26-10-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 15-10-2007 মধুবন


"সঙ্গম যুগের জীবনমুক্ত স্থিতির অনুভব করার জন্য সব বোঝা বা বন্ধন বাবাকে দিয়ে ডবল লাইট হও"


আজ বিশ্ব রচয়িতা বাপদাদা নিজের প্রথম রচনা অতি লাভলি আর লাকি বাচ্চাদের সাথে মিলন মেলা উদযাপন করছেন। কিছু বাচ্চা সমুখে রয়েছে, তারা নয়ন দ্বারা দেখছে এবং চতুর্দিকের কিছু বাচ্চা হৃদয়ে সমাহিত হয়ে আছে। বাপদাদা সব বাচ্চার মস্তকে ভাগ্যের তিন নক্ষত্র ঝলমল করতে দেখছেন। একটা ভাগ্য হলো - বাপদাদার শ্রেষ্ঠ পালনার, দ্বিতীয় ভাগ্য হলো শিক্ষক দ্বারা পঠন-পাঠন, তৃতীয় হলো সদ্গুরু দ্বারা সর্ব বরদানের ঝলমলে নক্ষত্র। তো তোমরাও সবাই নিজের ললাটে ঝলমলে নক্ষত্র অনুভব করছো তো না! সর্ব সম্বন্ধ বাপদাদার সাথে, তবুও জীবনে এই তিন সম্বন্ধ আবশ্যক এবং তোমরা সব হারানিধি অতি আদরের বাচ্চাদের এই সম্বন্ধ সহজেই প্রাপ্ত হয়। প্রাপ্ত হয় তো না! নেশা থাকে, থাকে না! হৃদয় এই গীত গাইতে থাকে তো না - বাহ্ বাবা বাহ্! বাহ্ শিক্ষক বাহ্! বাহ্ সদ্গুরু বাহ্! দুনিয়ার লোকে লৌকিক গুরু যাকে মহান আত্মা বলে, তার দ্বারাও একটা বরদান পাওয়ার জন্য কত চেষ্টা করে আর তোমাদেরকে বাবা জন্মানোর সাথে সাথেই বরদান দ্বারা সহজভাবে সম্পন্ন করে দিয়েছেন। এত শ্রেষ্ঠ ভাগ্য কী স্বপ্নেও ভেবেছিলে যে ভগবান বাবা আমাদের জন্য এত সব অর্পণ করে দেবেন! ভক্তরা ভগবানের গীত গেয়ে থাকে আর ভগবান বাবা কা'দের গীত গাইতে থাকেন! তোমরা সব লাকি বাচ্চার।

এখনও তোমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে এসেছ, কোন্ বিমানে এসেছো? স্থূল বিমানে নাকি পরমাত্ম ভালবাসার বিমানে সব তরফ থেকে পৌঁছে গেছো! পরমাত্ম বিমান কত সহজে নিয়ে আসে, কোনও কষ্ট নেই। তো সবাই তোমরা পরমাত্ম ভালবাসার বিমানে পৌঁছে গেছো - এর জন্য অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন। বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে দেখে, হতে পারে তারা প্রথমবার এসেছে অথবা বহুকাল ধরে আসছে, কিন্তু বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চার বিশেষত্ব জানেন। বাপদাদার কোনও বাচ্চা সে ছোট হোক বা বড় হোক, মহাবীর হোক বা পুরুষার্থী হোক, কিন্তু প্রত্যেক বাচ্চা হারানিধি, কেন? তোমরা তো বাবাকে খুঁজেছো, পাওনি, কিন্তু বাপদাদা তোমরা সব বাচ্চাকে অনেক ভালবাসায়, আন্তরিক মমতায়, স্নেহের সাথে কোনায় কোনায় খুঁজেছেন। সুতরাং ভালবাসা আছে তবে তো খুঁজেছেন। কেননা, বাবা জানেন, কোনো এক বাচ্চাও এমন নয় যার মধ্যে কোনও বিশেষত্ব নেই। তোমাদের কোনো বিশেষত্বই তোমাদেরকে নিয়ে এসেছে। অন্ততপক্ষে, গুপ্তরূপে আগত বাবাকে চিনে তো নিয়েছ। আমার বাবা বলেছ, সবাই বলো তো না আমার বাবা! কেউ আছ যে বলে না আমার বাবা, কেউ আছ? সবাই বলো তো না আমার বাবা! তো বিশেষ হলো তো না! এত বড়-বড়ো সায়েন্টিস্ট, বড়- বড়ো ভি.