27.11.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা তোমাদের যা পড়াচ্ছেন, তা যথার্থ রীতিতে পড়লে ২১ জন্মের জন্য উপার্জন সঞ্চিত হবে।
ভালো ভাবে ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ো তবে চির কালের জন্য সুখী হতে পারবে"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা
তোমাদের অতিন্দ্রীয় সুখের গায়ন কেন করা হয়?
উত্তরঃ
কেননা বাচ্চারা
তোমরাই এইসময় বাবাকে জেনে থাকো, তোমরাই বাবার কাছ থেকে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে
জানতে পার । তোমরা এখন সঙ্গমে অসীম জগতে রয়েছো। তোমরা জানো আমরা এখন লবণাক্ত (খাড়ি)
চ্যানেল থেকে অমৃতের মধুর চ্যানেলে যেতে চলেছি। স্বয়ং ভগবান এসে আমাদের পড়াচ্ছেন,
এমন খুশি ব্রাহ্মণদেরই অনুভব হয় সেইজন্যই তোমাদের অতিন্দ্রীয় সুখের গায়ন আছে।
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক অসীম
জগতের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন - অর্থাৎ নিজের মত প্রদান করছেন।
এটা তো অবশ্যই বুঝেছো যে আমরা হলাম জীবাত্মা। কিন্তু নিশ্চয় তো আত্মাকে করতে হতে
হবে তাই না । আমরা কোনো নতুন স্কুলে পড়াশোনা করছি না। প্রতি ৫ হাজার বছর পর এইভাবেই
পড়াশোনা করে আসছি। বাবাও জিজ্ঞাসা করেন আগে কখনও পড়েছো? সবাই তখন বলে ওঠে আমরা প্রতি
৫ হাজার বছর পর পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে বাবার কাছে আসি । এটা তো স্মরণে আছে না ! নাকি
এও ভুলে যাও? স্টুডেন্টদের স্কুলের কথা তো অবশ্যই মনে পড়ে তাইনা। এইম অবজেক্ট তো
একটাই। যারাই বাবার বাচ্চা হয় সে দুদিনের হোক বা পুরানো, সবার লক্ষ্য এক। কারো কোনো
লোকসান হতে পারে না। পড়াশোনাতেই ইনকাম আছে তাই না । ভক্তি মার্গেও ওরা গ্রন্থ পাঠ
করে ইনকাম করে, শরীর নির্বাহের কাজে সেটা লাগে। সাধু হয়ে অনেককে শাস্ত্র শোনায়,
এতেই ইনকাম হয়ে যায়। এসবই হলো সোর্স অফ ইনকাম। প্রতিটি বিষয়েই ইনকাম চাই তাই না !
পয়সা থাকলে কোথাও না কোথাও থেকে ঘুরে আসে। তোমরা বাচ্চারা জানো যে বাবা আমাদের
যথার্থ রীতিতে ঈশ্বরীয় পাঠ পড়িয়ে থাকেন, যাতে ২১ জন্মের জন্য উপার্জন সঞ্চিত হয়।
এই ইনকাম এমনই যাতে সুখী হবে, কখনও রোগগ্রস্ত হবে না, অমর থাকবে। এই নিশ্চয় থাকা
উচিত। এমন নিশ্চয় থাকলে তোমরা উৎফুল্ল থাকবে। তা না হলে কোনো না কোনো বিষয়ে মুষড়ে
পড়বে। আন্তরিক ভাবে মনে মনে স্মরণ করা উচিত - আমরা অসীম জগতের বাবার কাছে শিক্ষা
গ্রহণ করছি। ভগবানুবাচ - এ হলো গীতা। গীতারও যুগ আসে, তাইনা। শুধু ভুলে গেছো - এ হলো
পঞ্চম যুগ। এই সঙ্গম খুব অল্প সময়ের জন্য। আসলে এটা অন্যান্য যুগের এক চতুর্থাংশও
নয় । তোমরা পারসেন্টেজ অনুসারে ধরতে পার। এগিয়ে যেতে-যেতে বাবা বলবেন । বাবা যা
বলবেন সবই পূর্ব নির্ধারিত। তোমরা সব আত্মাদের পার্ট পূর্ব নির্ধারিত যা রিপিট হয়ে
চলেছে। তোমরা যা শিখেছ সেটাও রিপিটেশন হচ্ছে, তাই না! রিপিটেশনের রহস্য তোমরা
বাচ্চারা জেনেছ, প্রতিটি মুহূর্তে ভূমিকা বদলে যাচ্ছে। এক সেকেন্ডও পরবর্তী
সেকেন্ডের সাথে মিলবে না। উঁকুনের মতো ধীরে-ধীরে চলতেই থাকে । টিকটিক করে এক-এক
সেকেন্ড পার হয়ে চলেছে। এখন তোমরা অসীমে দাঁড়িয়ে আছ। দ্বিতীয় আর কেউ-ই দাঁড়িয়ে নেই।
কারো মধ্যেই অসীমের অর্থাৎ আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান নেই। তোমরা এখন ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও
জেনেছ। আমরা এখন নতুন দুনিয়াতে যেতে চলেছি। এখন সঙ্গম যুগ। লবণাক্ত চ্যানেল অতিক্রম
করে মিষ্টি অমৃতের চ্যানেলে যেতে হবে। তোমরা এখন বিষের সাগর পার করে ক্ষীর সাগরে
যাচ্ছ। এ হলো অসীমের অনন্ত বিষয়, দুনিয়া এই সম্পর্কে কিছুই জানে না। নতুন বিষয় না !
