27.10.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
মন দুর্বল হওয়াও দেহ-অভিমান, রাগ-অভিমান, কান্নাকাটি এ'সব হলো আসুরি সংস্কার,
বাচ্চারা যা তোমাদের মধ্যে থাকা উচিত নয়, দুঃখ-সুখ, মান-অপমান সব সহ্য করতে হবে"
প্রশ্নঃ -
সার্ভিসে
ঢিলেমি আসার মুখ্য কারণ কি?
উত্তরঃ
যখন
দেহ-অভিমানের বশে একে অপরের অবগুণ দেখো তখনই সার্ভিসে ঢিলেমি আসে। নিজেদের মধ্যে মন
কষাকষি হওয়াও দেহ-অভিমান। আমি অমুকের সঙ্গে চলতে পারি না, আমি এখানে থাকতে পারি
না...এই সবই হল মনের দুর্বলতা। এইরূপ কথা বলা অর্থাৎ কাঁটা স্বরূপ হওয়া, অবজ্ঞাকারী
হওয়া। বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমরা হলে রূহানী মিলিটারী। তাই আদেশ পাওয়া মাত্র হাজির
হওয়া উচিত। কোনোও কথা অমান্য করবে না ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক পিতা
বসে আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। বাচ্চাদের সর্বপ্রথমে এই শিক্ষা প্রাপ্ত হয় যে
নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। দেহ-অভিমান ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হতে হবে। আমরা আত্মা,
দেহী-অভিমানী হলে তবেই বাবাকে স্মরণ করতে পারব। সেটা হল অজ্ঞানকাল। এটা হলো জ্ঞান
কাল। জ্ঞান তো একমাত্র বাবা দেন, উনি সকলের সদগতি করেন এবং উনি হলেন নিরাকার অর্থাৎ
তাঁর কোনও মনুষ্য আকার নেই। যার মনুষ্য আকার আছে তাকে ভগবান বলা যাবে না। এবারে
আত্মারা তো সবাই হলো নিরাকারী। কিন্তু দেহ-অভিমানে এসে নিজেকে আত্মা রূপে ভুলে গেছে।
এখন বাবা বলেন তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো, আত্মা ভেবে বাবাকে
স্মরণ করো, তাহলে জন্ম-জন্মান্তরের পাপ বিনষ্ট হবে, আর কোনো উপায় নেই। আত্মা-ই পতিত,
আত্মা-ই পবিত্র হয়। বাবা বুঝিয়েছেন পবিত্র আত্মারা বাস করে সত্যযুগ-ত্রেতায়। পতিত
আত্মা হয় রাবণ রাজ্যে। সিঁড়ির চিত্রেও বোঝানো হয়েছে যারা পবিত্র ছিল তারা পতিত হয়েছে।
৫ হাজার বছর পূর্বে তোমরা সবাই আত্মারা শান্তিধামে পবিত্র ছিলে। যাকে বলা হয়
নির্বাণধাম। তারপরে কলিযুগে পতিত হয় তখন আর্তনাদ করে - হে পতিত-পাবন এসো। বাবা
বোঝান - বাচ্চারা, আমি যে জ্ঞান তোমাদেরকে প্রদান করি পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার, সেই
জ্ঞান শুধু আমি-ই দিয়ে থাকি যা প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। বাবাকে এসেই জ্ঞান শোনাতে হয়।
এখানে মানুষ অগণিত শাস্ত্র বানিয়েছে। সত্যযুগে কোনও শাস্ত্র থাকে না। সেখানে
ভক্তিমার্গ একটুও নেই।
এখন বাবা বলেন তোমরা
কেবল আমার দ্বারা পতিত থেকে পবিত্র হতে পারো। পবিত্র দুনিয়া তো নিশ্চয়ই হবে। আমি তো