আই.পি চিনতে পারেনি, কিন্তু তোমরা সবাই তো চিনে নিয়েছ, তাই না। তাইতো বাবাও তোমাদের নিজের বানিয়ে নিয়েছেন। এই খুশিতে পালিত হতে হতে তোমরা উড়ছ, উড়ছ না! উড়ছ, হাঁটছো না, উড়ছ, কেননা, যারা চলছে তারা বাবার সাথে নিজের ঘরে ফিরে যেতে পারবে না। কারণ বাবা তো উড়ন্ত, সুতরাং যারা চলছে তারা কীভাবে সাথে পৌঁছাবে! সেইজন্য বাবা সব বাচ্চাকে কী বরদান দেন? ফরিস্তা স্বরূপ ভব। ফরিস্তা ওড়ে। চলে না, ওড়ে। তো তোমরাও উড়তি কলার তো না! হও তোমরা? হাত তোলো যারা উড়তি কলার, নাকি কখনো চলতি কলা, কখনো উড়তি কলার? না? সদা উড়ন্ত, ডবল লাইট, তাই না! কেন? ভাবো, বাবা তোমাদের সবার থেকে গ্যারান্টি নিয়েছেন, যাদেরই কোনও রকমের বোঝা যদি মনে, বুদ্ধিতে থাকে তবে বাবাকে দিয়ে দাও, বাবা নিতেই এসেছেন। তো বাবাকে বোঝা দিয়েছ, নাকি অল্প অল্প সামলে রেখেছো? যিনি নেওয়ার তিনি যখন নিচ্ছেন তখন বোঝা দিয়ে দেওয়ায় ভাববার কোনো ব্যাপার আছে কি? নাকি ৬৩ জন্মের অভ্যাস রয়েছে বোঝা সামলানোর? তো কিছু বাচ্চা কখনো কখনো বলে - চাই না কিন্তু অভ্যাসে বাধ্য। এখন তোমরা বাধ্য নও তো না! বাধ্য, নাকি শক্তিশালী? বাধ্য কখনও হয়ো না। শক্তিশালী তোমরা। শক্তি, তোমরা শক্তিশালী, নাকি বাধ্য? শক্তিশালী তো না? বোঝা রেখে দিতে ভালো লাগে কি? মন লেগে গেছে, বোঝার প্রতি মন লেগে গেছে? ছেড়ে দাও, ছাড়বে তবে তো রেহাই পাবে। তোমরা ছাড়ো না তাই নিষ্কৃতি নেই। ছেড়ে দেওয়ার সাধন হলো - দৃঢ় সংকল্প। অনেক বাচ্চা বলে থাকে দৃঢ় সংকল্প তারা তো করে, কিন্তু, কিন্তু ...কারণ কী? দৃঢ় সংকল্প করো কিন্তু তোমাদের করা দৃঢ় সংকল্পকে তোমরা রিভাইস করো না। বারবার মন থেকে রিভাইস করো আর রিয়ালাইজ করো, বোঝা কী আর ডবল লাইটের অনুভব কী! রিয়ালাইজেশনের কোর্স এখন একটু বেশি আন্ডারলাইন করো। বলা আর ভাবনা তোমরা এটাই করে থাকো, কিন্তু হৃদয় দিয়ে রিয়ালাইজ করো - বোঝা কী আর ডবল লাইট কী? প্রভেদ সামনে রাখো কেননা, বাপদাদা এখন সময়ের নৈকট্য অনুসারে প্রত্যেক বাচ্চার মধ্যে কী দেখতে চান? যা কিছু তোমরা বলো তা' করে দেখাতে হবে। যা কিছু ভাবছ তা' স্বরূপে আনতে হবে। কেননা, বাবার উত্তরাধিকার রয়েছে জন্মসিদ্ধ অধিকারের - মুক্তি আর জীবনমুক্তির। সবাইকে