20.11.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা এসেছেন বাচ্চারা তোমাদেরকে শান্তি ও সুখের অবিনাশী উত্তরাধিকার দিতে, তোমাদের
স্বধর্মই হলো শান্ত স্বরূপ, তাই তোমরা শান্তির খোঁজে বিভ্রান্ত বিচরণ করো না”
প্রশ্নঃ -
এখন বাচ্চারা
তোমরা ২১ জন্মের জন্য অসীম খাজানায় ওজন করার উপযুক্ত হও - কেন?
উত্তরঃ
কারণ বাবা যখন
নতুন সৃষ্টি রচনা করেন, তখন তোমরা বাচ্চারা সহযোগী হও। নিজের সবকিছু তাঁর কার্যে
সফল করো, তাই বাবা তারই রিটার্নে তোমাদের ২১ জন্মের জন্য অসীম খাজানা দিয়ে এমন ওজন
করেন যে সেই ধন কখনও নিঃশেষ হয় না, দুঃখও আসেনা, অকালে মৃত্যুও হয় না।
গীতঃ-
আমায় আশ্রয়
দিয়েছেন যিনি....
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি
আত্মিক বাচ্চাদের ওম্ শব্দের অর্থ তো বলা হয়েছে। কেউ-কেউ শুধু ওম্ বলে, কিন্তু বলা
উচিত "ওম্ শান্তি" । শুধু ওম্ শব্দের অর্থ হলো ওম্ ভগবান। ওম্ শান্তির অর্থ হল আমি
আত্মা হলাম শান্ত স্বরূপ। আমরা আত্মা, এই আমাদের শরীর। প্রথমে আত্মা, পরে শরীর।
আত্মা হলো শান্ত স্বরূপ, আত্মার নিবাস হল শান্তিধাম। যদিও কোনও জঙ্গলে গিয়ে প্রকৃত
শান্তি প্রাপ্ত হয় না। প্রকৃত শান্তি একমাত্র তখনই প্রাপ্ত হয় যখন শান্তিধামে যাওয়া
হয়। দ্বিতীয় শান্তি কামনা সেখানে করা হয় যেখানে অশান্তি আছে। এই অশান্তির দুঃখধাম
বিনাশ হয়ে গেলে শান্তি স্থাপন হয়ে যাবে। তোমরা বাচ্চারাও শান্তির উত্তরাধিকার পেয়ে
যাবে। সেখানে ঘরে, বাইরে রাজধানীতে কোথাও অশান্তি থাকে না। তাকেই বলা হয় শান্তির
রাজ্য, এখানে হলো অশান্তির রাজ্য। কারণ এ হলো রাবণ রাজ্য। ওটা হলো ঈশ্বরের দ্বারা
স্থাপিত রাজ্য। তারপরে দ্বাপর যুগের পরে আসুরিক রাজ্য এসে যায়, অসুরদের রাজ্যে কখনও
শান্তি থাকে না। ঘরে, দোকানে, যেখানে সেখানে অশান্তি আর অশান্তি হবে। ৫ বিকার রূপী
রাবণ অশান্তি বিস্তার করে। রাবণ কি জিনিস, সে কথা কোনও বিদ্বান পন্ডিত ইত্যাদি কেউ
জানে না। তারা বুঝতে পারেনা যে আমরা প্রতি বছর রাবণ দহন কেন করি। সত্যযুগ-ত্রেতায়
রাবণ থাকে না। ওটা হল দৈবী রাজ্য। ঈশ্বর পিতা দৈবী রাজ্য স্থাপন করেন তোমাদের
সাহায্যে। একা তো করেন না। তোমরা মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা হলে ঈশ্বরের সহযোগী। এর আগে
ছিলে রাবণের সহযোগী। এখন ঈশ্বর এসে সর্বজনের সদগতি করছেন। পবিত্রতা, সুখ, শান্তির
স্থাপনা করেন। বাচ্চারা, তোমরা এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত করেছো।