আত্মা রূপী বাচ্চাদের এসেই রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করি। দিব্যগুণও ধারণ করতে হবে।
রাগ-অভিমান করা, কান্নাকাটি করা এই সব হল আসুরিক স্বভাব। বাবা বলেন দুঃখ-সুখ,
মান-অপমান সবই বাচ্চাদের সহ্য করতে হয়। মন দুর্বল করবে না। আমি অমুক স্থানে থাকতে
পারবো না, এও একপ্রকারের দুর্বলতা। অমুকের সব স্বভাব এইরকম, এই এরকম, ও' ওইরকম এইসব
কিছুই থাকা উচিত নয়। মুখ দিয়ে যেন সর্বদা ফুলের মতন কথা বের হয়। কাঁটার মতন নয়।
অনেক বাচ্চাদের মুখে কাঁটার মতন কথা বের হয় । কাউকে ক্রোধ করাও হলো কাঁটা। একে
অপরের সঙ্গে মন কষাকষি অনেক হয়। দেহ-অভিমানের বশে একে অপরের অবগুণ দেখে নিজের
মধ্যেও অনেক রকমের অবগুণ থেকে যায়, তাই সার্ভিস ঢিলে হয়ে যায়। বাবা বোঝেন - এইসব
ড্রামা অনুযায়ী হয়। সঠিক হতেও হবে। মিলিটারীর সৈন্য বাহিনী যখন যুদ্ধে যায় তখন
তাদের কাজই হলো শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করা। বন্যা হলে বা কিছু ঝামেলা হলেও মিলিটারী
ডাকা হয়। তখন মিলিটারী এসে কুলী মজুরের কাজও করে। গভর্নমেন্ট মিলিটারীকে অর্ডার করে
- সমস্ত মাটি ভরো। কেউ না এলে গুলির মুখোমুখি হতে হবে। গভর্নমেন্টের আদেশ পালন
করতেই হয়। বাবা বলেন তোমরাও সার্ভিস করার জন্য বাধ্য। বাবা যেখানে সার্ভিস করতে যেতে
বলবেন, সুশীঘ্র হাজির হওয়া উচিত। অমান্য করলে মিলিটারী বলা হবে না। তারা হৃদয় আসনে
স্থান প্রাপ্ত করে না। তোমরা হলে বাবার সহযোগী সবাইকে বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। যদি
কোথাও বিশাল মিউজিয়াম খোলা হয়, ১০ মাইল দূরে আছে, তবুও সার্ভিস করতে তো যেতে হবে
তাইনা। খরচের চিন্তা করবে না। সবচেয়ে বড় গভর্নমেন্ট অসীম জগতের পিতার আদেশ প্রাপ্ত
হয়েছে, যাঁর রাইট হ্যান্ড হলেন ধর্মরাজ। তাঁর শ্রীমৎ অনুযায়ী না চললে পতন হয়। শ্রীমৎ
বলে নিজের দৃষ্টিকে সিভিল বানাও। কাম বিকারকে জয় করবার সাহস থাকা উচিত। বাবার হুকুম,
পালন না করলে ধ্বংস হয়ে যাবে। ২১ জন্মের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত হবে না। বাবা বলেন
বাচ্চারা ছাড়া আমাকে কখনও কেউ চিনতে পারে না। কল্প পূর্বের যারা তারা-ই আস্তে আস্তে
জ্ঞানে আসবে। এই হলো একেবারে নতুন কথা। এই হলো গীতার যুগ। কিন্তু শাস্ত্রে এই
সঙ্গমযুগের বর্ণনা নেই। গীতাকেই দ্বাপরে নিয়ে গেছে। কিন্তু যখন রাজযোগ শেখানো
হয়েছিল তখন নিশ্চয়ই সঙ্গম ছিল তাইনা। কিন্তু কারো বুদ্ধিতে এই কথা নেই। এখন তোমাদের
জ্ঞানের নেশা আছে। মানুষের হলো ভক্তির নেশা। তারা বলে ভগবান এলেও আমরা ভক্তি করা
ছাড়বো না। এই উত্থান পতনের সিঁড়ি টি খুব ভালো, তবুও মানুষের চোখ খোলে না। মায়ার