এই নিমন্ত্রণই দাও তো না - এসে মুক্তি আর জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। সুতরাং নিজেকে জিজ্ঞাসা করো, মুক্তিধামে মুক্তির অনুভব করতে হবে নাকি সত্যযুগে জীবনমুক্তির অনুভব করতে হবে, নাকি এখন সঙ্গম যুগে মুক্তি, জীবনমুক্তির সংস্কার বানাতে হবে? কেননা, তোমরা বলে থাকো যে আমরা এখন নিজেদের ঈশ্বরীয় সংস্কার থেকে দৈবী সংসার বানাবো। নিজেদের সংস্কার দ্বারা নতুন সংসার (দুনিয়া) বানাচ্ছ। তো এখন সঙ্গমেই মুক্তি জীবনমুক্তির সংস্কার ইমার্জ হওয়া উচিত তো না! তো চেক করো সর্ব বন্ধন থেকে মন আর বুদ্ধি মুক্ত হয়েছে? কেননা, ব্রাহ্মণ জীবনে অনেক বিষয়ে পাস্ট লাইফের যে বন্ধন আছে, তার থেকে মুক্ত হয়েছ। কিন্তু সর্ব বন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছো, নাকি কোনো কোনো বন্ধন এখনও নিজের বন্ধনে বাঁধে? এই ব্রাহ্মণ জীবনে মুক্তি জীবনমুক্তির অনুভব করাই ব্রাহ্মণ জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব, কারণ সত্যযুগে জীবনমুক্ত, জীবনবন্ধ দুইয়ের জ্ঞানই থাকবে না। এখন এখন অনুভব করতে পারো? জীবনবন্ধ কী, জীবনমুক্ত কী, কেননা তোমাদের সকলের প্রতিজ্ঞা রয়েছে, সকলের প্রতিজ্ঞা, অনেকবার প্রতিজ্ঞা করেছ, কী প্রতিজ্ঞা করো তোমরা স্মরণে আছে তোমাদের? তোমাদের কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তোমাদের এই ব্রাহ্মণ জীবনের লক্ষ্য কী? কী জবাব দাও তোমরা? বাবা সমান হতে হবে। পাক্কা তো? তাই না? বাবা সমান হতে হবে তো না? নাকি একটু একটু হতে হবে? সমান হতে হবে, হবে তো না! হতে হবে সমান? নাকি যদি অল্পও হয়ে যাও তো চলবে? চলবে? তাকে তো সমান বলা হবে না। তো বাবা মুক্ত, নাকি বন্ধন আছে? যদি কোনও রকমের বন্ধন, তা' দেহের হোক বা কোনো দেহের সম্বন্ধ, মাতা পিতা বন্ধু সখা নয়, দেহের সাথে কর্মেন্দ্রিয়ের যে সম্বন্ধ, সেই কর্মেন্দ্রিয়ের যে কোনও সম্বন্ধের বন্ধন থাকলে, অভ্যাসের বন্ধন থাকলে, স্বভাবের বন্ধন থাকলে, পুরানো সংস্কারের বন্ধন থাকলে, তাহলে বাবা সমান কীভাবে হওয়া যাবে? আর রোজ তোমরা প্রতিজ্ঞা করছ বাবা সমান হতেই হবে। বাবা যদি তোমাদের হাত উঠাতে বলেন তো সবাই কী বলো তোমরা? লক্ষী-নারায়ণ হতে হবে। বাপদাদা খুশি হন, তোমরা খুব ভালো ভালো প্রতিজ্ঞা করো, কিন্তু প্রতিজ্ঞার লাভ ওঠাও না। প্রতিজ্ঞা আর লাভের ব্যালেন্স জানো না। বাপদাদার কাছে প্রতিজ্ঞার অনেক অনেক অনেক বড় ফাইল আছে, সবার ফাইল আছে। ঠিক এরকমই লাভেরও ফাইল হবে, ব্যালেন্স হবে তবে কত ভালো লাগবে! এরা সেন্টার্সের টিচার্স বসে আছে না!

