22.10.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা যখন কাউকে বোঝাও অথবা ভাষণ করো তো বাবা-বাবা বলে বোঝাও, বাবার মহিমার সুখ্যাতি
করো, তবে তীর বিদ্ধ হবে"
প্রশ্নঃ -
বাবা ভারতবাসী
বাচ্চাদেরকে বিশেষ কোন্ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন?
উত্তরঃ
তোমরা অর্থাৎ
ভারতবাসী বাচ্চারা যারা এতো বিত্তশালী ছিলে, সর্বগুণ সম্পন্ন ১৬ কলা সম্পূর্ণ, দেবতা
ধর্মের ছিলে, তোমরা পবিত্র ছিলে, কাম - কাটারি চালাতে না, অনেক ধনবান ছিলে। আবার
তোমরা এতো দেউলিয়া বা নিঃস্ব কীভাবে হলে, কারণ জানা আছে কি? বাচ্চারা, তোমরা কীভাবে
গোলাম হয়ে গেলে? এতো সমস্ত ধন-দৌলত কোথায় হারিয়ে ফেললে? মনে করে দেখো, তোমরা পবিত্র
থেকে পতিত কীভাবে হয়ে গেলে? তোমারা অর্থাৎ বাচ্চারাও এরকম ধরনের বাবা- বাবা বলে
অপরকেও বোঝাও - তবে সে সহজ ভাবে বুঝতে পারবে।
ওম্ শান্তি ।
ওম্ শান্তি
বললেও বাবা অবশ্যই স্মরণে আসা উচিত। বাবার সর্বপ্রথম কথা হলো "মন্মনাভব"। আগেও
অবশ্যই বলেছিলেন, তাই তো এখনো বলেন। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা বাবাকে জানো, যখন কোথাও
সভাতে বক্তৃতা দিতে যাও, সেই লোকেরা তো বাবাকে জানে না। তাই তাদেরও এইরকম বলা উচিত
যে শিববাবা বলছেন, তিনিই হলেন পতিত-পাবন। অবশ্যই পবিত্র করে তোলার জন্য এখানে এসে
বোঝান। যেমন বাবা এখানে তোমাদের বলেন - হে বাচ্চারা, তোমাদের স্বর্গের মালিক
করেছিলাম, তোমরা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের বিশ্বের মালিক ছিলে, সেই রকম তোমাদেরও
বলা উচিত যে বাবা এইটা বলেন। এইরকম কারোর বক্তৃতা করার সংবাদ আসেনি। শিববাবা বলেন
আমাকে উচ্চতমেরও উচ্চ মনে করো, পতিত পাবনও মানো, আমি এসেও থাকি ভারতে আর রাজযোগ
শেখানোর জন্য আসি, বলে থাকি শুধুমাত্র মামেকম্ স্মরণ করো, আমি অর্থাৎ এই উচ্চতম
বাবাকে স্মরণ করো । কারণ সেই পিতা হলেন শুধুই প্রদানকারী, দাতা। বরাবর ভারতে তোমরা
বিশ্বের মালিক ছিলে যে ! দ্বিতীয় কোনো ধর্ম ছিলো না। বাবা আমাদেরকে অর্থাৎ
বাচ্চাদেরকে বোঝান, আমরা আবার আপনাদের বুঝিয়ে দিই। বাবা বলেন, তোমরা এই ভারতবাসীরা
কতো বিত্তশালী ছিলে। সর্বগুণ সম্পন্ন ১৬ কলা সম্পূর্ণ দেবতা ধর্ম ছিলো, তোমরা
পবিত্র ছিলে, কাম-কাটারি চালাতে না। খুবই ধনবান ছিলে। বাবা আবার বলেন যে, তোমরা এতো
দেউলিয়া হলে কীভাবে, কারণ জানা আছে কি? তোমারা বিশ্বের মালিক ছিলে। এখন তোমরা কেন
বিশ্বের গোলাম হয়েছো? সকলের থেকে ঋণ নিতে থাকো। এতো সব ধন কোথায় গেল? বাবা যেমন
ভাষণ করেছিলেন সেই রকম ভাষণ তোমরাও করলে অনেকেই আকৃষ্ট হবে। তোমরা বাবাকে স্মরণ না
করলে তো কারোর তীর বিঁধবে না। সেই শক্তি প্রাপ্ত হবে না। তা না হলে তোমাদের একটা
বক্তৃতা শুনেই কামাল হয়ে যাবে । শিববাবা বোঝান ভগবান তো হলেন এক জনই। যিনি হলেন
দুঃখ হরণকারী আর সুখ দাতা, নূতন দুনিয়া স্থাপনকারী । এইরকম ভারতে স্বর্গ ছিলো। হীরে
জহরতের মহল ছিলো, একই রাজ্য ছিলো। সব ক্ষীরখন্ড ছিলো। বাবার মহিমা যেমন অপরমপার,
সেইরকম ভারতের মহিমা হলো অপরমপার। ভারতের মহিমা শুনে খুশী হবে। বাবা বাচ্চাদের
জিজ্ঞাসা করেন- এতো ধন-দৌলত কোথায় হারিয়ে ফেলেছো? ভক্তি মার্গে তোমরা কতো খরচা করেছো।
কতো মন্দির তৈরী করেছো। বাবা বলেন খেয়াল করো তোমরা পবিত্র থেকে কীভাবে পতিত হয়েছো?