নেশায় একেবারে মত্ত হয়ে আছে। জ্ঞানের নেশা হতে খুব দেরী লাগে। প্রথমে তো দিব্যগুণও
চাই। বাবার কোনও আদেশ দিলে কখনও না বলবে না। আমি করতে পারবো না, একেই বলা হয়
অবজ্ঞাকারী। যদি শ্রীমৎ প্রাপ্ত হয় এমন করতে হবে তো তখনই বুঝতে হবে যে এই হল
শিববাবার শ্রেষ্ঠ মত। তিনি হলেন সদগতি দাতা। দাতা কখনও উল্টো মতামত দেবেন না। বাবা
বলেন আমি এনার (ব্রহ্মাবাবার) অনেক জন্মের অন্তে এসে প্রবেশ করি। লক্ষ্মী এনার
চেয়েও উঁচুতে স্থান অর্জন করে। গায়নও আছে - নারীদের আগে রাখা হয়। প্রথমে লক্ষ্মী
তারপরে নারায়ণ, যথা রাজা রানী তথা প্রজা হয়। তোমাদেরও এমন শ্রেষ্ঠ হতে হবে। এই সময়
সম্পূর্ণ দুনিয়ায় হলো রাবণ রাজ্য। সবাই বলে রামরাজ্য চাই। এখন হলো সঙ্গম। যখন এই
লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল তখন রাবণ রাজ্য ছিলো না, তাহলে চেঞ্জ হলো কীভাবে, সে
কথা কেউ জানেনা। সবাই ঘোর অন্ধকারে আছে। তারা ভাবে - কলিযুগ এখন শিশু, হামা দিয়ে
চলছে। তাই মানুষ ঘোর নিদ্রায় নিদ্রিত। এই রূহানী নলেজ অর্থাৎ আধ্যাত্মিক জ্ঞান,
আত্মিক পিতা এসে আত্মাদের প্রদান করেন, রাজযোগের শিক্ষাও দেন। কৃষ্ণকে আত্মিক পিতা
বলা হবে না। কৃষ্ণ এমন বলবেন না যে হে আত্মারূপী বাচ্চারা। এই কথাও লেখা উচিত -
আধ্যাত্মিক জ্ঞানে ভরপুর (রূহানী নলেজফুল) আত্মিক পিতা আধ্যাত্মিক জ্ঞান আত্মারূপী
বাচ্চাদের প্রদান করেন।
বাবা বোঝান দুনিয়ায়
সব মানুষ হলো দেহ-অভিমানী। আমি আত্মা, এই কথা কেউ জানেনা। বাবা বলেন কারো আত্মা
বিলীন হয়ে না। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বোঝানো হয় বিজয়া দশমী, দীপাবলী ইত্যাদি কি।
মানুষ তো যা কিছু পূজা অর্চনা করে, সবই অন্ধ বিশ্বাসের বশে, যাকে পুতুল পূজা বলা হয়,
পাথর পূজো বলা হয়। এখন তোমরা পরশবুদ্ধি হয়েছো তাই পাথর পূজো করতে পারো না। চিত্রের
সামনে মাথা নোয়ায়। কিছুই বোঝে না। যদিও তারা বলে জ্ঞান, ভক্তি ও বৈরাগ্য। জ্ঞান
অর্ধকল্প চলে তারপরে ভক্তি আরম্ভ হয়। এখন তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত কর তখন ভক্তির প্রতি
বৈরাগ্য এসে যায়। এই দুনিয়া ই পরিবর্তন হয়। কলিযুগে ভক্তি আছে। সত্যযুগে ভক্তি থাকে
না। সেখানে হলোই পূজ্য। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা মাথা নত কেন করো। অর্ধকল্প
তোমরা মাথা নত করেছো, টাকা পয়সা খরচ করেছো, প্রাপ্তি হয়নি কিছুই। মায়া একেবারে
মুন্ডন করেছে। কাঙাল করেছে। পরে বাবা এসে সকলের মাথা ঠিক করেছেন। এখন ধীরে-ধীরে কিছু
ইউরোপিয়ানরাও বুঝেছে। বাবা বুঝিয়েছেন - এই ভারতবাসীরা তো একেবারে তমোগুণী হয়ে গেছে।
অন্য ধর্মের মানুষ তো পরে আসে তাই সুখ দুঃখ সবই কম ভোগ করে। ভারত বাসীর তো সুখ দুঃখ