তোমরা জান ভগবান কাকে বলে। ইনি কোন্ পার্ট প্লে করেন। আলোচনার মাধ্যমেও বলো - এসো
পরমপিতা পরমাত্মার পরিচয় সম্পর্কে তোমাকে বুঝিয়ে বলি। এভাবেই বাচ্চারা বাবার পরিচয়
দিয়ে থাকে। সাধারণ বিষয়। ইনি তো বাবারও বাবা, তাইনা। তোমাদের মধ্যেও নম্বরানুসারে
পুরুষার্থ অনুযায়ী জেনেছো।এখন তোমাদের যথার্থ রীতিতে বাবার পরিচয় দিতে হবে।
তোমাদেরও বাবাই এসে পরিচয় দিয়েছেন তবেই তো বোঝাতে পার। আর তো কেউ অসীম জাগতিক পিতাকে
জানেই না। তোমরাও এই সঙ্গমেই জানতে পার। মানুষ মাত্রই দেবতা হোক বা শূদ্র, পুণ্য
আত্মা হোক কিম্বা পাপ আত্মা, কেউ-ই জানেনা, শুধুমাত্র তোমরা ব্রাহ্মণরা যারা সঙ্গম
যুগে আছ, তারাই জানতে পেরেছ। সুতরাং বাচ্চারা, তোমাদের কতখানি খুশি হওয়া উচিত। তবেই
তো গায়ন আছে - অতীন্দ্রিয় সুখ কি জানতে হলে গোপ-গোপিনীদের জিজ্ঞাসা করো।
বাবা একাধারে পিতা,
টিচার এবং সদ্গুরু। সুপ্রিম শব্দটি অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। কখনও-কখনও বাচ্চারা
ভুলে যায়। এসব বিষয় বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকা উচিত। শিববাবার মহিমায় এই শব্দটি (সুপ্রিম)
অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। তোমরা ছাড়া এই বিষয়ে আর তো কেউ জানেই না। তোমরা বোঝাতে
পারলে অর্থাৎ বিজয়ী হলে না ! তোমরা জানো অসীম জগতের পিতা সবার শিক্ষক, এবং সদ্গতি
দাতা। অসীম সুখ, অসীমের জ্ঞান প্রদানকারী। তারপরও এমন বাবাকে ভুলে যাও। মায়া কি
ভীষণ প্রবল।
ঈশ্বরকে শক্তিশালী বলে
থাকো কিন্তু মায়াও কম বলশালী নয় । তোমরা বাচ্চারা সঠিক জানো যে এর নামই তো রাখা
হয়েছে রাবণ। রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্য। এই বিষয়ে সঠিকভাবে বোঝান উচিত। রাম রাজ্য যদি
হয় রাবণ রাজ্যও অবশ্যই হবে। সবসময়ের জন্য রাম রাজ্য তো হতে পারে না। রাম রাজ্য, শ্রী
কৃষ্ণের রাজ্য কে স্থাপন করে, এসবই অসীম জগতের পিতা বসে বোঝান। তোমাদের ভারত খন্ডের
মহিমা করা উচিত। ভারত সত্য খন্ড ছিল, কত মহিমা ছিল । বাবাই তৈরি করেছিলেন। বাবার
প্রতি তোমাদের কতো ভালোবাসা ! এইম অবজেক্টও বুদ্ধিতে আছে। তোমরা জানো আমরা
স্টুডেন্টদের নিজেদের পড়াশোনার প্রতি ঈশ্বরীয় নেশা থাকা উচিত। নিজের ক্যারেক্টারের
প্রতিও খেয়াল রাখা উচিত। বিবেক বলে এই ঈশ্বরীয় পড়াশোনা একদিনও মিস করা উচিত নয় এবং
টিচার আসার পর লেট করে পৌঁছানো উচিত নয়। টিচার আসার পর পৌঁছানো এটাও তো ইনসাল্ট করা।