বলেও যে না - বাবা দুঃখের সময় আমরা আপনার নাম করি, সুখের সময় করি না। কিন্তু
তোমাদের দুঃখী করে তোলে কে? ক্ষণে-ক্ষণে বাবার নাম নিতে থাকো। তোমরা বাবার সংবাদ
দাও। বাবা বলেন - আমি তো স্বর্গ, শিবালয় স্থাপন করেছি, স্বর্গে এই
লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো যে না ! তোমরা এটাও ভুলে গেছো। তোমাদের এটাও জানা নেই
যে, রাধা-কৃষ্ণই স্বয়ংবরের পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়। কৃষ্ণ অর্থাৎ যিনি বিশ্বের
মালিক ছিলেন, বসে তার উপর কলঙ্ক আরোপ করো, আমার উপরেও কলঙ্ক আরোপ করো। আমি হলাম
তোমাদের সদ্গতি দাতা, তোমরা আমাকে কুকুর-বিড়াল, প্রতিটি কণায় কোণায় বলে দাও। বাবা
বলেন তোমরা কতো পতিত হয়ে গেছো। বাবা বলেন সকলের সদ্গতি দাতা, পতিত-পাবন হলাম আমি।
তোমরা আবার গঙ্গাকে পতিত-পাবনী বলে দাও। আমার সাথে যোগ যুক্ত না হওয়ার কারণে তোমরা
আরোই পতিত হয়ে যাও। আমাকে স্মরণ করলে তবে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। প্রতি ক্ষণে
বাবার নাম স্মরণ করে বোঝালে তবে শিববাবা স্মরণে থাকবে। বলো, আমরা বাবার মহিমার
সুখ্যাতি করছি, বাবা নিজে বলেন আমি কীভাবে সাধারণ পতিত দেহে অনেক জন্মের শেষের জন্মে
আসি। এনারই হলো অনেক জন্ম। ইনি এখন আমার হয়েছেন বলে এই রথ দ্বারা তোমাদের বোঝাই। ইনি
নিজের জন্মকে জানে না। ইনি হলেন ভগীরথ, এনারও বাণপ্রস্থ অবস্থায় আসি। শিববাবা এরকম
বোঝান। এইরকম বক্তৃতা কারোর শোনা যায় নি। বাবার নামই তো নেয় না। সারাদিন বাবাকে তো
একদমই স্মরণ করে না। পরনিন্দা-চর্চাতে (ঝাড়মুই-ঝগমুই) লেগে থাকে আর লেখে যে, আমি
এই রকম ভাষণ করেছি, আমি এইটা বুঝিয়েছি। বাবা বুঝিয়ে দেন এখন তো তোমরা হলে পিঁপড়ে (নগন্য)।
মাকড়সাও হলে না আর কতো অহঙ্কার থাকে। বুঝতে পারে না যে, শিববাবা ব্রহ্মা দ্বারা
বলেন। শিববাবাকে তোমরা ভুলে যাচ্ছো। ব্রহ্মার উপর ঝট্ করে বিগড়ে যাবে । বাবা বলেন,
তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তোমাদের কাজ হলো আমার সাথে। আমাকে স্মরণ করতে থাকো না!