সেন্টার নিবাসী এরাও বসে আছে তো না? তাহলে তো তোমরা সমানই হ'লে, তাই না! সেন্টার নিবাসী নিমিত্ত হওয়া বাচ্চাদের তো সমান হওয়া উচিত তাই না! তোমরা হয়েও থাকো, কিন্তু কখনো কখনো সামান্য চঞ্চল হয়ে যাও। বাপদাদা তো সব বাচ্চার আচার- আচরণ এবং ভাবভঙ্গী দুইই দেখতে থাকেন। তোমাদের দাদিও বতনে ছিলেন তো না, দাদিও দেখতেন, তো কী বলতেন তিনি? জানো তোমরা, বলতেন বাবা এরকমও কী হয়? এরকম হয়, এরকম করে! তাদের এমন আচরণ আপনি দেখতে থাকেন? শুনেছ, তোমাদের দাদি কী দেখেছেন! এখন বাপদাদা এটাই দেখতে চান যে একেক বাচ্চা মুক্তি জীবনমুক্তির উত্তরাধিকারের অধিকারী হয়েছে। কেননা, উত্তরাধিকার এখন প্রাপ্ত হয়। সত্যযুগে তো ন্যাচারাল লাইফ হবে, এখনের অভ্যাসের ন্যাচারাল লাইফ, কিন্তু উত্তরাধিকারের অধিকার এখন সঙ্গমে। সেইজন্য বাপদাদা এটাই চান যে প্রত্যেকে নিজে যেন চেক করে যদি কোনও বন্ধন আকর্ষণ করছে তো তার কারণ কী ভাবো। কারণ ভাবো আর কারণের সাথে নিবারণের ব্যাপারেও ভাবো। অনেক বার ভিন্ন ভিন্ন রূপে বাপদাদা নিবারণ করে দিয়েছেন। সর্বশক্তির বরদান দিয়েছেন, সর্ব গুণের ভাণ্ডার দিয়েছেন, ভাণ্ডার ইউজ করলে ভাণ্ডার বাড়ে। সবার কাছে ভাণ্ডার আছে, বাপদাদা দেখেছেন। প্রত্যেকের স্টকও তিনি দেখেন। বুদ্ধি হলো স্টক রুম। তো বাপদাদা সবারটা দেখেছেন। আছে, স্টকে আছে কিন্তু সময়কালে তোমরা ভাণ্ডার ইউজ করো না। শুধু পয়েন্ট হিসেবে ভাবো, হ্যাঁ এটা করা উচিৎ নয়, এটা করতে হবে, পয়েন্ট হিসেবে ইউজ করো, ভাবো কিন্তু পয়েন্ট হয়ে পয়েন্টকে ইউজ করো না। সেইজন্য পয়েন্ট থেকেই যায়, পয়েন্ট হয়ে যদি ইউজ করো তবে নিবারণ হয়ে যায়। তোমরা বলেও থাকো, এটা করা উচিৎ নয়, তবুও তোমরা ভুলেই যাও। বলার সাথে ভুলেও যাও। এত সহজ বিধি তোমাদের বলা হয়েছে, শুধু সঙ্গম যুগেই আছে বিন্দুর চমৎকারিত্ব, কেবল বিন্দু ইউজ করো আর কোনো মাত্রার আবশ্যকতা নেই। তিন বিন্দু ইউজ করতে থাকো, তবে বাবা সমান হওয়া কোনই মুশকিল নয়। তোমরা বিন্দু লাগাতে চাও কিন্তু লাগানোর সময় হাত নড়ে যায়, তাইতো কোশ্চেন মার্ক হয়ে যায়, নাকি আশ্চর্যের রেখা হয়ে যায়। ওখানে হাত নড়ে যায়, এখানে বুদ্ধি নড়ে। নয়তো, তিন বিন্দুকে স্মৃতিতে রাখা কী কঠিন হয়? হয়? কঠিন হয়? বাপদাদা তো সহজ যুক্তি বলেছেন, সেটা কী? আশীর্বাদ দাও আর আশীর্বাদ নাও। আচ্ছা, যদি যোগ শক্তিশালী না হয়, ধারণায় যদি খামতি থাকে, যদি ভাষণ করার সাহস না হয়, তবুও কিন্তু আশীর্বাদ দাও আর আশীর্বাদ নাও, এই একটা বিষয়ই করো আর সব ছেড়ে দাও, একটা জিনিস করো - আশীর্বাদ নিতে হবে আর আশীর্বাদ দিতে হবে। যা কিছু হয়ে যাক, যা কিছুই কেউ দিক না কেন কিন্তু আমাকে আশীর্বাদ দিতে হবে, নিতে