সবই বেশী । শুরুতে প্রচুর বিত্তশালী একদম বিশ্বের মালিক হয়ে থাকে। অন্য ধর্মের
মানুষ কেউ প্রথমে বিত্তবান থাকে না। পরে বৃদ্ধি হতে হতে বর্তমানে বিত্তবান হয়েছে।
এখন সবচেয়ে ভিখারী হয়েছে ভারত। অন্ধশ্রদ্ধাগ্রস্ত হয়েছে ভারত। এও ড্রামায় ফিক্স আছে।
বাবা বলেন আমি যাকে স্বর্গ বানাই, সে-ই নরকে পরিণত হয়েছে। মানুষ বানরবুদ্ধি হয়ে গেছে,
তাদেরকে আমি এসে মন্দির যোগ্য বানাই। বিকার হলো খুব কঠিন। ক্রোধ অনেক থাকে। তোমাদের
মধ্যে ক্রোধ একেবারেই থাকা উচিত নয়। খুব মিষ্টি, শান্ত, অতি মিষ্ট স্বভাবের হও। এই
কথাও তো জানো কোটিতে কেউ এসে জ্ঞান মার্গে - রাজ্য পদ নিতে। বাবা বলেন আমি এসেছি
তোমাদের নর থেকে নারায়ণ করতে। তার মধ্যেও ৮ টি রতন মুখ্য গায়ন করা হয়েছে। ৮-টি রত্ন
আর মধ্যিখানে বাবা। ৮-টি হলো পাস উইথ অনার্স, তাও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে।
দেহ-অভিমান ভঙ্গ করতেই খুব পরিশ্রম লাগে। দেহ বোধ বা অনুভূতি যেন একেবারেই মিটে যায়।
কেউ পাকা ব্রহ্মজ্ঞানী যারা থাকে, তাদেরও এমন অনুভব হয়। বসে-বসে দেহ ত্যাগ করে দেয়।
বসে থেকে এমনভাবে দেহ ত্যাগ করে, সম্পূর্ণ বায়ুমন্ডল একদম শান্ত হয়ে যায় এবং প্রায়
সময় ভোর বেলার শুদ্ধ সময়ে দেহ ত্যাগ করে। রাতের বেলায় মানুষ নোংরা কাজ করে, সকালে
স্নান ইত্যাদি করে ভগবানের নাম নেয়। পূজো করে। বাবা সব কথা বোঝান। প্রদর্শনী
ইত্যাদিতে সর্ব প্রথমে তোমরা অল্ফের পরিচয় দাও। প্রথমে অল্ফ এবং বে। বাবা হলেন
একমাত্র নিরাকার। বাবা হলেন রচয়িতা, তিনি বসে রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান বুঝিয়ে
দেন। বাবা স্বয়ং বলেন মামেকম্ স্মরণ করো। দেহের সম্বন্ধগুলি ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা
নিশ্চয় করে মামেকম্ স্মরণ করো। বাবার পরিচয় তোমরা দেবে তখন কারো সাহস থাকবে না
প্রশ্ন-উত্তর করার। প্রথমে বাবার কথায় দৃঢ় নিশ্চয় হয়ে যাক তারপরে বলো ৮৪ জন্ম এইভাবে
গ্রহণ করা হয়। চক্রের কথা বুঝে নেবে, বাবার পরিচয় বুঝে নেবে তখন আর কোনও প্রশ্ন
থাকবে না। বাবার পরিচয় না দিয়ে তোমরা অন্য কথা বলো তাই সময় নষ্ট হয়ে যায়। স্বর
রুদ্ধ হয়ে যায়। সর্বপ্রথমে অল্ফের কথা বলো। শত কথা বললে কিছুই বুঝবে না। খুব সাধারন
ভাবে এবং ধীরে ধীরে বসে বোঝানো উচিত, যারা দেহী-অভিমানী হবে তারা-ই ভালো রীতি বোঝাতে
পারবে। বড়-বড় মিউজিয়ামে ভালো-ভালো বাচ্চারা যারা বোঝাতে সক্ষম তাদের সহযোগ করতে হয়।
কিছুদিন নিজের সেন্টার ছেড়ে সাহায্য করতে এসে যাও। অনুপস্থিতিতে অন্য কাউকে সেন্টার
দেখাশোনা করার জন্য বসিয়ে দাও। যদি সেন্টারের দেখাশোনা করার মতন কাউকে উপযুক্ত না