কিন্তু তোমাদেরও জানা নেই যে, বাবা কি বস্তু, কবে আসেন। গুরু যারা তারা তোমাদের বলে
যে কল্প হলো লক্ষ বছরের আর বাবা বলেন যে, কল্প হলোই ৫ হাজার বছরের। পুরানো দুনিয়া
আর নূতন দুনিয়া হবে। নূতন আবার পুরানো হয়। এখন নূতন দিল্লী আছে কোথায়? যখন পরীস্থান
অর্থাৎ স্বর্গ হবে তখন দিল্লিকে নূতন দিল্লী বলা হবে। নূতন দুনিয়াতে নূতন দিল্লী
ছিলো, যমুনার ঘাটে। সেখানে লক্ষ্মী-নারায়ণের মহল ছিলো। পরীস্থান ছিলো। এখন তো হলো
সব কবরস্থান, সব কিছু মাটি চাপা পড়ে যায়, সেইজন্য বাবা বলেন- আমাকে অর্থাৎ এই
উচ্চতম বাবাকে স্মরণ করলে পবিত্র হবে। সবসময় এই রকম বাবা- বাবা বলে বোঝাও। বাবা নাম
নাও না বলে কেউ তোমাদের কিছু শোনে না। বাবার স্মরণ না থাকার কারণে তোমাদের মধ্যে
তীক্ষ্মতা আসে না। তোমরা দেহ- অভিমানের বশবর্তী হও। সংসারে আবদ্ধ মাতারা- যারা মার
খায়, তারা তোমাদের থেকে বেশী স্মরণ করে থাকে, কতো ডাকতে থাকে। বাবা বলেন, তোমরা
সকলে যে হলে দ্রৌপদী না! এখন তোমাদের নগ্ন হওয়ার থেকে বাঁচাই। মাতারাও কেউ এমন আছে
যাদের পূর্ব কল্পে পুতনা ইত্যাদি নাম দেওয়া হয়েছিলো। তোমরা ভুলে গেছো। বাবা বলেন
ভারত যখন শিবালয় ছিলো তো তাকে স্বর্গ বলা হতো। এখানে আবার যাদের কাছে বড় বাড়ী,
বিমান ইত্যাদি আছে তারা মনে করে আমি তো স্বর্গে আছি। কতো মূঢ় মতির ! প্রত্যেক কথায়
বলো বাবা বলছেন। এই হঠযোগী কি আর তোমাদের মুক্তি দিতে পারবে ! সকলের সদ্গতি দাতা
যখন একজনই তবে গুরু কিসের জন্য করো? তোমাদের কি সন্ন্যাসী হতে হবে না কি হঠযোগ শিখে
ব্রহ্মতে লীন হতে হবে? লীন তো কেউ হতে পারে না। সবাইকে নিজের পার্ট প্লে করতে হবে।
সব অ্যাক্টর্স হলো অবিনাশী। এটা হলো অনাদি অবিনাশী ড্রামা, মোক্ষ কেই কীভাবে
প্রাপ্ত করতে পারে। বাবা বলেন- আমি এই সাধুদেরও উদ্ধার করতে এসেছি। তবে পতিত-পাবন
কি ভাবে গঙ্গা হতে পারে ! পতিত-পাবন তো তোমরা আমাকে বলো যে না! তোমাদের আমার সাথে
যোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য এই হাল হয়েছে। এখন আবার আমার সাথে যোগ যুক্ত হও, তবে
বিকর্ম বিনাশ হবে। মুক্তিধামে পবিত্র আত্মারা থাকে। এখন তো সমগ্র দুনিয়া হলো পতিত।
পবিত্র দুনিয়ার ব্যাপার তোমাদের জানাই নেই। তোমরা হলে সকলে পূজারী, একজনও পূজ্য নেই।
তোমরা বাবার নাম নিয়ে সকলের মধ্যে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে পারো। বাবা, যিনি কি না
বিশ্বের মালিক করে তোলেন, তোমরা বসে ওনার গ্লানি করছো। শ্রীকৃষ্ণ ছোটো বাচ্চা,
সর্বগুণ সম্পন্ন, সে এইরকম ব্যবসা কি করে করবে বসে। আর শ্রীকৃষ্ণ সকলের ফাদার কি
ভাবে হতে পারে। ভগবান তো হলেন একই যে না! যতক্ষণ না আমার শ্রীমৎ অনুযায়ী চলছো তো জং
কি ভাবে যাবে। তোমরা সবার পূজা করতে থাকছো তো কি দশা হয়ে গেছে, এই জন্য আবার আমাকে