সত্যযুগ-ত্রেতায় দুঃখের কথা নেই। কেউ কটূ কথা বলেনা, কুখাদ্য খায় না। এখানে তো দেখো
অখাদ্য কুখাদ্য খায়। দেখানো হয় গৌমাতা কৃষ্ণের খুব প্রিয় ছিল। এমন নয় কৃষ্ণ কোনও
গোয়ালা ছিলেন, গরুদের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। না, সেখানকার এবং এখানকার গরুদের মধ্যে
অনেক তফাৎ আছে। স্বর্গের গরু গুলি হয় সতোপ্রধান অতি সুন্দর। যেমন সুন্দর হয় দেবতা,
তেমন সুন্দর হয় স্বর্গের গরু গুলি। দেখে মনে খুশীর অনুভূতি হয়। ওটা হলো স্বর্গ। এটা
হলো নরক। সবাই স্বর্গকে স্মরণ করে। স্বর্গ এবং নরকে রাত-দিনের প্রভেদ আছে। রাত হলো
অন্ধকার, দিনে হয় আলো। ব্রহ্মার দিন অর্থাৎ ব্রহ্মাবংশীদেরও দিন হলো। প্রথমে তোমরাও
ঘোর অন্ধকারে ছিলে। এই সময় ভক্তির জোর অনেক, মহাত্মা ইত্যদিদের সোনায় ওজন করা হয়।
কারণ তারা হল শাস্ত্রের বিদ্বান। তাদের এতখানি প্রভাব কেন হয়েছে? সে কথাও বাবা
বুঝিয়েছেন। বৃক্ষে যখন নতুন পাতা বের হয় তখন সতোপ্রধান থাকে। উপর থেকে নতুন আত্মা
এলে অবশ্যই প্রভাব তো থাকবে, তাইনা অল্পকালের জন্যে। সোনা বা হীরে দিয়ে ওজন করা হয়,
কিন্তু এই সব তো শেষ হয়ে যাবে। মানুষের কাছে লক্ষ টাকার বাড়ি আছে। তারা ভাবে আমরা
খুব ধনী। তোমরা বাচ্চারা জানো এই ধন খুব কম সময়ের জন্যে থাকে। এই সব মাটিতে মিশে
যাবে। কারো ধন ধুলায় মিশে যাবে, কারোর ধন রাজা খাবে....। বাবা স্বর্গের স্থাপনা
করেন, তাতে যে যা কিছু অর্পণ করে তারা ২১ জন্মের জন্যে হীরে-জহরতের মহল পাবে। এখানে
তো কেবল এক জন্মের জন্যে প্রাপ্ত হয়। সেখানে তোমাদের ২১ জন্ম চলবে। এই চোখ দিয়ে যা
কিছু দেখছো শরীর সহ সবই ভস্মীভূত হয়ে যাবে। বাচ্চারা, তোমাদের দিব্য দৃষ্টি দ্বারা
সাক্ষাৎকারও হয়। বিনাশ হবে তারপরে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব হবে। তোমরা জানো আমরা
নিজের রাজ্য-ভাগ্য পুনরায় স্থাপন করছি। ২১ প্রজন্ম রাজ্য করি তারপরে রাবণের রাজ্য
চলে। এখন বাবা আবার এসেছেন। ভক্তি মার্গে সবাই বাবাকেই স্মরণ করে। গানও আছে দুঃখে
স্মরণ সবাই করে....। বাবা সুখের উত্তরাধিকার প্রদান করেন, তখন স্মরণ করার দরকার থাকে
না। তুমি মাতা-পিতা... এবারে মাতা-পিতা হবে নিজের সন্তানের। এ হল পারলৌকিক
মাতা-পিতার কথা। এখন তোমরা লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছো। স্কুলে বাচ্চারা
ভালোভাবে পাস করলে টিচার পুরস্কার দেয়। এখন তোমরা তাকে (ব্রহ্মাকে) কি পুরস্কার দেবে!
