন
আমাকে তোমরা লিব্রেটর, গাইড বলো তাইনা। আমি তোমাদের এই পুরানো দুনিয়া, দুঃখের দুনিয়া
থেকে উদ্ধার করে শান্তিধাম, সুখধামে নিয়ে যাই। বাচ্চারা জানে বাবা আমাদের শান্তিধাম,
সুখধামে নিয়ে যাবেন। বাকিরা সবাই শান্তিধাম যাবে। দুঃখ থেকে বাবা এসে উদ্ধার করেন।
তাঁর তো জনম-মরণ নেই। বাবা এসেছেন তারপরে চলে যাবেন। তাঁর উদ্দেশ্যে তো বলা হবে না
যে মারা গেছেন। যেমন শিবানন্দের জন্য বলা হবে শরীর ত্যাগ করেছেন, তারপরে ক্রিয়াকর্ম
করা হয়। এই বাবা চলে গেলে ক্রিয়াকর্ম, সেরিমনি ইত্যাদি কিছুই করতে হয় না। তাঁর
আগমনের কথাও জানা যায় না। ক্রিয়াকর্ম ইত্যাদির তো কথাই নেই। অন্য সব মানুষের
ক্রিয়াকর্ম করা হয়। বাবার ক্রিয়াকর্ম হয় না, তাঁর যে কোনো শরীর নেই। সত্যযুগে এই
জ্ঞান ভক্তির কথা থাকে না। এইসব এখনই চলে অন্যরা সবাই ভক্তি করাই শেখায়। অর্ধকল্প
হলো ভক্তি তারপরে অর্ধকল্পের পরে বাবা এসে জ্ঞানের অবিনাশী স্বর্গের উত্তরাধিকার
প্রদান করেন। জ্ঞান তো সেখানে সঙ্গে যায় না। সেখানে বাবাকে স্মরণ করার দরকার নেই।
মুক্তিতে থাকে সবাই। সেখানে কি স্মরণ করতে হয়? দুঃখের আর্তনাদ তো সেখানে থাকেই না।
ভক্তিও প্রথমে অব্যভিচারী পরে ব্যভিচারী হয়। এই সময় তো হলো অতি ব্যভিচারী ভক্তি,
একেই ঘোর নরক বলা হয়। একেবারে গভীর থেকেও গভীর নরকের স্থিতি তারপরে বাবা গভীরতম
স্বর্গের রচনা করেন। এইসময় একশো শতাংশ দুঃখ, পরে একশো শতাংশ সুখ-শান্তি হবে। আত্মা
গিয়ে নিজের ঘরে বিশ্রাম নেবে। বোঝানো খুবই সহজ। বাবা বলেন আমি আসিই তখন, যখন নতুন
দুনিয়ার স্থাপনা করে পুরানো দুনিয়ার বিনাশ করতে হয়। এই কাজ কেবল একজন তো করবে না।
অনেক সেবাধারী চাই। এই সময়ে তোমরা বাবার সেবাধারী সন্তান হয়েছো। ভারতের বিশেষভাবে
প্রকৃত সেবা কর। সত্য পিতা প্রকৃত সত্য সেবা করা শেখান। নিজেরও, ভারতেরও এবং
বিশ্বেরও কল্যাণ কর। অতএব কতখানি রুচিশীল হয়ে সেবা কার্য করা উচিত। বাবা কত
রুচিসম্মত হয়ে সর্বের সদগতি করেন। এখনও সর্বজনের সদগতি অবশ্যই হওয়ার আছে। এই হলো
শুদ্ধ অহংকার, শুদ্ধ ভাবনা।
তোমরা প্রকৃত সত্য
সেবা করো - কিন্তু গুপ্ত রূপে। আত্মা করে শরীর দ্বারা। তোমরা জিজ্ঞাসা করো -
বি.কে.দের উদ্দেশ্যটি কি? বলো বি.কে.দের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বে সত্যযুগী সুখ-শান্তির
স্ব রাজ্য স্থাপনা করা। আমরা প্রতি ৫ হাজার বছর পরে শ্রীমৎ অনুসারে বিশ্বে শান্তি
স্থাপন করে বিশ্ব শান্তির পুরস্কার প্রাপ্ত করি। যথা রাজা-রানী তথা প্রজা পুরস্কার
প্রাপ্ত করে। নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হওয়া কি কম পুরস্কার নাকি ! তারা শান্তি
পুরস্কার নিয়েই খুশী থাকে, প্রাপ্তি কিছুই হয় না। প্রকৃত সত্য পুরস্কার তো এখন আমরা
বাবার কাছে প্রাপ্ত করি, বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করি। বলা হয় ভারত হল আমাদের উঁচু
দেশ। খুব মহিমা গান করে। সবাই বোঝে আমরা ভারতের মালিক, কিন্তু মালিক কোথায় আছে ।
এখন তোমরা বাচ্চারা শ্রীমৎ অনুসারে রাজ্য স্থাপন কর। অস্ত্র শস্ত্র তো কিছুই নেই।