আসতে হলো। তোমরা কতো ধর্ম কর্ম ভ্রষ্ট হয়ে গেছো। বলো তো হিন্দু ধর্ম কে কবে স্থাপন
করে ছিলো? এইরকম ভালো মতো দাপটের সাথে ভাষণ করো। তোমাদের ক্ষণে-ক্ষণে বাবা স্মরণেই
আসেন না। কখনো বা কেউ লেখে যে আমাদের মধ্যে তো যেন বাবা এসে বক্তৃতা করেছেন। বাবা
খুবই সাহায্য করতে থাকেন। তোমরা স্মরণের যাত্রাতে থাকো না, সেইজন্য পিপীলিকা
মার্গের সার্ভিস করো। বাবার নাম নিলে তবেই কারোর তীর বিঁধবে। বাবা বোঝান বাচ্চারা,
তোমরাই অলরাউন্ড ৮৪ জন্মের চক্রে আবর্তিত হয়েছো, তাই তোমাদেরই বোঝাতে হবে। আমি
ভারতেই আসি। যারা পূজ্য ছিলো তারাই পূজারী হয়েছে । আমি তো পূজ্য পূজারী হই না। "বাবা
বলছেন, বাবা বলছেন" এই সুর ছড়িয়ে দিতে হয়। তোমরা যখন এরকম ধরনের বক্তৃতা দাও, আমি
যখন ওইরকম শুনবো, তখন বুঝবে যে এখন তোমরা পিঁপড়ে থেকে মাকড়সা হয়েছো। বাবা বলেন আমি
তোমাদের পড়াই, তোমরা শুধুমাত্র মামেকম্ স্মরণ করো। এই রথ দ্বারা তোমাদের শুধু বলছি
যে আমাকে স্মরণ করো। রথকে কি আর স্মরণ করতে হবে ! বাবা এরকম বলেন, বাবা এটা বোঝান,
এই রকম এরকম তোমরা বলো- তারপর দেখো তোমাদের সেই প্রভাব কতো বিস্তার হবে। বাবা বলেন,
দেহ সহ সমস্ত সম্বন্ধ থেকে বুদ্ধির যোগ ছিন্ন করো। নিজের দেহকেও ত্যাগ করলে বাকি
থাকে আত্মা। নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে অর্থাৎ এই বাবাকে স্মরণ করো। কেউ বলে "অহম্
ব্রহ্মাস্মি" (আমিই ব্রহ্ম), মায়ার মালিক হলাম আমি। বাবা বলেন, তোমরা এটাও জানো না
যে মায়া কাকে বলে আর সম্পত্তি কাকে বলে ! তোমরা ধনকে বলো মায়া (মায়া হলো বিকার)।
এই রকম এরকম ভাবে তোমরা বোঝাতে পারো। অনেক ভালো-ভালো বাচ্চারা মুরলীও পড়ে না।
বাবাকে স্মরণ করে না, তাই তীর বিদ্ধ হয় না। কারণ স্মরণের শক্তি প্রাপ্ত হয় না। শক্তি
প্রাপ্ত হয় স্মরণের দ্বারা। যে যোগ-বলের দ্বারা তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে ওঠ।
বাচ্চারা, প্রতিটা কথায় বাবার নাম নিতে থাকো তবে কখনো কেউ কিছু বলতে পারবে না।
সকলের ভগবান বাবা তো হলো এক না সকলে ভগবান হলো? বলে যে আমি হলাম অমুক সন্ন্যাসীর
ফলোয়ার। এখন সে হলো সন্ন্যাসী আর তুমি হলে গৃহস্থী- তো ফলোয়ার্স হয়ে দাঁড়ালো
কীভাবে? গানও করে মিথ্যে মায়া, মিথ্যে দেহ, মিথ্যে সব সংসার। সত্য তো হলেন একমাত্র
বাবা। তিনি যতক্ষণ না আসবেন আমরা সত্য হতে পারি না । মুক্তি-জীবনমুক্তি দাতা হলেন
একই জন। তাছাড়া কেউই কি আর মুক্তি দিতে পারে, যে আমরা তার হবো! বাবা বলেন এটাও
ড্রামাতে ছিলো। এখন সাবধান হয়ে চোখ খোলো। বাবা এইরকম বলেন, এইরকম বলার জন্য তোমরা
সরে যাবে। তোমাদের উপর কেউ অর্থহীন উক্তি করবে না।
ত্রিমূর্তি শিববাবা
বলতে হবে, শুধু শিব নয়। ত্রিমূর্তিকে কে রচনা করেছেন? ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা কে