তোমরা তো নিজের সন্তান বানিয়ে নাও , জাদুকরী করে। দেখানো হয় - কৃষ্ণের মুখে মা
দেখেছে মাখনের গোলা। এবারে কৃষ্ণ তো জন্ম নেন সত্যযুগে। কৃষ্ণ তো মাখন ইত্যাদি
খাবেন না। উনি হলেন বিশ্বের মালিক। তাহলে এই কথাটি কোন্ কালের কথা? এই কথাটি হল
বর্তমানের সঙ্গমের কথা। তোমরা জানো আমরা এই দেহ ত্যাগ করে গিয়ে শিশু দেহ ধারণ করবো।
বিশ্বের মালিক হবো। দুই খ্রিস্টান নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে আর মাখন প্রাপ্ত হয়
বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের। রাজত্ব প্রাপ্ত হয়, তাইনা। যেমন তারা ভারতে যুদ্ধ লাগিয়ে
নিজের মাখন খেয়েছিল। খ্রীস্টানদের রাজধানী ছিল তিনের চারভাগে। পরে সেসব ধীরে ধীরে
মুক্তি পেয়েছে। সম্পূর্ণ বিশ্বে তোমরা ব্যতীত অন্য কেউ রাজত্ব করতে পারেনা। তোমরা
এখন ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছো। এখন তোমরা ব্রহ্মাণ্ডের মালিক এবং বিশ্বের মালিক হও।
বিশ্বে ব্রহ্মান্ড নেই। সূক্ষ্মবতনেও রাজত্ব নেই। সত্যযুগ-ত্রেতা..... এই চক্র এখানে
স্থূলবতনে হয়। ধ্যানে বসে আত্মা কোথাও যায় না। আত্মা বেরিয়ে গেলে তো শরীর শেষ হয়ে
যাবে। এই সব হল সাক্ষাৎকার, ঋদ্ধি-সিদ্ধি দ্বারা এমন সাক্ষাৎকার হয়, যে এখানে বসে
বিদেশের পার্লামেন্ট ইত্যাদিও দেখতে পাবে। বাবার হাতে রয়েছে দিব্য দৃষ্টির চাবি।
তোমরা এখানে বসে লন্ডন দেখতে পারো। যন্ত্র ইত্যাদি কিছু লাগে না যে কিনতে হবে।
ড্রামা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে সেই সাক্ষাৎকার হয়, যা ড্রামাতে প্রথম থেকেই ফিক্স
থাকে। যেমন দেখানো হয়েছে অর্জুনকে ভগবান সাক্ষাৎকার করিয়েছেন। ড্রামা অনুযায়ী তার
সাক্ষাৎকার হওয়া নির্দিষ্ট ছিল। এও ফিক্স ড্রামাতে। কোনও বড় কথা নয়। এই সব ড্রামা
অনুযায়ী হয়। কৃষ্ণ হন বিশ্বের প্রিন্স, অর্থাৎ মাখন প্রাপ্ত করেন। এই কথাও কেউ
জানেনা যে বিশ্ব কাকে বলে, ব্রহ্মান্ড কাকে বলে। ব্রহ্মাণ্ডে তোমরা আত্মারা বাস করো।
সূক্ষ্ম বতনে যাতায়াত সাক্ষাৎকার ইত্যাদি এই সময়ে হয় তারপর ৫ হাজার বছর সূক্ষ্ম
বতনের নাম থাকে না। বলা হয় ব্রহ্মা দেবতা নমঃ, তারপরে বলা হয় শিব পরমাত্মায় নমঃ,
সুতরাং সবচেয়ে উঁচু তাঁরই নাম, তাইনা। তাঁকেই বলা হয় ভগবান। দেবতারা হলেন মানুষ,