করে থাকো, তাহলে বাবা বুঝবেন কোনও কাজ করোনি, সার্ভিস করোনি। বাচ্চারা বাবাকে চিঠিতে
লেখে সার্ভিস ছেড়ে যাই কীভাবে! আরে বাবা আদেশ করেন অমুক জায়গায় প্রদর্শনী আছে
সার্ভিস করতে যাও। যদি সেন্টার দেখাশোনা করার মতন কাউকে উপযুক্ত করনি তবে কোনও
কাজের নয়। বাবা আদেশ করেছেন - অবিলম্বে ছুটে যাওয়া উচিত। মহারথী ব্রাহ্মণী তাকেই বলা
হয়। বাকিরা তো সবাই হলো অশ্বারোহী, পদাতিক। সবাইকে সার্ভিসে সাহায্য করতে হবে। এত
বছরে তোমরা কাউকে নিজের মতন বানাওনি তাহলে কি করেছো। এত দিনে ম্যাসেঞ্জার বানাওনি,
যে সেন্টারের দেখাশোনা করবে। বিভিন্ন রকমের মানুষ আসে - যাদের সঙ্গে কথা বলার বুদ্ধি
চাই। মুরলীও রোজ পড়তে হবে অথবা শুনতে হবে। মুরলী পড়ে না অর্থাৎ অ্যাবসেন্ট লেগে গেল।
বাচ্চারা তোমাদের সম্পূর্ণ বিশ্বে সুরক্ষা ঘেরাও তৈরি করতে হবে। তোমরা সম্পূর্ণ
বিশ্বের সেবা করো তাইনা। পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করার ঘেরা বানাতে হবে। সবাইকে
মুক্তি-জীবনমুক্তি ধামের পথ বলে দিতে হবে, দুঃখ থেকে মুক্ত করতে হবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
অত্যন্ত মিষ্টি, শান্ত, অতি মধুর স্বভাবের হতে হবে। কখনও ক্রোধ করবে না। নিজের
দৃষ্টিকে অত্যন্ত সিভিল বানাতে হবে।
২ ) বাবা যা হুকুম
করেন, তাকে অবিলম্বে পালন করতে হবে। সম্পূর্ণ বিশ্বকে পতিত থেকে পবিত্র করার সেবা
করতে হবে অর্থাৎ ঘেরাও তৈরি করতে হবে।
বরদান:-
বাবার
স্মরণের দ্বারা অসন্তোষের পরিস্থিতিগুলিতে, সদা সুখ বা সন্তোষের অনুভূতিকারী মহাবীর
ভব
সদা বাবার স্মরণে থাকা
আত্মারা প্রত্যেক পরিস্থিতিতে সদা সন্তুষ্ট থাকে কেননা নলেজের শক্তির আধারে পাহাড়
সমান পরিস্থিতিও তুলো অনুভব হয়, তুলো অর্থাৎ কিছুই নয়। যদি পরিস্থিতি অসন্তোষের হয়,
দুঃখের ঘটনা হয় কিন্তু দুঃখের পরিস্থিতিতেও সুখের স্থিতি থাকে, তখন বলা হবে মহাবীর।
যাকিছু হয়ে যাক, নাথিং নিউ এর সাথে সাথে বাবার স্মৃতির দ্বারা সদা একরস স্থিতি থাকতে
পারে, আর দুঃখ অশান্তির ঢেউও আসবে না।
স্লোগান:-
নিজের
দৈবী স্বরূপ সদা স্মৃতিতে থাকলে কারোর ব্যর্থ নজর যেতে পারবে না।
অব্যক্ত ঈশারা :-
স্বয়ং আর সকলের প্রতি মন্সা দ্বারা যোগের শক্তিগুলির প্রয়োগ করো
যেরকম সায়েন্সের
শক্তির প্রয়োগ লাইটের আধারে হয়। যদি কম্পিউটারও চলে তো কম্পিউটার হলো মাইট কিন্তু
আধার হল লাইট। এইরকম তোমাদের সাইলেন্সের শক্তির আধার হলো লাইট। যখন সেই প্রকৃতির
লাইট অনেক প্রকারের প্রয়োগ প্র্যাক্টিক্যালে করে দেখায় তো তোমাদের অবিনাশী পরমাত্ম
লাইট, আত্মিক লাইট আর সাথে সাথে প্র্যাক্টিক্যাল স্থিতি লাইট, তাহলে এর দ্বারা কেন
প্রয়োগ হবে না!