হবে। একটা বিষয় তো পাক্কা করো, এর মধ্যে সব এসে যাবে। যদি আশীর্বাদ দাও আর আশীর্বাদ নাও তবে তার মধ্যে কী শক্তি আর গুণ আসবে না? অটোমেটিক্যালি এসে যাবে, তাই তো না! একটাই লক্ষ্য রাখো, করে দেখো, এক দিন অভ্যাস করে দেখো, তারপর সাতদিন করে দেখ। আচ্ছা ঠিক আছে, অন্য বিষয় না হয় বুদ্ধিতে আসবে না, একটা তো আসবে। যা কিছু হয়ে যাক, আশীর্বাদ দিতে হবে এবং নিতে হবে। এটা তো করতে পারবে, নাকি না? করতে পারো? আচ্ছা, তো যখনই ফিরে যাবে তখন এটা ট্রায়াল করো। এতে আপনা থেকেই সব যোগযুক্ত হয়ে যাবে। কেননা, ওয়েস্ট কর্ম তো হবে না, সুতরাং যোগযুক্ত হয়েই গেলে তো না! কিন্তু লক্ষ্য রাখো আশীর্বাদ দিতে হবে, আশীর্বাদ নিতে হবে। যে যা কিছুই দিক, এমনকি অভিশাপও মিলবে, ক্রোধের পরিস্থিতিও আসবে, কেননা, তোমরা প্রতিজ্ঞা করবে তো না, মায়াও শুনছে যে এ' প্রতিজ্ঞা করবে, সেও তো নিজের কাজ করবে, তাই না! যখন মায়াজিত হয়ে যাবে তখন আর করবে না। এখন তো মায়াজিৎ হচ্ছ, তাই না, তো সে নিজের কাজ করবে, কিন্তু আমাকে আশীর্বাদ দিতে হবে এবং আশীর্বাদ নিতে হবে। হতে পারে? হতে পারে? হাত উঠাও যারা বলছ হতে পারে। আচ্ছা, শক্তি তোমরা হাত তোলো। হ্যাঁ, হতে পারে। তো সব দিক থেকে টিচার্স এসেছে, তাই না। সব দিক থেকে টিচার্স এসেছে তো না। তো যখন তোমরা নিজের দেশে ফিরে যাবে তখন প্রথম প্রথম সবাইকে এক সপ্তাহ এই হোম ওয়ার্ক করতে হবে এবং রেজাল্ট পাঠাতে হবে। ক্লাসের মেম্বার কত জন? কত আছে? কত ও.কে. আর এখনো কত অল্প কাঁচা ও কত অল্প পাক্কা আছে? যদি তারা কাঁচা তো ও.কে.র মধ্যে একটা লাইন টেনে দাও। শুধু এইভাবে তোমরা তোমাদের সমাচার দেবে - এত জন ও.কে., এত জনের মধ্যে ও.কে. হওয়ার রেখা আছে। এই গ্রুপে দেখ, ডবল ফরেনার্স এসেছে, তো তোমরা ডবল কাজ করবে তো না। এক সপ্তাহের রেজাল্ট পাঠাবে, তারপর বাপদাদা দেখবেন, সহজ, তাই না। কঠিন নয় তো! মায়া আসবে, তোমরা বলবে বাবা আমার তো আগে কখনো আসেনি, এখন এসে গেছে। এটা হবে, কিন্তু যারা দৃঢ় নিশ্চয়ের তাদের বিজয় নিশ্চিত। দৃঢ়তার ফল হলো সফলতা। সফলতা না হওয়ার কারণ হলো দৃঢ়তার অভাব। তো দৃঢ়তার সফলতা প্রাপ্ত করতেই হবে।

যেভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সেবা করছো, সেভাবে স্ব এরও সেবা প্রয়োজন। স্ব সেবা আর বিশ্ব সেবা, স্ব সেবা অর্থাৎ চেক করা এবং নিজেকে বাবা সমান বানানো। যে কোনো খামতি, দুর্বলতা বাবাকে দিয়ে দাও না, কেন রেখেছ? বাবার ভালো লাগে না। কেন দুর্বলতা রেখে দাও? দিয়ে দাও। দেওয়ার সময় ছোট বাচ্চা হয়ে যাও। ছোট বাচ্চা যেমন কোনও জিনিস সামলাতে পারে না, কোনও জিনিস পছন্দ না হলে সে কী করে? মা বাবা তোমরা এটা নিয়ে নাও। ঠিক