দিব্য গুণধারী। যদিও ৪-৮ ভূজাধারী মানুষ হয় না। সেখানেও ২ ভূজধারী মানুষ-ই থাকে,
কিন্তু সম্পূর্ণ পবিত্র, অপবিত্রতার কথা নেই। অকালে মৃত্যু কখনও হয় না। সুতরাং
বাচ্চারা তোমাদের অনেক খুশীতে থাকা উচিত। আমরা আত্মারা এই শরীর দ্বারা বাবাকে দেখি।
দেখতে পাই যদিও শরীর, পরমাত্মা অথবা আত্মাকে দেখা যায় না। আত্মা ও পরমাত্মাকে জানতে
হয়। দেখবার জন্য দিব্য দৃষ্টি প্রাপ্ত হয়। অন্য সব বস্তু দিব্য দৃষ্টি দ্বারা বড়
মাপের দেখতে পাবে। রাজধানী বিশাল রূপে দেখতে পাবে। আত্মা হল বিন্দু। বিন্দু দেখে
তোমরা কিছুই বুঝবে না। আত্মা তো হল মিহি। অনেক ডাক্তার ইত্যাদি চেষ্টা করেছে আত্মাকে
ধরার, কিন্তু কেউ পারেনি। তারা তো সোনা-হীরা দিয়ে ওজন করে। তোমরা জন্ম-জন্মান্তর
পদ্মপতি হও। তোমাদের বাইরের প্রদর্শন একটুও থাকে না। সাধারণ ভাবে এই রথে বসে পড়ান।
ওনার নাম হল ভাগীরথী। এটা হল পতিত পুরানো রথ, যাতে বাবা এসে উঁচু থেকে উঁচু সার্ভিস
করেন। বাবা বলেন আমার তো নিজস্ব শরীর নেই। আমি যে জ্ঞানের সাগর, প্রেমের সাগর ....
তবে তোমাদের উত্তরাধিকার দেব কীভাবে ! উপর থেকে তো দেবো না । তাহলে কি প্রেরণা
দ্বারা পড়াবো ? এর জন্য অবশ্যই আসতে হবে, তাইনা। ভক্তিমার্গে পূজা করে, সবাইকে
প্রিয় অনুভব হই। গান্ধী, নেহেরুদের চিত্র প্রিয় অনুভব হয়, তাই তাদের শরীরকে স্মরণ
করে। আত্মা হল অবিনাশী, তারা তো অন্যত্র জন্ম নিয়েছে। যদিও বিনাশী চিত্রকে স্মরণ করে।
এ হল ভূতের পূজা, তাইনা। সমাধি নির্মাণ করে তাতে ফুল ইত্যাদি অর্পণ করে। এ হলো
স্মারক চিহ্ন। শিবের কত মন্দির আছে, সবচেয়ে বড় স্মরণিক তো হলো শিবের, তাইনা। সোমনাথ
মন্দিরের গায়ন আছে। মহম্মদ গজনী এসে লুট করেছিল। তোমাদের কাছে অসীম ধনসম্পদ ছিল।
বাচ্চারা, বাবা তোমাদের রত্ন দ্বারা ওজন করেন। নিজেকে ওজন করেন না। আমি এত বিত্তবান
হই না, তোমাদেরকে বিত্তশালী করি। তাদেরকে আজ ওজন করে, কাল মারা যায়। ধন কোনও কাজে
লাগে না। তোমাদের তো বাবা অসীম খাজানায় এমন ওজন করেন যে ২১ জন্ম পর্যন্ত সাথে থাকবে।
যদি শ্রীমৎ অনুসারে চলবে তবে তো সেখানে দুঃখের নাম নেই, অকালে মৃত্যু নেই।
মৃত্যুকেও ভয় পাবে না। এখানে কত ভয় পায়, কান্নাকাটি করে। সেখানে খুব খুশী থাকে -
গিয়ে প্রিন্স হবো। জাদুকর, সওদাগর, রত্নাকর এই সব শিব পরমাত্মাকে বলা হয়। তোমাদেরও