দিব্য গুণ ধারণ কর তাই তোমাদের গায়ন পূজন হয়। অম্বা দেবীর দেখো কত পূজো হয়। কিন্তু
অম্বা কে, ব্রাহ্মণ নাকি দেবতা .... সেসব কেউ জানে না। অম্বা, কালী, দূর্গা, সরস্বতী
ইত্যাদি .... এমন অনেক নাম আছে। এখানেও নীচে অম্বা দেবীর ছোট মন্দির আছে। অম্বাকে
অনেক ভূজ দেওয়া হয়েছে। এমন তো হয় না। একেই বলা হয় ব্লাইন্ড ফেথ বা অন্ধ বিশ্বাস।
ক্রাইষ্ট, বুদ্ধ ইত্যাদি এসে নিজের ধর্ম স্থাপন করেছে, তিথি তারিখ সবই বলে দেয় তারা।
সেই খানে অন্ধ বিশ্বাসের কোনো কথা নেই। এখানে ভারতবাসী কিছুই জানে না - আমাদের ধর্ম
কবে এবং কে স্থাপন করেছে ? তাই বলা হয় অন্ধবিশ্বাস। এখন তোমরা পূজারী পরে পূজ্য রূপে
স্থাপিত হও। তোমাদের আত্মাও হয় পূজ্য তো শরীরও পূজ্য হয়। তোমাদের আত্মারও পূজা হয়
পরে দেবতা রূপেও পূজা হয়। বাবা তো হলেন নিরাকার। তিনি হলেন সর্বদা পূজ্য স্বরূপ।
তিনি কখনও পূজারী স্বরূপ হন না। তোমরা বাচ্চারা তোমাদের জন্যে বলা হয় নিজেরাই পূজ্য
নিজেরাই পূজারী। বাবা তো হলেন এভার পূজ্য, এখানে এসে বাবা প্রকৃত সত্য সেবা করেন।
সকলের সদগতি করেন। বাবা বলেন - এখন "মামেকম্ স্মরণ করো" । অন্য কোনো দেহধারীকে
স্মরণ কোরো না। এখানে তো বিশাল লক্ষপতি, কোটিপতি গিয়ে আল্লাহ আল্লাহ করে। কতখানি
অন্ধশ্রদ্ধা আছে। বাবা তোমাদের আমরাই সেই দেবতা - এই কথার অর্থ বুঝিয়েছেন। তারা তো
বলে দেয় শিবোহম্, আত্মাই হলো পরমাত্মা। এখন বাবা কারেক্ট করে বলেছেন। এখন বিচার করো,
ভক্তিমার্গে রাইট শুনেছি নাকি আমরা রাইট বলছি? আমরা ই সেই দেব দেবী - এই কথার বিশাল
অর্থ বলে দিয়েছে। আমরা ই সেই ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয়। এখন আমরা সেই - এই কথার
অর্থ কোন্টা ঠিক? আমরা আত্মারা এইভাবেই চক্রে আসি। বিরাট রূপের চিত্রও আছে, এতে
শিখায় ব্রাহ্মণ এবং বাবাকে দেখানো হয় নি। দেবতারা এলো কোথা থেকে? জন্ম হলো কোথায়?
কলিযুগে তো হলো শূদ্র বর্ণ। সত্যযুগে দেবতা বর্ণে পরিণত হলো কীভাবে? কিছুই বুঝতে
পারে না। ভক্তি মার্গে মানুষ কেমনভাবে আটকে থাকে। কেউ গুরুগ্রন্থ পড়ে, ভাবলো,
মন্দির বানিয়ে বসে গ্রন্থ পড়ে শোনাবো। অনেক মানুষ এসে, ফলোয়ার্স হয়ে যায়। লাভ তো
কিছুই হয় না। অনেক দোকান খুলে গেছে। এখন এই সব দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। এই দোকানদারি
সবই হলো ভক্তি মার্গের, এর দ্বারা অনেক ধন উপার্জন করে। সন্ন্যাসীরা বলে আমরা
ব্রহ্ম যোগী, তত্ত্ব যোগী। যেমন ভারতবাসী হলো বাস্তবে দেবী-দেবতা ধর্মের কিন্তু
হিন্দু ধর্ম বলে দিয়েছে। তেমনই ব্রহ্ম হলো তত্ত্ব, যেখানে আত্মারা বাস করে। তারা
যদিও ব্রহ্ম জ্ঞানী তত্ত্ব জ্ঞানী নাম রেখেছে। যদিও ব্রহ্ম তত্ত্ব হলো নিবাস স্থান।
তাই বাবা বোঝান কত বড় ভুল করে দিয়েছে। এই সব হলো ভ্রম। আমি এসে সবরকমের ভ্রম দূর করি।
ভক্তি মার্গে বলাও হয় হে প্রভু তোমার মতি গতি সবই পৃথক। গতি তো অন্য কেউ প্রদান করতে
পারে না। মতামত তো অনেক প্রাপ্ত হয়। এখানকার মতামত সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দেয়।