স্কুলেও স্টুডেন্টস লেট এ পৌঁছালে টিচার তাদের বাইরে বের করে দেয়। বাবা (ব্রহ্মা
বাবা) নিজের ছোটবেলার দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেছেন, আমাদের টিচার খুব কড়া ছিলেন, ভিতরে
ঢুকতে দিতেন না। এখানেও অনেকেই আছে যারা লেট করে আসে। সার্ভিস প্রদানকারী সুপুত্ররা
বাবার অতি প্রিয় হয়ে ওঠে, তাইনা। এখন তোমরা বুঝেছো - আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম
এখানেই ছিল। এই ধর্ম কবে স্থাপন হয়েছে, কারো বুদ্ধিতেই নেই। তোমাদের বুদ্ধি থেকেও
বারবার সরে যায়। তোমরা এখন দেবী-দেবতা হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছ। কে পড়াচ্ছেন? স্বয়ং
পরমপিতা পরমাত্মা। তোমরা জান আমাদের ব্রাহ্মণ বংশ । এই বংশের রাজধানী হয়না। এ হলো
সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ কুল। বাবাও হলেন সর্বোত্তম, তাইনা। উচ্চ থেকেও উচ্চতম তিনি,
অবশ্যই তাঁর থেকে আমদানিও উচ্চই হবে । তাঁকেই শ্রী শ্রী বলা হয়। তোমাদেরও তিনি
শ্রেষ্ঠ করে তোলেন। তোমরা বাচ্চারাও জানো আমাদের কে শ্রেষ্ঠ করে তোলেন? তোমরা বলে
থাকো - আমাদের বাবা তিনি, টিচার এবং সদ্গুরুও তিনি। তিনিই আমাদের শিক্ষা প্রদান
করেন। আমরা আত্মা। আমরা আত্মাদের পিতা স্মৃতি জাগ্রত করিয়ে দিয়েছেন। তোমরা আমার
সন্তান, সবাই ভাই-ভাই না ! ওরাও বাবাকে স্মরণ করে, মনে করে তিনি নিরাকার যখন তবে
নিশ্চয়ই আত্মাকেও নিরাকার বলা হয়। আত্মাই এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে তার
ভূমিকা পালন করে। মানুষ আত্মার বদলে নিজেকে শরীর ভাবতে শুরু করে। আমি আত্মা, এটাই
ভুলে যায়। আমি কখনও ভুলি না। তোমরা আত্মারা হলে শালগ্রাম । আমি হলাম পরমপিতা অর্থাৎ
পরম আত্মা। পরম আত্মার নাম হল শিব । তোমরাও আত্মা কিন্তু তোমরা সবাই শালগ্রাম।
শিবের মন্দিরে যাও সেখানেও অনেক শালগ্রাম রাখা থাকে । শিবের পূজার সাথে-সাথে
শালগ্রামেরও পূজা করে থাকে, তাইনা। তবেই তো বাবা বুঝিয়েছেন তোমাদের আত্মা আর শরীর
দুইয়েরই পূজা হয়। আমার তো শুধু আত্মাই পূজিত হয়ে থাকে। আমার তো শরীর নেই। তোমরা কত
উচ্চ হয়ে ওঠো। বাবারও কত খুশি হয়, তাই না! লৌকিকেও বাবা গরিব, কিন্তু তার বাচ্চারা
পড়াশোনা করে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। কি থেকে কি তৈরি হয়ে যায়। বাবাও জানেন তোমরা কত
উচ্চ ছিলে । এখন অনাথ হয়ে গেছো, বাবাকে জানতে না। এখন তোমরা বাবার হয়ে বিশ্বের
মালিক হয়ে ওঠো।
বাবা বলেন - আমাকে
তোমরা হেভেনলি গড ফাদার বলে থাকো। তোমরা জানো এখন স্বর্গের স্থাপনা হচ্ছে। ওখানে (সত্য