করিয়ে দেন? ব্রহ্মা কি ক্রিয়েটর? এইরকম ধরনের নেশার সাথে বলো, তবে কাজ করতে পারবে।
না হলে তো দেহ-অভিমানের সাথে বসে বক্তৃতা করে। বাবা বোঝান যে এটি হলো অনেক ধর্মের
কল্প বৃক্ষ (অনেক ধর্মের অবস্থান উল্টো বৃক্ষের রূপে রয়েছে)। সর্বপ্রথমে হলো
দেবী-দেবতা ধর্ম। এখন সেই দেবতা ধর্ম গেল কোথায়? লক্ষ বছর বলে দেয়, এটা তো হলো ৫
হাজার বছরের ব্যাপার। তোমরা মন্দিরও তাদেরই তৈরী করতে থাকছো। দেখানো হয় পান্ডবদের
আর কৌরবদের যুদ্ধ লেগেছে। পান্ডবরা পাহাড়ী পথে গলে মরেছে, তারপর কি হলো? আমি কীভাবে
হিংসা করবো? আমি তো তোমাদের অহিংস বৈষ্ণব করে তুলি। কাম কাটারি না চালানো - তাকেই
বৈষ্ণব বলা হয়। তারা হলো বিষ্ণুর বংশাবলী। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণেব স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
সার্ভিসে সফলতা প্রাপ্ত করার জন্য অহঙ্কারকে ত্যাগ করে প্রতিটি কথাতে বাবার নাম নিতে
হবে। স্মরণের মধ্যে থেকে সেবা করতে হবে। পরনিন্দা-পরচর্চাতে সময় ওয়েস্ট করতে নেই।
২ ) সত্যিকারের
বৈষ্ণব হয়ে উঠতে হবে। কোনো হিংসাই করা উচিত নয়। দেহ সহ সমস্ত সম্বন্ধের থেকে বুদ্ধি
যোগ ছিন্ন করে দিতে হবে।
বরদান:-
হা জির
পাঠের দ্বারা সেবাগুলিতে মহান হওয়া সকলের আশীর্বাদের পাত্র ভব
যেকোনও সেবা খুশী আর
উৎসাহের সাথে করার সময় এটা যেন মাথায় থাকে যে, যেই সেবাই হোক তাতে যেন সকলের
আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় কেননা যেখানে আশীর্বাদ থাকবে সেখানে পরিশ্রম করতে হবে না। এখন
এটাই লক্ষ্য থাকবে যে যার সাথে সম্পর্ক তৈরী হবে তার থেকে আশীর্বাদ নিতে হবে। হ্যাঁ
জির পাঠই হলো আশীর্বাদ নেওয়ার সাধন। কেউ যদি ভুলও থাকে তাহলে তাকে ভুল বলে ধাক্কা
দেওয়ার পরিবর্তে তাকে আশ্রয় দিয়ে দাঁড় করাও। সহযোগী হও। তো এর দ্বারাও সন্তুষ্টতার
আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে। যারা আশীর্বাদ নেওয়াতে মহান হয় তারা স্বতঃ মহান হয়ে যায়।
স্লোগান:-
হার্ড
ওয়ার্কারের সাথে সাথে নিজের স্থিতিও হার্ড (মজবুত) বানানোর লক্ষ্য রাখো।
অব্যক্ত ঈশারা :-
স্বয়ং আর সকলের প্রতি মন্সা দ্বারা যোগের শক্তির প্রয়োগ করো
যোগের প্রয়োগ অর্থাৎ
নিজের শুদ্ধ সংকল্পের প্রয়োগ তনের উপর, মনের উপর, সংস্কারের উপর অনুভব করে এগিয়ে
যেতে থাকো। এক্ষেত্রে অন্যদেরকে দেখো না। এ কি করছে, এ করছে না, পুরানোরা করছে বা
করছে না, এসব দেখো না। ‘প্রথমে আমি’ - এই অনুভব করে এগিয়ে আসো কেননা এটা হলো নিজের
আন্তরিক পুরুষার্থের কথা। যখন এইরকম ব্যক্তিগত রূপে এই প্রয়োগে লেগে যাবে, বৃদ্ধি
পেতে থাকবে তখন প্রত্যেকের শান্তির শক্তি সংগঠিত রূপে বিশ্বের সামনে প্রভাব পড়বে।