এরকমই তোমাদের কোনও রকম বোঝা, বন্ধন আছে যা তোমাদের ভালো লাগে না। কেননা, বাপদাদা দেখেন, একদিকে এটা তো ভাবছ ভালো না, ঠিক না কিন্তু কী করবো, কীভাবে করবো ... তো এটা তো ভালো না। একদিকে ভালো না বলছ, আরেকদিকে সামলে রাখছ, তো এটাকে কী বলবে! ভালো বলবে? ভালো নয় তো না। তো তোমাদের কী হতে হবে? ভালোর থেকে ভালো, তাই না! শুধু ভালো না, ভালো থেকেও ভালো। তো এমন যে কোনও বিষয় থাকলে বাবা হাজির হুজুর আছেন, তাঁকে দিয়ে দাও, আর যদি সেসব ফিরে আসে তবে আমানত মনে করে আবার দিয়ে দাও। গচ্ছিত সম্পদ আত্মসাৎ করা যায় না(আমানতের খেয়ানত)। কেননা, তোমরা তো দিয়ে দিয়েছ, তো বাবার জিনিস হয়ে গেছে, বাবার জিনিস কিংবা অন্যের জিনিস ভুল করে তোমার কাছে যদি এসে যায়, তুমি আলমারিতে রেখে দেবে? দেবে রেখে? বের করে দেবে তো না! যেভাবেই হোক বের করে দেবে, রাখবে না। সামলাবে না তো, তাই না। অতএব, দিয়ে দাও। বাবা এসেছেন নেওয়ার জন্য। আর তো কিছু নেই তোমাদের কাছে যা দেবে। কিন্তু এগুলো তো দিতে পারো, পারো তো না! আকন্দ ফুল আছে দিয়ে দাও, সামলে রাখা ভালো লাগে কি? আচ্ছা।

চতুর্দিকের, বাপদাদার হৃদয়ের পছন্দ সব বাচ্চাকে, দিলারাম তো না, তো দিলারামের হৃদয়ের পছন্দ বাচ্চাদের, ভালবাসার অনুভবে সদা তরঙ্গিত বাচ্চাদের, এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়, স্বপ্নেও দ্বিতীয় কেউ নয়, বাপদাদার অতি প্রিয় আর দেহবোধ থেকে অতি পৃথক এমন হারানিধি, পদ্মগুন ভাগ্যশালী বাচ্চাদের হৃদয়ের স্মরণের স্নেহ-সুমন আর পদ্ম-পদ্মগুন আশীর্বাদ, সাথে বালক তথা মালিক বাচ্চাদের বাপদাদার নমস্কার।

বরদান:-
ঈশ্বরীয় মর্যাদার আধারে বিশ্বের সামনে এক্সাম্পল হয়ে সহজযোগী ভব

বিশ্বের সামনে এক্সাম্পল হওয়ার জন্য অমৃতবেলা থেকে রাত পর্যন্ত যে ঈশ্বরীয় মর্যাদা আছে সেই অনুসারে চলতে থাকো। অমৃতবেলার বিশেষ মহত্ত্বকে জেনে সেই সময় পাওয়ারফুল স্টেজ বানাও, তবে সারাদিনের জীবন মহান হয়ে যাবে। যখন অমৃতবেলায় বাবার থেকে বিশেষ শক্তি ভরে নেবে তখন শক্তিস্বরূপ হয়ে চললে কোনও কার্যে মুশকিল অনুভব হবে না এবং মর্যাদাপূর্বক জীবন যাপন করে সহজ যোগীর স্টেজও আপনা থেকেই হয়ে যাবে। তারপরে বিশ্ব তোমাদের জীবন দেখে নিজের জীবন বানাবে।

স্লোগান:-
নিজের আচার আচরণ আর মুখমণ্ডলের দ্বারা পবিত্রতার শ্রেষ্ঠত্ব অনুভব করাও।

অব্যক্ত ইশারা :- স্বয়ং এবং সকলের প্রতি মন্সা দ্বারা যোগের শক্তির প্রয়োগ করো প্রয়োগী আত্মা সংস্কারের উপর, প্রকৃতির দ্বারা উপস্থিত পরিস্থিতির উপর বিকারের উপর সদা বিজয়ী হবে। যোগীর প্রয়োগী আত্মার সামনে পাঁচ বিকার রূপী সাপ গলার মালা হয়ে যায় অথবা খুশিতে নাচার স্টেজ তৈরি হয়ে যায়।