সাক্ষাৎকার করান। এমন প্রিন্স হবে। আজকাল বাবা সাক্ষাৎকারের পার্ট বন্ধ করে দিয়েছেন।
ক্ষতি হয়। এখন বাবা জ্ঞানের দ্বারা তোমাদের সদগতি করেন। তোমরা প্রথমে যাবে সুখধাম।
এখন তো হলো দুঃখধাম। তোমরা জানো আত্মাই জ্ঞান ধারণ করে, তাই বাবা বলেন নিজেকে আত্মা
নিশ্চয় করো। আত্মাতেই ভালো বা খারাপ সংস্কার থাকে। শরীরে যদি সংস্কার থাকতো তাহলে
শরীরের সাথে সংস্কারও ভস্ম হয়ে যেতো। তোমরা বলো শিববাবা, আমরা আত্মারা এই শরীর
দ্বারা পড়াশোনা করি। নতুন কথা, তাইনা। আমরা আত্মা, আমাদের শিববাবা পড়ান। এই কথাটি
দৃঢ়তার সঙ্গে স্মরণ করো। আমরা সবাই আত্মা, তিনি হলেন আমাদের পিতাও, টিচারও । বাবা
নিজেই বলেন আমার নিজের শরীর নেই। আমিও আত্মা, কিন্তু আমাকে পরমাত্মা বলা হয়। আত্মাই
সবকিছু করে। যদিও শরীরের নাম পরিবর্তন হতে থাকে। আত্মা তো সর্বদাই হয় আত্মা। আমি
পরম আত্মা তোমাদের মতন পুনর্জন্মে আসি না। আমার ড্রামাতে পার্ট এমনই। আমি এনার মধ্যে
প্রবেশ করে তোমাদের জ্ঞান প্রদান করি তাই এনাকে (ব্রহ্মবাবাকে) ভাগ্যশালী রথ বলা হয়।
এনাকে পুরানো জুতোও বলা হয়। শিববাবা পুরানো লং বুট পরেছেন। বাবা বলেন, আমি এনার
অনেক জন্মের শেষ জন্মে এসে প্রবেশ করেছি। প্রথমে ইনি তৈরী হন তারপর তৎত্বম (তোমরাও
সেই রকম হও) । বাবা বলেন তোমরা তো হলে তরুণ । আমার থেকে বেশী পড়াশোনা করে উঁচু পদ
প্রাপ্ত করা উচিত, কিন্তু আমার সঙ্গে তো বাবা আছেন, তাই ক্ষণে ক্ষণে তাঁকে স্মরণ করি।
আমি বাবার সাথে ঘুমাই, কিন্তু বাবা আমাকে আলিঙ্গনবদ্ধ করতে পারেন না। তোমাদেরকে
আলিঙ্গনে আবদ্ধ করতে পারেন। তোমরা হলে ভাগ্যশালী, তাইনা। শিববাবা যে শরীরটি লোনে
নিয়েছেন তোমরা তাকে আলিঙ্গন করতে পারো। আমি কীভাবে করবো! আমার ভাগ্যে তো তা নেই,
তাই তোমরা হলে লাকি স্টার্স এমন গায়ন আছে। সন্তান সর্বদা হয় লাকি অর্থাৎ ভাগ্যশালী।
বাবা টাকাপয়সা বাচ্চাদের দেন, সুতরাং তোমরা হলে লাকি । শিববাবাও বলেন তোমরা আমার
চেয়েও লাকি, তোমাদেরকে পড়াশোনা করিয়ে বিশ্বের মালিক করি, আমি নিজে হই না। তোমরা
ব্রহ্মাণ্ডের মালিক হও। আমার কাছে শুধুমাত্র দিব্য দৃষ্টির চাবিকাঠি আছে। আমি হলাম
জ্ঞানের সাগর। তোমাদেরকেও মাস্টার জ্ঞানের সাগরে পরিণত করি। তোমরা এই সম্পূর্ণ
চক্রের কথা জেনে চক্রবর্তী মহারাজা-মহারানী হও। আমি তো হই না। বৃদ্ধ বয়সে সন্তানদের