সম্পূর্ণ বিশ্বকে বদলে দেয়।
এখন বাচ্চারা তোমাদের
বুদ্ধিতে আছে, এত সব ধর্ম কীভাবে আসে ! তারপরে আত্মারা কীভাবে নিজের নিজের সেকশনে
গিয়ে থাকে। এই সব ড্রামায় ফিক্স আছে। এই কথাও বাচ্চারা জানে - দিব্য দৃষ্টি দাতা
হলেন একমাত্র বাবা। বাবাকে বললো বাচ্চারা - এই দিব্য দৃষ্টির চাবি আমাদের দাও যাতে
আমরা কাউকে সাক্ষাৎকার করাতে পারি। বাবা বললেন - না, এই চাবি কেউই পাবে না। তার বদলে
তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী প্রদান করি। আমি নিই না। আমার পার্ট হলো সাক্ষাৎকার করানোর।
সাক্ষাৎকার হলে কত খুশী হয় । যদিও প্রাপ্তি কিছুই নেই। এমন নয় যে, সাক্ষাৎকার দ্বারা
কেউ নিরোগী অর্থাৎ রোগমুক্ত হয় বা ধন প্রাপ্তি হয়। না, মীরার সাক্ষাৎকার হয়েছিলো
কিন্তু মুক্তি তো প্রাপ্ত হয়নি। মানুষ ভাবে মীরা তো বৈকুণ্ঠে থাকতো। কিন্তু বৈকুণ্ঠ
কৃষ্ণপুরী কোথায় আছে। এই সব হলো সাক্ষাৎকার। বাবা বসে সব কথা বোঝান। এনারও প্রথম
প্রথম বিষ্ণুর সাক্ষাৎকার হয়েছিলো তখন অনেক খুশীর অনুভব হয়েছিলো। তাও যখন দর্শন হলো
যে আমি মহারাজা হই। বিনাশের দর্শনও হলো তারপরে রাজত্ব দেখে দৃঢ় নিশ্চয় হলো ওহো! আমি
তো বিশ্বের মালিক হই। বাবার প্রবেশ হলো। বাবা এইসব তুমি নিয়ে নাও, আমার তো বিশ্বের
বাদশাহী চাই। তোমরাও এই সওদা করতে এসেছো তাইনা। যারা জ্ঞানে আসে তাদের ভক্তি হারিয়ে
যায়। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
দিব্য গুণ ধারণ করে শ্রীমৎ অনুসারে ভারতের প্রকৃত সেবা করতে হবে। নিজের, ভারতের এবং
সম্পূর্ণ বিশ্বের কল্যাণ খুব আগ্রহ সহকারে করতে হবে।
২ ) ড্রামার অনাদি
অবিনাশী পূর্ব নির্দিষ্ট রচনাটি যথার্থ রূপে বুঝে কোনোরকম সময় নষ্ট করা পুরুষার্থ
করবে না। ব্যর্থ চিন্তনও করবে না।
বরদান:-
দীপরাজ
বাবার থেকে অমর জ্যোতির অভিনন্দন গ্রহণকারী সদা অমর ভব
ভক্তরা তোমাদের
চৈতন্য দীপকের স্মরণীক জড় দীপকের দীপমালা পালন করে। তোমরা হলে জাগরিত চৈতন্য দীপক।
বালক হয়ে দীপকের মালিকের সাথে মঙ্গল মিলন করছো। বাপদাদা তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের
ললাটে জাগরিত দীপক দেখছেন। তোমরা অবিনাশী, অমরজ্যোতি স্বরূপ বাচ্চারা দীপরাজ বাবার
থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করে সদা অমর ভব-র বরদান প্রাপ্ত করছো। এই দীপরাজ বাবা আর
দীপরাণীদের মিলনেরই স্মরণীক হলো দীপাবলি।
স্লোগান:-
“তোমরা” আর “বাবা” এমন কম্বাইন্ড থাকো যে তৃতীয় কেউ যেন আলাদা করতে না পারে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
স্বয়ং আর সকলের প্রতি মন্সা দ্বারা যোগের শক্তিগুলির প্রয়োগ করো
বর্তমান সময় অনুসারে
সকল আত্মারা প্রত্যক্ষফল অর্থাৎ প্র্যাক্টিক্যাল প্রুফ দেখতে চায়। তো তন, মন, কর্ম
আর সম্বন্ধ-সম্পর্কে সাইলেন্সের শক্তির প্রয়োগ করে দেখো। শান্তির শক্তির দ্বারা
তোমাদের সংকল্প ওয়্যারলেসের থেকেও তেজে যেকোনও আত্মার প্রতি পৌঁছাতে পারে। এই
শক্তির বিশেষ যন্ত্র হল “শুভ সংকল্প”। এই সংকল্পরূপী যন্ত্রের দ্বারা যেটা চাও সেটা
সিদ্ধি স্বরূপে দেখতে পারো।