যুগে) কি কি হবে - তোমরা ছাড়া আর কারও বুদ্ধিতেই নেই। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরাই
বিশ্বের মালিক ছিলাম, আবারও হতে চলেছি। প্রজাও এমন বলবে আমরা বিশ্বের মালিক।
তোমাদের বুদ্ধিতে সব আছে, সুতরাং কতখানি খুশি হওয়া উচিত। এইসব বিষয় অন্যদেরও শোনাতে
হবে, সেইজন্যই সেন্টার বা মিউজিয়াম খুলে থাকে। যা কল্প পূর্বে হয়েছিল সেটাই আবার হবে।
অনেকেই মিউজিয়াম, সেন্টার খোলার প্রস্তাব দেবে। অনেকেই বেরিয়ে আসবে । সবার হাড় নরম
হতে থাকবে (মন গলতে থাকবে) । তোমরা অবিরত বিশ্বের হাড় নরম করার কাজ করে চলেছ ।
তোমাদের যোগে এমনই শক্তি। বাবা বলেন তোমাদের মধ্যে শক্তি আছে । ভোজনও তোমরা
যোগযুক্ত হয়ে বানিয়ে খাওয়ালে বুদ্ধি ওই দিকেই টানবে। ভক্তি মার্গে তো গুরুর এঁটোও
খেয়ে থাকে। বাচ্চারা তোমরা জানো ভক্তি মার্গের বিস্তার এতো বিশাল যে বর্ণনা করা যায়
না। এ হলো (জ্ঞান) বীজ আর ওটা হলো কল্পবৃক্ষের ঝাড়। বীজের বর্ণনা করতে পারবে কিন্তু
বৃক্ষের পাতা গুনতে বল কেউ পারবে না। অগুনতি পাতা হয়, বীজের মধ্যে পাতার চিহ্ন দেখা
যায় না। কি চমৎকার তাইনা ! একেই বলে নেচার । জীবজন্তু কত ওয়ান্ডারফুল, অনেক রকমের
কীট, কিভাবে জন্মায়, এ অতি চমকপ্রদ ড্রামা। একেই বলে নেচার, যা পূর্ব নির্ধারিত।
সত্য যুগে কত কি দেখবে । অনেক নতুন-নতুন জিনিস হবে। সবকিছুই নতুন। ময়ূরের জন্য তো
বাবা বুঝিয়েছেন একে ভারতের জাতীয় পাখি বলে অভিহিত করা হয়েছে। কেননা শ্রী কৃষ্ণের
মুকুটে ময়ূরের পালক দেখানো হয়েছে। ময়ূর-ময়ূরী দেখতে খুব সুন্দর হয়। এদের জন্মও অশ্রু
থেকে হয় এবং এই কারণেই একে জাতীয় পাখি বলা হয়েছে। এমন সুন্দর পাখি বিলেতেও দেখা যায়।
এখন তোমরা বাচ্চারা সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বুঝেছ যা আর কেউ-ই জানে
না। ওদের বলো, আমরা তোমাদের পরমপিতা পরমাত্মার পরিচয় সম্পর্কে বলছি। রচয়িতা আছেন
যখন অবশ্যই তাঁর রচনাও থাকবে। ওনার হিস্ট্রি-জিওগ্রাফী আমরা জানি। উচ্চও থেকে
উচ্চতম অসীম জগতের পিতার কি পার্ট সেটাও আমরা জানি, এই দুনিয়া কিছুই জানেনা। এটা হলো
ছিঃ ছিঃ দুনিয়া। আজকাল সুন্দর হওয়াও একটা সমস্যা, বাচ্চাদের দেখ কিভাবে অপহরণ করে
নিয়ে যায়। বাচ্চারা, তোমাদের এই বিকারগ্রস্ত দুনিয়ার প্রতি ঘৃণা আসা উচিত। এটা হলো
ছিঃ ছিঃ দুনিয়া, ছিঃছিঃ শরীর। আমাদের এখন বাবাকে স্মরণ করে আত্মাকে পবিত্র করতে হবে।