নামে উইল লিখে নিজে বাণপ্রস্থে গিয়ে অবস্থান করে। আগেকার দিনে এমনটাই হতো। আজকাল তো
বাচ্চাদের প্রতি বিশেষ মোহ থাকে। পারলৌকিক পিতা বলেন বাচ্চারা, আমি এনার মধ্যে
প্রবেশ করে তোমাদেরকে কাঁটা থেকে ফুল রূপে বিশ্বের মালিক বানিয়ে, অর্ধকল্পের জন্যে
সদা সুখী করে আমি বাণপ্রস্থে গিয়ে বসি। এইসব কথা শাস্ত্রে লেখা নেই। সাধু
সন্ন্যাসীরা শাস্ত্র পাঠ করে। বাবা তো হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনি নিজে বলেন এই
বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদি সব হল ভক্তি মার্গের সামগ্রী। জ্ঞানের সাগর তো কেবল আমি। আচ্ছা!
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
চোখ দুটি দিয়ে শরীর সহ যা কিছু দেখতে পাও, এই সব ভস্ম হয়ে যাবে। তাই নিজের সব কিছু
সফল করতে হবে।
২ ) বাবার কাছে
সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য পড়াশোনা করতে হবে। সদা নিজের ভাগ্যকে স্মরণে
রেখে ব্রহ্মান্ড বা বিশ্বের মালিক হতে হবে।
বরদান:-
বাঃ
ড্রামা বাঃ - এই স্মৃতির দ্বারা অনেকের সেবা করে সদা খুশীতে থাকো
এই ড্রামার যেকোনও
সীন দেখেও বাঃ ড্রামা বাঃ এর স্মৃতি থাকলে কখনও ঘাবড়ে যাবে না কেননা ড্রামার জ্ঞান
প্রাপ্ত হয়েছে যে - বর্তমান সময় হলো কল্যাণকারী যুগ, এতে যাকিছু দৃশ্য সামনে আসে
তাতে কল্যাণ সমাহিত আছে। বর্তমানে কল্যাণ দেখা না গেলেও ভবিষ্যতে সমাহিত হয়ে থাকা
কল্যাণ প্রত্যক্ষ হয়ে যাবে - তো বাঃ ড্রামা বাঃ -এর স্মৃতি দ্বারা সদা খুশীতে থাকবে,
পুরুষার্থে কখনও উদাসী হবে না। স্বতঃই তোমাদের দ্বারা অনেকের কল্যাণ হতে থাকবে।
স্লোগান:-
শান্তির শক্তিই হলো মন্সা সেবার সহজ সাধন। যেখানে শান্তির শক্তি আছে সেখানে
সন্তুষ্টতা আছে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
অশরীরী বা বিদেহী স্থিতির অভ্যাস বাড়াও
যতটা অব্যক্ত লাইট
রূপে স্থিত হবে, ততই শরীর থেকে ঊর্ধ্বে হওয়ার অভ্যাসের কারণে যদি দুই চার মিনিটও
অশরীরী হয়ে যাবে, যেন মনে হবে চার ঘন্টার আরাম করে নিয়েছো। এমন সময় আসবে যখন
নিদ্রার পরিবর্তে দু-চার মিনিট অশরীরী হয়ে যাবে আর শরীরও আরাম পাবে। লাইট স্বরূপের
স্থিতিকে মজবুত করার ফলে হিসেব নিকেশ চুক্তু করার সময়ও লাইট রূপ হয়ে যাবে।