আমরা যখন সতোপ্রধান ছিলাম, সুখী ছিলাম। এখন তমোপ্রধান হয়ে দুঃখী হয়েছি আবারও
সতোপ্রধান হতে হবে। তোমরা চাও যে আমরা পতিত থেকে পাবন হই। ওরা যদিও বলে হে
পতিত-পাবন কিন্তু এই দুনিয়ার প্রতি ঘৃণা আসেনা। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো এটা হলো ছিঃ
ছিঃ দুনিয়া। নতুন দুনিয়াতে আমাদের শরীরও ফুলের মতো হবে। আমরা এখন অমরপুরীর মালিক হতে
যাচ্ছি। বাচ্চারা, তোমাদের সবসময় খুশি আর উৎফুল্ল থাকা উচিত। তোমরা আমার মিষ্টি
বাচ্চারা। বাবা ৫ হাজার বছর পর তাঁর বাচ্চাদের সাথে মিলিত হন। খুশি তো অবশ্যই হতে
হবে, তাইনা। আমি আবার এসেছি বাচ্চাদের সাথে মিলিত হতে । আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান, সেইজন্য পড়াশোনার নেশার সাথে-সাথে চরিত্রের প্রতিও যেন ধ্যান
থাকে । একদিনও পড়াশোনা মিস্ করা উচিত নয়। দেরি করে ক্লাসে এসে টিচারকে ইনসাল্ট করা
উচিত নয়।
২ ) এই বিকারগ্রস্ত
ছিঃ ছিঃ দুনিয়ার প্রতি ঘৃণা আসা উচিত, বাবার স্মরণে থেকে নিজের আত্মাকে পবিত্র
সতোপ্রধান করার পুরুষার্থ করতে হবে। সবসময় খুশি আর উৎফুল্ল থাকতে হবে।
বরদান:-
হোপলেস
(নিরাশাজনক) পরিস্থিতিতেও হোপের (আশার) জন্ম দেওয়া সত্যিকারের পরোপকারী, সন্তুষ্টমণী
ভব
ত্রিকালদর্শী হয়ে
প্রত্যেক আত্মার দুর্বলতাগুলিকে যাচাই করে, তার দুর্বলতাগুলিকে নিজের মধ্যে ধারণ করা
বা বর্ণনা করার পরিবর্তে দুর্বলতারূপী কাঁটাগুলিকে কল্যাণকারী স্বরূপের দ্বারা
সমাপ্ত করে দেওয়া, কাঁটাগুলিকে ফুল বানিয়ে দেওয়া, নিজেও সন্তুষ্টমণির সমান সন্তুষ্ট
থাকা আর সকলকে সন্তুষ্ট করা, যার মধ্যে সব নিরাশা দেখা যাবে সেইরকম ব্যক্তি বা এমন
স্থিতিতে চিরকালের জন্য আশার দীপক জাগানো অর্থাৎ হৃদয় বিদীর্ণকে শক্তিবান বানিয়ে
দেওয়া - এইরকম শ্রেষ্ঠ কর্তব্য চলতে থাকলে তো পরোপকারী, সন্তুষ্টমণীর বরদান প্রাপ্ত
হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
পরীক্ষার সময় প্রতিজ্ঞা স্মরণে এলে তখন প্রত্যক্ষতা হবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
অশরীরী বা বিদেহী স্থিতির অভ্যাস বাড়াও
সারাদিনের মধ্যে এক
সেকেন্ডও যদি পাও, তো বারংবার এই বিদেহী হওয়ার অভ্যাস করতে থাকো। দুই চার সেকেন্ডও
বের করো, এর দ্বারা তোমরা অনেক সহায়তা পাবে। নাহলে তো সারাদিন বুদ্ধি চলতে থাকে,
তখন বিদেহী হতে সময় লেগে যাবে। আর অভ্যাস থাকলে তো যখন চাইবে বিদেহী হয়ে যেতে পারবে
কেননা অন্তিম সময়ে সবকিছু হঠাৎ করেই হবে। তো হঠাৎ-এর পরীক্ষায় এই বিদেহীভাবের
অভ্যাস খুবই আবশ্যক।